প্রচ্ছদ: রাজীব দত্ত |
ছেচল্লিশ
কিছুটা আঁধারে রূপালী গাছ প্রাচীন উটপাখি
হয়ে ঝুলে আছে মেঘের কলোনীতে। আমি দেখলাম
তাকে, হৃদয়ের চশমা খুলে। আমার খুব মন
চায় ওই পাখিটার পিঠে উঠি। সাদরে সে গ্রহণ
করুক আমাকে; আমার সকল বৃথালাপায়োজন।
সাতচল্লিশ
ঘর গোছানো সেরে মাছপরীদের সাথে হাঁটতে
বেরিয়ে মনভালো অনুভূতি হলে নিজেকে আমার
আনন্দ প্রক্রিয়াজাতকরণ যন্ত্র মনে হয়।
মনে হয় গভীর থেকে বেরিয়ে আসে বুঝি অজস্র
শিশুদের স্বতস্ফুর্ত কুলধ্বনি; সদ্য প্রকাশিত।
আটচল্লিশ
বাদ রেখে জারিজুড়ি সব, জ্বলে ওঠো সামান্য
আগুন। স্বদেশী আয়োজনে সিক্ত প্রণয়ের রাতে
পরিপূর্ণ বেঁচেথাকাজুড়ে আমি কারো অক্ষমতা
স্বীকার করি না। জ্যান্ত গানচিল ভেসে যাবে এমন
কিছু কথা আমাকে বলতেই হবে শূন্য আক্রোশে।
ঊনপঞ্চাশ
যেতে যেতে পথে, মধ্যরাতে; কুকুর, পুলিশ ও
বেশ্যাকে নিঃশব্দে বলি: পথ আটকানো নিষেধ। এ
রাত শুধুই প্রেমিক, কবি ও পাগলের। গান শেষে
দ্যাখো পুরোটা জুড়ে শুধু ছেড়া পাতাফুল পড়ে
ছিলো যা, সকল খারিজ হলো অন্ধবাগান থেকে।
পঞ্চাশ
বিবাহিত ভোর থেকে খসে গ্যাছে জ্বলজ্যান্ত সকল
আড়াল। নাক ডোবালে তোমার মধ্যবিন্দুতে— যা কিছু
পেতে চাই গভীর কুপ থেকে, তার সবটাই
জীবন্ত জল হয়ে আসে প্রকৃত প্রস্তাবে। তারপর
জামাজুড়ে শুধু মধু ও মহুয়ার ঘ্রাণ; বয়ে যায়...
প্রথম কিস্তি পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন
দ্বিতীয় কিস্তি পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন তৃতীয় কিস্তি পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন চতুর্থ কিস্তি পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন
পঞ্চম কিস্তি পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন
ষষ্ঠ কিস্তি পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন
দ্বিতীয় কিস্তি পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন তৃতীয় কিস্তি পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন চতুর্থ কিস্তি পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন
পঞ্চম কিস্তি পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন
ষষ্ঠ কিস্তি পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন
[আগামী শনিবার প্রকাশিত হবে একাদশ (শেষ) কিস্তি]
লেখকের অন্যান্য লেখা:
• সাম্য রাইয়ানের মুক্তগদ্য “রাত্রি একটা অনাহুত বেদনার নাম”
• সাম্য রাইয়ানের ‘চোখের ভেতরে হামিং বার্ড’ থেকে
• সাম্য রাইয়ানের ‘চোখের ভেতরে হামিং বার্ড’ থেকে
• সাম্য রাইয়ানের মুক্তগদ্য ‘একটা সত্যি কথা বলো’
সাম্য রাইয়ান। কবি ও গদ্যকার। জন্ম নব্বইয়ের দশকে কুড়িগ্রামে। প্রকাশিত কবিতাপুস্তিকা: ‘বিগত রাইফেলের প্রতি সমবেদনা’, ‘মার্কস যদি জানতেন’। কবিতাগ্রন্থ: ‘চোখের ভেতরে হামিং বার্ড’। পোয়েটিক ফিকশন: ‘হলুদ পাহাড়’। প্রবন্ধ: ‘সুবিমল মিশ্র প্রসঙ্গে কতিপয় নোট’। একযুগ যাবৎ সম্পাদনা করছেন ‘বিন্দু’।
0 মন্তব্যসমূহ
মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।