TopTime

আজ বঙ্গাব্দ

তানহিম আহমেদের চারটি কবিতা


দরোজা

সময়— একটি বহুব্রীহি ভাস্কর্য।

পৃথিবীর সমসাময়িক দরোজা। যার থরে
থরে সাজানো হরেক রকমের পরিচ্ছেদ।

মানুষের স্বতন্ত্র স্বর ও ভঙিমা।

যার; রন্ধ্রে রন্ধ্রে— ঢুকে গিয়েছে
ঘাতকের ছুড়ি। চিৎকার ও মৃত্যুর নামতা—

সময়— এক দক্ষ মূকাভিনেতা।

প্রাচীন মুদ্রা ভেবে। যে— উড়িয়ে
দেয় গাঢ় ব্যর্থতার ম্লান হাসি।


নিদ্রিতাকে

রাত্রির তস্য গলিতে। লটকে থাকে... খণ্ডিত
ঈশ্বরের নাম। ঝুলে থাকে— বেদনার আপক্ব
ফল। ঈগলের ডানা থেকে। অক্ষম মানুষের
সমগ্র তল্লাট জুড়ে। ঘাসের মতোন। গজিয়ে
ওঠে কল্লোলমুখর চারা। চলিষ্ণু— বৃক্ষমুখ।

স্টোরি অব টেইলস— চুকে যায় সব সন্ধ্যার
পাঠশালা। থমকে যায়। ব্যগ্র কণ্ঠস্বর।

নিদ্রা এবং— প্রতীক্ষা। মানুষের শ্রেষ্ঠ সঞ্চয়;

হিসেবে তোলা থাকে কাঞ্চন। অথচ~ ঘোর
অসময়ে ঈশ্বরও ভুলে যান সুন্দরের সংজ্ঞা।


অপরাহ্ন

সোনালী পালক— আফ্রোদিতির লুপ্ত প্রাচীন রাজমুকুট থেকে
সুউচ্চ পিরামিড থেকে বেরিয়ে সোজা ছুটে গেলো—
                      জমকালো রাজপ্রাসাদের
দিকে
এই সুদীর্ঘ অপরাহ্নের তীব্র অসামুদ্রিক বুনো রোদ্দুর
জলের সীমান্ত ঘেঁষে আদিবাসীদের ছোট ছোট কুঁড়েঘর
জাহাজের হুইসেল— ভেঙে দিচ্ছে দ্বীপের পবিত্র এ নির্জনতা।

নৈঃশব্দের স্তব্ধ পানশালায় নতুন এক অতিথির আগমন
হলুদাভ রুমাল পড়ে রয়েছে শ্যাওলাঘন ফণীমনসার ঝোপে....


আগস্টে ফিরে দেখা - ০১

হলুদরং— একটি খরগোশ হঠাৎ > হারিয়ে গেল ঈষৎ
বায়ুতাড়িত সন্ধ্যের ভীড়ে— পেরিয়ে টকফলের বাগান;
বর্ধিষ্ণু ছাতিমগাছ। হাওয়াভরা কাঠ পিঠে ভর কোরে
ভাগ্যের চাকা ঠেলে নিয়ে যায় ভবঘুরে আয়ু। আনাড়ি
বৃক্ষের গভীরতা মাপতে গিয়ে সেদিন যে মেয়েটি স্বয়ং
পাখি হয়ে গেলো। আবডালে তার প্রস্থান-কথা ভাবতে
ভাবতে ফুরিয়ে আসে আগস্টের দিনপঞ্জি। আন্দামান
পাহাড় বেয়ে— নেমে পড়ে তুমুল কোরাস ~ শরৎকাল
জুড়ে লেগে থাকে তুলোরাশি মেঘ। ভাঙা কাচের স্বর।
নিয়ত ভাঙে অসম দ্বৈরথ— পাথরকুচির পাতা।


তানহিম আহমেদ। কবি।
জন্ম ৩ এপ্রিল ২০০২ নারায়ণগঞ্জ জেলায়।
পড়াশোনা: উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

5 মন্তব্যসমূহ

মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।