একুশ
শূন্য গুহা থেকে অসমাপ্ত ছবির দিকে যেতে
প্রার্থনার অধিক পতনের খোঁজে হারালাম শূন্যে।
নিছক গহ্বর নয়, অন্তহীন যাপনের শেষে
অনুগত সময়কে ঘড়ি থেকে মুক্ত করে দাও—
ইথারে জমা হোক ছেড়া ছেড়া ক্ষোভ; সূর্যমুখী খামে।
বাইশ
আধারি শরীরের দিকে ভালোবাসা তাক করে আছি।
রক্তাক্ত বিষণ্নতাকে ঝেটিয়ে বিদায় করেছি
এ ঘরে শুধুই আমি আর মধ্যরাত; ঝিকিমিকি
সন্ধ্যাতারার মতো অন্ধকার। এতোগুলো জীবন
পেরিয়ে এখন আমার ঘুম পাচ্ছে; খুব স্বপ্ন পাচ্ছে।
তেইশ
মাথাব্যথাহীন সময়গুলো খুব উপভোগ্য মনে হয়।
কেন তবে এমন হলো সবকিছু; এইই ভেবে
তীব্র ফল শূন্য শূন্য শূন্য শূন্য শূন্য শূন্য পেয়ে
আমার আত্মার জন্য সারি সারি জীবনদর্শন
সেল্ফে রেখে দেখলাম, অন্ধকারে ওরা আলো দেয়!
চব্বিশ
কবিতার বাইরে যার কোনও জীবনই নাই;
অর্থলিপি নির্মাণ করে সময়ের পাটাতনে
উষ্ণ হলে জীবনবোধের পরিমাপ; কবিতা
লিখতে গিয়ে সে-তো নিজেই কবিতা হয়ে গেল!
জীবন, তুমি তার আঙুলের সমানও নও।
পঁচিশ
এই মাঝরাতে ক্যান তুমি দূরের পাখি হইলা
কও? উপকথাবাহী জল কিছু গড়িয়ে পড়ছে
কৈশোরবেয়ে। রাতগাছের প্রতি কোনো আবদার
জমা রাখি নাই। দিনশেষে কলমও ক্লান্ত হয়—
হাসির শব্দে আর ঢাকা পড়ে না কিছু; শব্দ হয়।
[আগামী শনিবার প্রকাশিত হবে ষষ্ঠ কিস্তি]
এই লেখকের অন্যান্য লেখা:
• সাম্য রাইয়ানের মুক্তগদ্য “রাত্রি একটা অনাহুত বেদনার নাম”
• সাম্য রাইয়ানের ‘চোখের ভেতরে হামিং বার্ড’ থেকে
• সাম্য রাইয়ানের ‘চোখের ভেতরে হামিং বার্ড’ থেকে
• সাম্য রাইয়ানের মুক্তগদ্য ‘একটা সত্যি কথা বলো’
সাম্য রাইয়ান। কবি ও গদ্যকার। জন্ম নব্বইয়ের দশকে কুড়িগ্রামে। প্রকাশিত কবিতাপুস্তিকা: ‘বিগত রাইফেলের প্রতি সমবেদনা’, ‘মার্কস যদি জানতেন’। কবিতাগ্রন্থ: ‘চোখের ভেতরে হামিং বার্ড’। পোয়েটিক ফিকশন: ‘হলুদ পাহাড়’। প্রবন্ধ: ‘সুবিমল মিশ্র প্রসঙ্গে কতিপয় নোট’। একযুগ যাবৎ সম্পাদনা করছেন ‘বিন্দু’।
0 মন্তব্যসমূহ
মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।