কিস্তিবার
একটা আধখাওয়া চাঁদ আকাশে ঝুলে আছে, উঠানে দাঁড়িয়ে চাঁদটা পরখ দেখছে মা
ঘরে কর্ কর্ একটা শব্দ হলো, মেয়েটি চাপা গলায় ককিয়ে উঠল উফ!
শব্দ দুটি উড়তে লাগলো হাওয়ায়,
পূর্ব থেকে পশ্চিমে—
চাঁদটা ঢুকে যেতে লাগলো কালো দীর্ঘশ্বাসের ভেতর
কে যেন বেল বাজালো, কে যেন ডাকলো, অন্ধকার ঘিরে ধরছে কুপির আলো
মা ত্রস্তহাতে ছেঁড়া নোটটা এগিয়ে দিল
কুপির আলোয় জ্বলজ্বল করছে একটি শেয়াল অথবা বনবিড়ালের চোখ।
একটি গুচ্ছগ্রামের ঠিকানা
মাস শেষে বাবার অনেক দুঃখ জমা হতো, মা দুঃখগুলো যত্ন করে লুকিয়ে রাখতো ঘরে
দুর্ভাগ্যবশত সেখান থেকে জন্ম হলো আমার, আমি বংশাঙ্কুরভাবে একটি দুঃখের চারাগাছ,
বাড়ির সামনে ঘর্মাক্ত মানুষের ভিড়, ছায়া নেই
এক সমঝদার, মায়ের থেকে চেয়ে, আমাকে পুতে দিলেন সেখানে
আমার ছায়ায় যারা বসে, আমি তাদের ঠিকানা লিখছি।
কয়েকটি নির্গন্ধ ফুল
প্রতিটি শব্দের বিনিময়ে একটি করে চাল পেলে, আমারও থাকতো গোলাভরা ধান
বাড়ি ভর্তি অন্ধকার—
অন্ধকারে একটি চম্পাগাছ, গাছটিকে দ্বিধাহীন গর্ত করে যাচ্ছে একটি কাঠঠোকরা
এ খবর ইঁদুর তেলাপোকারা রাখে না, ঘরভর্তি কবিতার বই, কেউ গন্ধও নিতে আসে না।
1 মন্তব্যসমূহ
"কুপির আলোয় জ্বলজ্বল করছে একটি শেয়াল অথবা বনবিড়ালের চোখ"- কী প্রকট এবং অতিকায় বাস্তব। অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। ধন্যবাদ কবি, মুগ্ধ হলাম।
উত্তরমুছুনমন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।