দিপংকর মারডুক | কবিতা

পরীক্ষা

বানানে আমি নিজস্ব, তাই ভুল লিখতে বসেছি

তোমাদের পরীক্ষার খাতায়। শুকনো প্রান্তরে

চলে দূরকালীন বিদেশি ভাষা, অথচ টিনের ঘরে

বিব্রত মাছরাঙা নই; ইস্পাত নৃত্য, ধর্মতালা মোটেও

না—; তবু দৌড়াচ্ছি মৃত্যুর উপর কোনখানে?

মমির দিকে? 

তাবৎ যে ব্যবহারিক আমাকে দেওয়া হয়েছে

তার শিশ্নে বরাবরই উত্তীর্ণ এবং পরিমিত

সুতরাং আমি আবারও ফেল!

নৈমিত্তিক

শাদা, অপার কিংবা চঞ্চল কিনতু ঠিক প্রেমিক নয়; 

শীতার্ত স্তনে খুঁজি হাতের নির্মিত

বায়ুচাপ!

গহীনে ডাকো পৌরাণিক—ঘন তামাক কণার

প্রকাশনা উৎসবে; মধ্যাকর্ষণে পড়ে আছি আমি।

এখানে অনুশোচনা একটা ছোট পরিবার!

লেবু টিপার খসড়ায়

হাওয়া কাটে তোমার কুসুম, বৃন্ত টেনে

ঝুলে আছি একা সুন্দর; লেবু টিপার খসড়ায়।

যৌনাঙ্গপথ দাও;

অনেক অলকানন্দা ফুটে আছে। 

গম্বুজের নৈতিকতা ভেঙে নিজেই নগ্ন পৃথিবীতে।

বৃক্ষবলয়ে হেঁটে যায় ছোট প্রাণ। দ্যাখো, সু-নিতম্ব উসকে

অনুকূল তৈরি করি আমরা।

তবুও দেখতে ইচ্ছে করে নগরের গুহামুখ।

জানি যুবতী মেঘের প্রতীতিতে সঙ্গমকাহিনী,

আপেক্ষিক গতিবেগ।

এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ আদিম। অথচ কার্যকলাপ শেষে

তুমি প্রতিবারই লাল গামছা জড়িয়ে ছিলে।

আবার আসুক শীতমন

শীতটা চমৎকার পাজি হয়ে আছে

ঘুম থেকে উঠার আগে এবং

ঘুমাইতে যাওয়ার আগে লাল-গোলাপি শাড়িপরা

যুবতীর কালো বোঁটায় দাঁতের জখম বসাতে চায়

অভিষিক্ত গুনাগুন

কাটাদাগে কারো কবিতা হয়ে উঠে তোমার স্ত’ন

কতটুকু শব্দজ্ঞান রাখতে হয় তারা জানে।

তুমি, ধীরে ধীরে শরীল এগিয়ে দিয়ে সয়ে যাও

স্বচ্ছ খড় দণ্ডের কাছে—জ্যামিতিক স্বভাবে;

ইত্যাদি আমি বিস্ময়ে দেখি প্রতিদিন, সর্বদা—;

পুরুষ নিমিত্ত রক্ষার নামে মরা লতাগুল্মের অধিক

জড়িয়ে ছিলাম অথচ, অনুষঙ্গ আজ বিশ্লেষণবিরোধী;

আসে যৌনমন্থন; কিছুটা সরল ও সুডৌল লোভ হতে

নিরাপত্তার বোধসন্ধি উত্তীর্ণ। 

এখন দুর্বাঘাস চিবাই, কুয়াশা মুছে নিমপাতা মুখে রাখি

এবং চতুর বিবেচকের মতন শীতকালীন ফুলকপির

গুনাগুন দূর আফ্রিকার নয়া বন্ধু’কে বলি।

অতিপ্রাকৃতবাদ

এই ভুলের সমাপ্তিতে

পোলিও ফল নিয়ে তোমার সামনে

কুকুর হয়ে বসে থাকতে চাই

তুমি উচ্ছিষ্ট পিঠার সরটুকু ছুঁড়ে দিও

আমি মাটির লোমহর্ষকসহ চেটে খাওয়া

এক অতিপ্রাকৃত প্রেমিক

বাম কিংবা ডান ক্রিয়াশীল ডিজিটাল কারক

আমাকে নেয় নি। উদ্দেশ্য আমার নাকি অসম্পূর্ণ!

তবুও দাঁতরাঙার শতরন্ধ্রে মেঘের সিঁদুর কিনে রাখি।