আয়ুষ্কাল
একটি ভাঙাচোরা চায়ের টঙ— জঙধরা বেঞ্চি। সেলাইয়ের
মেশিনের রঙিন রিলে ঘুরছে কয়েকটি উৎসুক মুখ— ঘুরছে
অবিরাম। সাইকেলের টায়ারে ভ’রে রাখ প্রলম্বিত প্রাণবায়ু।
সমগ্র ক্যালেন্ডার জুড়ে বাদামি রঙের বেতফলআয়ু। একা
কলোরব তোলে কম্পমান ইথারে।
মুদির দোকানের ভেতরে টাঙানো
পোস্টার / যাপিত সন্ধ্যা পোট্রের্ট।
অবহেলা— এবার ফেরাও তোমার তরবারি।
জিরাফের চোখ থেকে সরাও ধনুক।
হে আয়ু— তেজি হ্রস্ব ঘোড়া।
জীবনানন্দ
হিজল গাছ থেকে— রাতের লক্ষ্মীপেঁচা
তার চোখের—
অক্ষে ফেলে অজস্র পুষ্পের স্তবক।
ফুলের শরীরে— সঞ্চারিত মৃদু গন্ধের মতন
তার সমগ্র হৃৎপিণ্ডের করিডোর জুড়ে
বিছিয়ে দেয় নতুন জীবনের বীজ।
ভাঙা দরজার বাইরে চির প্রতীক্ষমান মাঘ
প্রচ্ছন্ন শীতল কুয়াশার— মাঝে
যেভাবে ডুবে যায়—
কোন সান্ধ্য গানের মুখর আসরে।
তেমনি বাঙলার বুকে জীবনানন্দ
এক অবহেলিত শীতকাল।
সন্ধ্যা
এভাবে— নীরবে ভাঙে— অন্ধকারের রঙ। সন্ধ্যের বিদগ্ধ
বাতাসে ঘোরগ্রস্ত গন্ধ। বিগত গ্রীষ্মের মতন। মৃত বৃক্ষের
ডালে বসে এক অন্ধ বোবা রাত— শোনে অক্ষম মানুষের
গান— একটি পাখি সেখানে, ফেলে রাখে জীবনের বীজ।
সেই বীজ থেকে সকল সৌরভ ঝরে গেলে— আমার বুকে
তুমি এক বিরল হলুদ রঙা প্রজাপতি হয়ে জন্মাও।
তানহিম আহমেদ। কবি।
জন্ম ৩ এপ্রিল ২০০২ নারায়ণগঞ্জ জেলায়।
পড়াশোনা: উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে।
জন্ম ৩ এপ্রিল ২০০২ নারায়ণগঞ্জ জেলায়।
পড়াশোনা: উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে।
0 মন্তব্যসমূহ
মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।