TopTime

আজ বঙ্গাব্দ

বি-স্কেলে গজল | নীলিমা দেবের কবিতা


এক

লিপস্টিকও জানে 
কতটা গাঢ় হলে আয়নার সামনেই লেপটে যাবে ভিটামিন-সি 
রঙের প্রোটিন টুকতে পারছে না পুরোটা রোববার 
মেরুন শিফনে আড়াআড়ি চাঁদের নাউন 
বি-স্কেলে— ‘আমার খোলা হাওয়া’  
না, নিঃশ্বাসে পাশাপাশি নেই কার্বন ও অক্সিজেন  
 
মঞ্চে রিক্সার অ্যাসিডিটি নিয়ে না হয় নাই ভাবলাম  
শরীর আর যাই হোক মন্দির তো নয়


দুই

মট করে ভেঙে গেলো চাঁদ 
চেয়ে আছি
তুমিও
অথচ কেউই দেখলাম না 
জলোষ্ণ চামড়ায় নিভে যাওয়া ঈগলের হার্ট-বিট (H2)    
কীভাবে অবসিক্যুরিটিতে (O) রিলিজ করে নুনের ইত্যাদি 
যার অর্ধেক নিয়ে আমাদের ফিলোজফি এখনো সুথিং    
নুন গলছে
আমরাও  


তিন

পাখি দিয়েই পাখি কাটি 
উড়াল জানে না  
আড়ালও  
তুমিও তো জানতে আমাদের দরজা কচলানো গজল!  
যত খুলবে তত খুলবে না

নেহাত ‘আমরা’ খুলে খুলে নিগাহ কী রুবাইয়া  
 

চার

নীরব ভাতের নিচে খিলাড়ির চার টুকরো বর্তমান   
খেলার বাইরে বল
বেকাবু 
মাঠ থেকে ঝুলে থাকা বাতাসে গুঁড়িগুঁড়ি সূর্য ওড়াই  
বলের নিচে ছায়া
         তার নিচে দীর্ঘ কিক্ 

বিউরির ডালে লাল হচ্ছে খিদে  
কেবল রুমাল দিয়ে মুছে যাই ভাতের ঘাম…  
  

পাঁচ

নখ দিয়ে জ্যোৎস্না খুঁটি  
টেনে উঠাতে পারছি কই ছলাৎ  
কেন যে জল কখনো সাঁতার কাটে না… 

নদীর মূর্ধন্যে ম্যাটিনি ফ্রি হবে— হবে    
সিন  
টু 
সিন 
‘টু লেট’— নীল   


ছয়

জামার নিচে কাঁচা সূর্য 
চাষের শব্দে এক কিলো রাত তখনও আনইজি 
গেহুঁর চাঁদে তোতা ফলাচ্ছে কেউ   
এক কোপে দু-ভাগ আকাশ 
গীতবিতানের রক্ত ঠুকরে ঠুকরে নিচে নেমে আসছে কেওড়াজল  
   
জ্যোৎস্না নিভিয়ে দাও



নীলিমা দেব। জন্ম ৩১ মে ১৯৮৩, ৮২ মাইল, উত্তর ত্রিপুরায়। মার্কেটিং-এ এমবিএ। বাসস্থান: তাম্বারাম, চেন্নাই। প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ: ‘ব্যক্তিগত অরণ্য’।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

5 মন্তব্যসমূহ

মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।