TopTime

আজ বঙ্গাব্দ

কবিতা সংখ্যা: প্রারম্ভিকা | হোসেন রওশনের কবিতা


আমাদের বাচ্চারা আর স্কুলে যাবে না?

যে তোমাকে পেয়ে গেছে
সে কি বোঝে দূর?
তোমার অভাব জানে
মা হারা বাছুর। 

পাড়ার গলির মোড়ে
খিস্তির স্বরে
কারা যেন শাসায়েছে
আমি একঘরে। 

তোমাকে বুঝিনি বলে
দেহের আকাল
আমাকে ফিরায়ে দিও
ঘামের রুমাল।

মায়ের শাড়ি পরে 
মামা বাড়ি গেলে
পড়শীর বুকে ঝড়
কী আগুন জ্বলে!

ব্লাউজের পিঠে আঁকা
নয়ন তারায়
সমূহ বিপদ ছিলো
মামাতো পাড়ায়।

আমি কি ছিলাম তবে
মনে পড়া নাম? 
বিষে তো মরিনি আমি
নামে মরিলাম! 

ঘুমের আদলে আসা
ভ্রম সে দুপুরে
হাঁসের বাচ্চা হয়ে
ডুবেছো পুকুরে।

তোমাকে উড়াবো বলে
আমি নিচে ডুবি
আহারের কাদা আমি?
খোঁজো চুপি চুপি?

তোমার বিবাহ দিনে
পাড়া জুড়ে গীত
মেয়েলী বিকেল তবু
হাড়ে ফুটে শীত! 

বন্ধুদের খুনসুটি
বিধবা প্রলাপে
কাপুরুষ হয়েছিলাম
প্রথম গোলাপে।

তোমার বাসরে বাজে
সুমনের গান
নামেতেই মরে গেছে
আমাদের সন্তান।

আমাদের বাচ্চারা আর স্কুলে যাবে না?


কোনোদিন জিতি নাই বলে

সিনেমার হিরোগন এন্ট্রি নিলেই
হাত তালি
জয় ধ্বনি
আনন্দ অশ্রু
ও ট্রফি নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
তারপর
আনন্দ
অভিজ্ঞতা
নিরামিষ
নারী সঙ্গ
এইভাবে সমস্ত জীবন—

কোনোদিন জিতি নাই বলে
নিজের অজান্তেই ভিলেন হয়ে গেছি।
কত কত বিপরীত চরিত্রে 
তোমাকে ভেবেছি ভাবো এই।

মাঠ ছাড়তে দেখা
সমস্ত পরাজিত নতমুখের ভেতর নিজেরেই
খুঁজে গেছি শুধু।

ভরসা এই, বৃক্ষ আছেন
এখনো ভাবা যাচ্ছে—
পাতাঝরা
দিনই তো
গাছের ঋতুকাল
তারপর
ফুল
ফল
এবং বসন্ত।


জ্বর

বাংলা সিনেমায়
বোতল ভাঙ্গার দৃশ্য দেখে
চোখ সরানোর বয়স তখনও হয় নাই। 
তোমাকে চিনতাম। তোমার মাকেও।

সিনেমার দৃশ্য দেখে চোখ সরানোর বয়সে
তোমার মায়ের পাশে দাঁড়ায়ে থাকা এক স্কুল টিচারকে চিনতাম। মায়ের প্রেমিক।
তুমি উনাদের প্রেমের ভিতর টিফিন ক্যারিয়ারের ভূমিকায় থাকতা, প্রায়ই সময়।
আর তিনজনেই ঘুরতে গেছিলা ডোমার ফরেস্ট।

বহুদিন পর ঐ ফরেস্টের এক ড্রেনের পাশে
একটা ছেঁড়া কামিজ দেখে আমি বাড়ি ফিরছিলাম। 
সেইরাতে আমার খুব জ্বর আসছিলো।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ