প্রচ্ছদ: রাজীব দত্ত |
ছাব্বিশ
উফ্ কী গাঢ় বিভক্ত রাত, কী নির্লজ্জ দলাদলি
ঝিমধরা শেষে শূন্য বোতলের ভৈরব, গলাগলি!
সর্বত্র এতো বিষ— বিষময়, পুনরায় ধুয়েমুছে
সাফসুতোর করতে হবে আমাকেই; কখনোই
শান্তি হবে না কোথাও, প্রেমে–অপ্রেমে; জানা কথা।
সাতাশ
কতো আকৃষ্ট হয়েছিলাম, ছবিতে দেখে তাকে
মৃদু ভালোবাসা ধীরে ধীরে তপ্ত ও গতিময় হলে
ছুটে গেলাম, ছুঁয়ে দেখলাম গায়ে হেলান দিয়ে।
স্মৃতিতে এখনো সবটা মনে আছে; অথচ সেদিন
দোয়েল বলেছিলো, বৃক্ষ আমাকে মনে রাখে নাই।
আঠাশ
রাত্রি থেকেই সকল রহস্য জন্ম নেয়। প্রান্তরে
শীতল চাঁদ খুঁজে, না পেলে অভ্যন্তরে ভয় বাড়ে
দৃষ্টিসীমায় ফোটে শাদা শাদা ফুল; আলো ফুটবার
আগেই তারা ঘুমাতে যায়; দু-একটা অন্ধকার
শুধু প্রকৃত জেগে থাকে। এই শুধু, শুধু এই।
ঊনত্রিশ
কৈশোরসেতুর ওপর দিয়ে হেঁটে এলাম শহরে।
কী আছে নদীর গভীরে? আস্ত মাতাল সাগর?
অথবা শামীম সৈকতের বাঁশি? কিছু নাই। —ছাই!
বৃথা নদীজন্ম, কৈশোরসেতু, সোডিয়াম আলো;
আমাদের কথা কেউ ভেবেছে, যারা ঘুমিয়েছে?
ত্রিশ
জ্ঞানমুখী বৃক্ষকে শোনো, ওর কাছে যাও, ওকে
আলিঙ্গন করো প্রগাঢ় শ্রদ্ধায়। বিভিন্ন আকাশে
তার একই রূপ; একই রকম যথার্থ ডানা।
কেন সে হলো মিলনকাতর, প্রবল বিপদেও
এতো নিরুত্তাপ কেন, জিজ্ঞেস করো, ভালোবাসো।
তৃতীয় কিস্তি পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন চতুর্থ কিস্তি পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন
পঞ্চম কিস্তি পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন
পঞ্চম কিস্তি পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন
[আগামী শনিবার প্রকাশিত হবে সপ্তম কিস্তি]
লেখকের অন্যান্য লেখা:
• সাম্য রাইয়ানের মুক্তগদ্য “রাত্রি একটা অনাহুত বেদনার নাম”
• সাম্য রাইয়ানের ‘চোখের ভেতরে হামিং বার্ড’ থেকে
• সাম্য রাইয়ানের ‘চোখের ভেতরে হামিং বার্ড’ থেকে
• সাম্য রাইয়ানের মুক্তগদ্য ‘একটা সত্যি কথা বলো’
সাম্য রাইয়ান। কবি ও গদ্যকার। জন্ম নব্বইয়ের দশকে কুড়িগ্রামে। প্রকাশিত কবিতাপুস্তিকা: ‘বিগত রাইফেলের প্রতি সমবেদনা’, ‘মার্কস যদি জানতেন’। কবিতাগ্রন্থ: ‘চোখের ভেতরে হামিং বার্ড’। পোয়েটিক ফিকশন: ‘হলুদ পাহাড়’। প্রবন্ধ: ‘সুবিমল মিশ্র প্রসঙ্গে কতিপয় নোট’। একযুগ যাবৎ সম্পাদনা করছেন ‘বিন্দু’।
0 মন্তব্যসমূহ
মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।