TopTime

আজ বঙ্গাব্দ

সন্ন্যাসী আরণ্যকের গুচ্ছকবিতা


পিতা পাপী হও

শরীরে সরীসৃপ চাষে—
                                            জুরাসিক ফিরুক
                      সবুজ দুলিয়ে সামনে দাঁড়াক ঢেউ
—মুখে খুলে দিয়ে সমুদ্র বেসাত। (আহ+++)
অমুলদ অন্ধার নির্মিত পৌনঃপুনিক জিহ্বায়—
ডট ভাসিয়ে গঙ্গামালতি— 
                                          ঢিবি খুলে নোনতা চাখো
হাড় উনিয়ে ঝরাও 🔁 ঝরুক (উ)লালা…

চাখো—
চাখো— হেই, জ্বলজ্বল চোখের পাগলা ঘেউ
আমাদের মাতা মনে সংক্রামক ফোনাতংক
ভ্যাক্সিন চাও?
              জমাও নিউমোনিয়া-শ্লেষ্মা— প্যাকটেরিয়া
স্বস্ত্যয়ন! 
               স্বস্ত্যয়ন!
                               আরো আরো পাপী হও পিতা!


কোয়ারেন্টিন  (২)

উত্তল ফোকাসে অভিসারী শূন্যতা রশ্মি— ∞ (   )-তা
ঘুমিয়ে যাচ্ছি— ফুসফুসে খেজুরকাঁটা— এক দুই…
সাতশকোটি। 
                         প্রা(ণ)চুর্য আলোতাস ↺
                                                   অশেষ শ্বাসকষ্ট! 


পাখি ডাকছে
                   শুশুক ভাসছে— 
                               অনুলোমে নিত্যের প্রতিরোম। আকাশে ফ্যাকাশে চাঁদ— সুন্দর/রুগ্ন ক্লান্ত! 
                                          পানিতে পা ডুবালাম
      ফিরিয়ে দিল— স্রোত গোটাবে 
                      ভাবছে নদী পরিবার। 
বিজ্ঞানের লুঙ্গি খোলা
উপসনালয় মাপছে বাড়ার জোর
                                                  অহ নদী!
                                                           ছেনাল চাঁদ!!


বৃক্ষমঙ্গল


ঘুমাতে দেখে গাছেরা ভাবে মরে গেছি। কোলে নিয়ে কান্না চলে কিছুদিন। পুরনো শীতে পাতা ঝরা উলঙ্গ যে-গাছ— মানুষের ভাষা বোঝার ক্ষমতা ছিল না কোনোদিন— আজ এই ঘুমের দুপুর, আজ এই বৃষ্টির দিন— খোলা থাকে মৈথুনপুরাণ, খুলে যায় অজন্তার গুহামুখ। সারবেঁধে দাঁড়ায় ভাঙা লিঙ্গের চট ওঠা মূর্তিগণ। শরীর থেকে খসে যায় অণু পরমাণু— ফাঁক গলে টুপটাপ ঝরে তরল আকাঙ্ক্ষা— ঝরতে থাকে নিষিদ্ধ ইতিহাস... গাছেদের করুণ শোকে!



সূর্য বাকলে ভরে ঘুমাতে যায় রাতের কোলে। শ্বাসের  নিশ্চয়তায় কিনে নেয় পা— হাঁটায় নির্ধারিত পথে।
আবর্তনে হাঁটতে থাকি— বুঝতে পারি বহুব্রীহি 
গোত্রের গাছেদের অজানা চড়ুই জাতির অংকশাস্ত্র। তাপ ও আলো আপেক্ষিক বলে আরোকিছু অপেক্ষা— যদি ফিরে আসে গাছের শরীরে জলজ কম্পন। প্রাগৈতিহাসিক প্রার্থনায় হায়ারোস গামোস— যেখানে অনুৎপাদক বৃক্ষ ছিল না কোনোদিন।
অহ যিশু! ভক্তির বৃক্ষ— রুপান্তরে ইউক্যালিপটাস!


পোতাশ্রয়

জিনোম করা হলে DNA’তে আটক সন্তানবতী 
প্রাচীন কটাল। এইসা তাপ গ্রীষ্মে— জল ফেরানি
জিহ্বা ডগায়— ভাঁজ খোলানি উন্মুখ আশাবাদ।
খাঁজ নিয়ে যে ভাঁজ সবুজ সিগনাল— ধরতেই ফুস!

প্রসঙ্গত, পালক খসে গেলে পাখিরাও গাছ
এই মর্মে, সে-সব গতরে উস্তে ধরে।
পরিত্যক্ত ফারাও মন্দিরের গোপন লকাবে ডুবে
থাকা মধ্যমার মতো ক্রমে মাতৃগর্ভে ঢুকে যায় 
শোভা সপ্তর্ষি— সময়ের করুণ অবতার। 
ক্রাচ ভরে থিরদাঁড়ায় অদৃশ্য ঘাত— আশাত, কোনো বুকে থাকে না দশগামী এসাইলাম।


এই লেখকের অন্যান্য লেখা:
• সন্ন্যাসী আরণ্যকের এবাদত ও অন্যান্য নয়টি কবিতা


সন্ন্যাসী আরণ্যক। কবি। জন্ম ১৯৯৩ সালের ১২ নভেম্বর মাগুরা জেলার মহাম্মদপুর থানায়। বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক, স্নাতকোত্তর। প্রকাশিত কবিতাপুস্তিকা: ‘ইভা ব্রাউন’ (২০২০)।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।