একা থাকার দিনগুলিতে
অবশেষে
নৈঃশব্দ্যের ঋতুতেই ফিরতে হলো আমাদের।
নৈঃশব্দ্যের ঋতুতেই ফিরতে হলো আমাদের।
দরজা-জানালা বন্ধের নোটিশ কি পৌঁছেছে
ঘরে ঘরে?
ঘরে ঘরে?
আমাকে বিশ্বাস করো না,
অবিশ্বাসকে দয়া করো,
আর করুণা করো।
অবিশ্বাসকে দয়া করো,
আর করুণা করো।
যাতে তাদের ঠোঁটের মাঝখানে গড়ে ওঠে
কোয়ারেন্টাইন দেয়াল!
কোয়ারেন্টাইন দেয়াল!
প্রত্যেক জন্মই যেন জন্মগতভাবে একা
এবং আমিও।
এবং আমিও।
একা থাকার কৌশল ফাঁস হবার পরেও কি
নিঃসঙ্গতার ভয় দেখাবে আমাকে...
নিঃসঙ্গতার ভয় দেখাবে আমাকে...
আজ আমার একা থাকার দিনগুলিতে
শুধু তোমাকে নিয়ে ত্রস্ততা,
তুমি কি একা থাকতে পারবে?
শুধু তোমাকে নিয়ে ত্রস্ততা,
তুমি কি একা থাকতে পারবে?
ইয়াম
সমূহ সর্বনাম উড়ে যাচ্ছে মৃত পালকের মতো কোনো এক বেগানা দুঃখের ঋতুতে। কতোটা
দূরে গেলে দূরত্ব একটা ফ্রেশ নিঃশ্বাস ফেলবে, জানি না। তবু, চলো দূরে চলে যাই।
আমাদের গ্রামের নাম পাল্টে রাখা হয়েছে ইয়াম। আমরা এখন প্রাচীন ইয়ামের নাগরিক।
এখানে আমি রোলান্ড টরে আর তুমি ইমোট সিডল। আমাদের কখনো দেখা হবে না, কথা হবে
না। কোনো একদিন কেবল মৃত্যুর পর পরস্পর জানতে পারবো- ভালোবাসাই অমর, মহামারি
নয়।
দূরে গেলে দূরত্ব একটা ফ্রেশ নিঃশ্বাস ফেলবে, জানি না। তবু, চলো দূরে চলে যাই।
আমাদের গ্রামের নাম পাল্টে রাখা হয়েছে ইয়াম। আমরা এখন প্রাচীন ইয়ামের নাগরিক।
এখানে আমি রোলান্ড টরে আর তুমি ইমোট সিডল। আমাদের কখনো দেখা হবে না, কথা হবে
না। কোনো একদিন কেবল মৃত্যুর পর পরস্পর জানতে পারবো- ভালোবাসাই অমর, মহামারি
নয়।
ফের যদি দেখা হয়
ফের যদি দেখা হয় করোনার শেষে
ক্লেদাক্ত! রক্তাক্ত! বিশ্বাস এসে—
থামাবে কি হৃদয়ের হাঁচি, কাশি, জ্বর
আলোতে ডাকবে কি অন্তরস্বর?
ক্লেদাক্ত! রক্তাক্ত! বিশ্বাস এসে—
থামাবে কি হৃদয়ের হাঁচি, কাশি, জ্বর
আলোতে ডাকবে কি অন্তরস্বর?
কালচে পাতার চোখে ঢালবে কি রঙ,
চুম্বনে লীন হবে ওষ্ঠের জঙ?
আঁধারে জ্বলবে কি স্বপ্নের মোম,
দহনের ব্যকুলতা, আকাঙ্খাক্রম?
চুম্বনে লীন হবে ওষ্ঠের জঙ?
আঁধারে জ্বলবে কি স্বপ্নের মোম,
দহনের ব্যকুলতা, আকাঙ্খাক্রম?
কফি থেকে উঠবে কি গল্পের ধোঁয়া,
অবয়বে জাগবে কি শিহরণ-ছোঁয়া?
সিক্ত কাপড়ে ফের বেলকনি দড়ি
ভরবে, দুলবে তাতে বাতাসের তরী?
অবয়বে জাগবে কি শিহরণ-ছোঁয়া?
সিক্ত কাপড়ে ফের বেলকনি দড়ি
ভরবে, দুলবে তাতে বাতাসের তরী?
অফিস গমনকালে ভুলে যাবে নিতে
দরকারি ডকুমেন্ট, চিরুনি বা ফিতে?
পথ ভুলে যাওয়া কি পথ পাবে এসে
ফের যদি দেখা হয় করোনার শেষে?
দরকারি ডকুমেন্ট, চিরুনি বা ফিতে?
পথ ভুলে যাওয়া কি পথ পাবে এসে
ফের যদি দেখা হয় করোনার শেষে?
রেজাউল ইসলাম হাসু। কবি ও শিশু সাহিত্যিক। প্রকাশিত বই দুইটি। ‘ওকাবোকা তেলাপোকা’ (২০১৬), ‘শিশুতোষ ও এলিয়েনের দেশ পেরিয়ে’ (২০১৭, শিশুতোষ)।
1 মন্তব্যসমূহ
ভালো লেগেছে কবিতাগুলো
উত্তরমুছুনমন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।