TopTime

আজ বঙ্গাব্দ

কবিতা সংখ্যা: প্রারম্ভিকা | দিপু মতিয়ারের কবিতা


জ্যোতির্বিজ্ঞান

তোমার গণিতবিদ্যার ভেতর সমাধিস্থ এক ভূগোল আমি
আমার ভূগোলের ভেতর তুমি এক দুঃখের মানচিত্র
আমার নীল সরোবর। 
আয়নার ওপাশে আমাকে রেখে কাকে দেখাও তোমার সুগভীর বিস্ময়?
শরীরের হারমোনিয়ামের মতো সুললিত দাম্পত্য
ভেদ কোরে কে হয়ে ওঠে উন্মাদ দিকভ্রান্ত নাবিক?
নক্ষত্রের জটিল জ্যামিতির দ্বন্দ্বে দিশাহীন হয়ে
তোমাকেও যদি হতে হয় পারিযায়ী 
তুমিও কি তবে দিশাহীন পৃথিবীর জটিল গণিতে।

হে মহান বিজ্ঞানীগণ,
তোমাদের জোতির্বিদ্যার ভেতরে
আমার প্রেমিকাকে নক্ষত্র বানিয়ে রাখি।


শোবার ঘর

আমার ভেতরে তোমার প্রতিবেশী ঝড় এলে
মুহূর্তেই প্লাবিত অন্ধকার থেকে উস্কে ওঠে পুরোনো ঋতু
শরীরে সন্ধ্যার উইপোকা— ঘুণে খায় মায়ার পুতুল
হে মোহনীয় প্রেম—
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ রমনী
তোমার শোবার ঘরে আলাদা আয়না হয়ে ঝুলে থাকো কার শরীরে?
কাকে আজ বেশি ভালোবাসো?
তোমার শরীরের ভাঁজে ভাঁজে লুকায়িত রহস্য খুলে 
কে খোঁজে জীবনের পুনরুত্থান ও জেগে থাকার গান?

বিবর্তন চক্রে আয়নার অভাব হলে নিজেকেই দেখা যায় না আর
বেঁচে থাকার ভেতরে ঝুলে থাকি রোজ,
শিকল ছেঁড়ার গানে নৃত্য কোরে ওঠে যাপিত জীবন
আয়ুষ্কাল ছিড়ে খায় মৃত্যুর কবিতা—
বর্তমান ফিকে হয়ে শরীরে বাজে গদ্যের নামতা
স্মৃতির ফণার নিচে দংশিত গণিতে
নিজেকেই পুঁজি করে কিনে আনি অসুখের শিশি
ছিপি খুলি, পান করি—

পানশালা ভেবে আজো তোমার ভেতরেই শুয়ে থাকি আমি।


হেফজখানা

তুমি এক নদীর কাহিনি
নদীর ভেতরে তুমি এক রঙিন শাপলা
প্রেমিকের ইশারায় তুমি ফুটে ওঠো।

এক নিবিড় নিশিতে তোমাকে লুটে নিয়ে যায়
কোনো এক ঘাতক প্রেমিক

আমি সেই প্রেমিক
তোমার বারান্দায় টিপ টিপ ঝরে পড়ছি।

বর্ষার গানের ভেতরে তোমাকেই  মুখস্থ করে যাচ্ছি।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ