মৈথুন
পাখির পায়ে সেলাইয়ের কারুকাজ। রাতভর ঘুমায় না। হলুদ পায়ে জয়তুন মেখে দেয় একটি মানবিক হাত। হাতের পিঠে রজনীগন্ধা গাছে প্রেমিকার স্তনফল। তার পাশে কয়েকটি কালো কাক আর ভূত। রজনীগন্ধার— কোমল সুবাস পেয়ে পাখিটা ঘুমায়। মানবিক হাত জেগে থাকে। বুকের উপরের মেঘ সরিয়ে ধবধবে চাঁদ মুঠোয় নিয়ে নির্যাস পান করে— দীর্ঘ চুলে নাক গুঁজে আঁকে আদর। কল্পনার মৈথুন ভেঙে গেলে মানবিক শরীর—
আবিষ্কার করে বুকের উপর একটি জিরাফ ঘুমিয়ে আছে। প্রেম নয় এ যেন শরীরের সাথে শরীরের অনাকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধ।
বহুগামী ঘোড়া
কমলা রঙের রোদ মশারির ছিদ্র গলে আসে— চোখে চুমো খায়। আড়মোড়া ভেঙে বসি। দেহের কোথাও এতোটুকু শক্তি নেই আর। গতকাল রাতে ঝড়ের কবলে
থেতলে গেছে হৃদয়ের প্রতিটা কোণ। নিজের মাথায় হাত বুলিয়ে নিজেকে সান্ত্বনা দিতে দিতে ভাবছিলাম পাখিরা কেনো মাছ হয়? মাছেরা কেনো মানুষ? ক্রুশবিদ্ধ হাতে গোলাপের বাগান নিয়ে— কার হৃদয়ে তুমি প্রেমের ধর্ম প্রতিষ্ঠা করবে? প্রেম একটি বহুগামী ঘোড়া। যে কেবল এক হৃদয় থেকে আরেক হৃদয়ে স্থানান্তরিত হয়.....
ভেতর ও বাহিরে
প্রিয়তম অন্ধকার তোমার নাভীর ভেতরে দীর্ঘশ্বাস ফেলে দূরে জোনাকি আপন মনে জ্বলে— মেয়েটি সুর করে কাঁদার অবসর খুঁজে। আলোর ভেতরে গোপনীয়তা নেই। কোথায় আড়াল করবে টিপটিপ বৃষ্টি? একটা হাসি!
শরীরে শরীরে সঞ্চারিত হয় তাপ এবং শোক। বিবাদের দিনে চুলের মুঠির ভেতর ফুসফুস করে জলঢোঁড়া সাপ। বিষধর নয় জেনে নেউল ঝাপিয়ে পড়ে। দূরে হাত তালি দেয় কয়েকটি ইঁদুর— অন্ধকারে খুলে খাবে মরা মাংস।
0 মন্তব্যসমূহ
মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।