সর্বদাগে বন্দনা করি ফুল।
আসমান–জমিন, দশদিক বন্দনা করে ভাবি—
ফুলের চরণেও কি ফুলের অর্ঘ্য দেওয়া যায়?
আমার কণ্ঠ মরে যায়, লণ্ঠনজবা,
কৃষকের গোলা খোয়া যায়,
কবরখানায় জায়গা অল্প আছে জেনে—
কবরের মাপে নিজেকে ফিট রাখি।
লণ্ঠনজবা, তুমি তো কবরের পাশেও ফোটো,
জানলে আমাকে বলো—
শরীরের ভিতরে কি শরীরের কবর দেওয়া যায়?
মুখ তোলো, লণ্ঠনজবা
মুখ তোলো, লণ্ঠনজবা, কথা আছে।
ডানাপোড়া ফড়িঙের সন্তানের কাছে সংবাদ পাঠিয়েছি—
ওরা যেন দৌড়াতে শেখে, আর সাঁতরাতে।
আমাদের মুদ্রাদোষের চিঠিরা বেঁচে আছে প্রান্তর ছাড়িয়ে,
শিশুদের হৃদয় দখলে নিয়েছে বুড়োদের অলৌকিক ভয়,
ঐশ্বর্যের ভারে পেকে গেছে আমাদের শত্রুদের চুল।
সরোদ বাজিয়ে চলো নরকের দিকে শেষ অভিসারে,
মল্লার গান মুখস্থ আছে আমার, চুপ থেকো না তুমি,
মুখ তোলো লণ্ঠনজবা, কথা বলো।
দাগ
রঙ, আমায় মার্জনা করো—
আমি শুধু বারবার এঁকে মুছে ফেলি।
দাগের হয়ে আমি সাক্ষ্য দিবো না আর—
দাগের স্মৃতিকারতায় ডুবে দাগ হয়ে দেখেছি—
বৃষ্টিদিনের সূর্যের মতো আমাকেও তারা অস্বীকার করে,
অশনাক্ত বিকেলকে খণ্ডখণ্ড করে,
পিপাসার হিসেবকে হেরফের করে।
দীর্ঘঋণ ভুলে গিয়ে, পুরোনো কবরের পাশে
আমি তোমাকেই সত্য মানি, ফুল।
তোমার রঙ চুরি করে এবার আমি একটি ঋতুকে এঁকেছি,
কিছুতেই তাকে আর মুছতে পারি না।
0 মন্তব্যসমূহ
মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।