TopTime

আজ বঙ্গাব্দ

সাম্য রাইয়ানের সিরিজ কবিতা ‘লিখিত রাত্রি’ | তৃতীয় কিস্তি


এগার

আমার দৃশ্যজুড়ে শুধু পাগল হওয়ার ছবি।
এমন অস্থির লাগে জানো, কোথাও কেউ যেন
খুন হয়ে যাচ্ছে৷ তাই দেখে উড়ে যাচ্ছে রক্তগাছ
ডানাঅলা সবুজঘাস। স্নানঘরে শীতল জল
গড়িয়ে পড়ছে আপনাতেই। কী ভয়ংকর বলো!


বার

নাগরিক সমূহ চোখ— শুধু নিজেকেই দ্যাখে
পরিপার্শ্ব আড়াল হয় এককটা হর্ণে—শব্দ।
পুরোটা থেকেও তারা চশমা ব্যবহার করে
তবু কিছুই দ্যাখে না হায় আত্মকেদ্র ছাড়া।
এভাবেই বাথটাবে শুয়ে ওরা মরে যাবে আজীবন৷


তের

ছায়াকে পেছন ধরে আসতে নিষেধ ক’রে দিয়ে
নির্ভার প্রপাতের সামনে দাঁড়িয়ে আছি গিনিপিগ।
সচরাচর বাইর আসি না দিনে, রাতটা ভালো
সূর্যের কাছে যাই না, দূরত্ব পুষি; বৃষ্টির সব
ভালোবাসা নিয়ে মত্যুর পাশে দাঁড়িয়ে থাকি।


চৌদ্দ

সারা রাত্রি অহংকার পেতে বসে আছি মায়াময়
আর যদি না হয় দেখা—কোনোদিন পথিবীর
বিপণীবিতানে; যদি না হয় কথা, হৃদয়ে রোদ
নিঃশব্দে মরে যায় অথবা তুমুল শব্দে কেঁদে ওঠে
তবুও পুরনো চরিত্র ফিরবে না প্রাণের কাছে!


পনের

এবার তবে জলের কীর্তন হোক, কেননা ওর
হৃদয়েই আমি দেখেছি অভাবিত শান্তির গাণ্ডীব।
ওদিকে সুদূর এক নারী মুগ্ধ ভাবে ফুটন্ত
জলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে নিয়মমতো, যেন
প্রচণ্ড তাপে খসে যাবে শরীরের সমূহ জ্যোৎস্না৷



  [আগামী শনিবার প্রকাশিত হবে চতুর্থ কিস্তি]    


 এই লেখকের অন্যান্য লেখা: 
• সাম্য রাইয়ানের মুক্তগদ্য ‘একটা সত্যি কথা বলো’
 লেখক প্রসঙ্গে: 
• হোসাইন মাইকেল:  ‘চোখের ভেতরে হামিং বার্ড’ নিয়ে আমি যা ভাবছি



সাম্য রাইয়ান। কবি ও গদ্যকার। জন্ম নব্বইয়ের দশকে কুড়িগ্রামে। প্রকাশিত কবিতাপুস্তিকা: ‘বিগত রাইফেলের প্রতি সমবেদনা’, ‘মার্কস যদি জানতেন’। কবিতাগ্রন্থ: ‘চোখের ভেতরে হামিং বার্ড’। পোয়েটিক ফিকশন: ‘হলুদ পাহাড়’। প্রবন্ধ: ‘সুবিমল মিশ্র প্রসঙ্গে কতিপয় নোট’। একযুগ যাবৎ সম্পাদনা করছেন ‘বিন্দু’।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

  1. দারুণ৷ আগের কিস্তিও পড়ছি৷ মধ্যরাতে এত নেশা এই কবিতা না পড়লে জানা হতো না৷
    মাত্র পাঁচটা করে প্রকাশ না করে অন্তত দশ করে প্রকাশ করুন৷ পাঁচটা খুব কম হচ্ছে৷

    উত্তরমুছুন
  2. খুব ভালো লাগলো এযাবৎ ৷আগ্রহ বাড়লো।। একটা অস্তিত্বের খেলা চলছে।।

    উত্তরমুছুন

মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।