ষোল
একাকী আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে অর্ঘ্য রায় ভাবে
রঙধনু প্রজাপতি এক জীবন্ত এরোপ্লেন।
নিঃসঙ্গ অসুখের থেকে কয়েক ফোঁটা ঢেলে দিলেও
প্রতিটি অন্ধকারে মশাদের উৎপাত হবে তবু
ওর দ্বারা কোনো ইতিহাস হবে না কোনোদিন।
সতের
যে পথে স্পিডব্রেকার নেই সেটাতো নিরামিষ পথ
এইতো হেঁটে এলাম, কোথাও বাধা নেই যেতে
মনেই হয় না কিছু; চাকা চলে গেলে পাশ ফিরে শুই;
ঘুমিয়ে থাকতে পারি আজন্ম, বিকেল থেকে রাত
কোথাও আটকে যাবার মতো স্পিডব্রেকার নেই!
আঠার
চূড়ান্ত প্রণয়ের আগে কোথাও চলো প্রস্তুতিপর্ব
সেরে নিই। যেভাবে ঝড়ের আগে জলের ওপরে
মানুষ মন্ত্রপাঠ করে। যেকোনো ভাষায় তখন
ভাবনারেখা লীন হয়ে মিলে যায় দিগন্তের ’পরে:
আমরা তো কেউ কারো নই; একাকী একাকার।
উনিশ
এই যে প্রতিদিন কতোবার দিনেদুপুরে খুন
হয়ে যাচ্ছি; কেউ টের পাচ্ছে না, কিছু বলছে না।
এই যে ঘুমের মধ্যে ওঙ্কারধ্বণি শুনতে পাচ্ছি
এর মধ্যে একবিন্দু মিথ্যে নেই জানেন! বরং
যে বাজার আমাকে নির্মাণ করে, ওটা মিথ্যায় ভরা।
কুড়ি
ওরা চায় আমি পাগল হয়ে যাই, একা হয়ে যাই
শহরে ঘুরিফিরি নিঃসঙ্গ মানুষ; আমার মৃত্যু হোক
জলের অভাবে নির্মম: বর্ণনাতীত। অথচ কতো
পাখি ফুল নদী বন্ধু হচ্ছে অকপটে; কী তুমুল
আড্ডা দিচ্ছি আমরা। সুযোগ নেই, হবো: একলা-পাগল।
প্রথম কিস্তি পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন
দ্বিতীয় কিস্তি পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন তৃতীয় কিস্তি পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন
দ্বিতীয় কিস্তি পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন তৃতীয় কিস্তি পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন
[আগামী শনিবার প্রকাশিত হবে পঞ্চম কিস্তি]
এই লেখকের অন্যান্য লেখা:
• সাম্য রাইয়ানের মুক্তগদ্য “রাত্রি একটা অনাহুত বেদনার নাম”
• সাম্য রাইয়ানের ‘চোখের ভেতরে হামিং বার্ড’ থেকে
• সাম্য রাইয়ানের ‘চোখের ভেতরে হামিং বার্ড’ থেকে
• সাম্য রাইয়ানের মুক্তগদ্য ‘একটা সত্যি কথা বলো’
সাম্য রাইয়ান। কবি ও গদ্যকার। জন্ম নব্বইয়ের দশকে কুড়িগ্রামে। প্রকাশিত কবিতাপুস্তিকা: ‘বিগত রাইফেলের প্রতি সমবেদনা’, ‘মার্কস যদি জানতেন’। কবিতাগ্রন্থ: ‘চোখের ভেতরে হামিং বার্ড’। পোয়েটিক ফিকশন: ‘হলুদ পাহাড়’। প্রবন্ধ: ‘সুবিমল মিশ্র প্রসঙ্গে কতিপয় নোট’। একযুগ যাবৎ সম্পাদনা করছেন ‘বিন্দু’।
1 মন্তব্যসমূহ
সুন্দর
উত্তরমুছুনমন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।