কল্পনা চাকমা ২০২৪
ড্রাগনফলে ভরা উপত্যকায় সন্ন্যাসিনীকে খুন করে
যে পথ চলে গেছে আয়নার ভিতর দিয়ে শ্যালো লিভিং-এর দিকে
গল্পের সেই অনূপ থেকে উঠে আসছে
অতীত কাঁটালতা পানকৌড়ির পালকজড়ানো এক বৃষ্টিমুখ
কৌসানি নয়, যে চেয়েছিল তার মৃত হা-মুখের ভিতর থেকে
সুবিলের জোনাকিদের ধরে এনে নেভা লণ্ঠন জ্বালিয়ে দিক কেউ
জাল ও জাগরণের গল্পে
ক্রস ফায়ারে-মরা মাদ্রাসায় পড়া মেয়েটির
চকোলেট-প্রীতি নিয়ে, চে'র তৃষায় স্তন্য ঝরানো নিয়ে
আজ আর কেউ কাঁদে না
সীমান্তে শরৎে
জড়িয়ে আলো ব্রহ্মাণ্ডের
ঘুমাও স্বর্ণা দাস
নেই তাড়া আর পেরিয়ে যাওয়ার
কাঁটাতারের গ্রাস
ভাইয়ের জন্য এনেছিল
খেলনা পিস্তল,
তার গুলিতে লাশ ফেলানীর
রক্তে শতদল
নোম্যান্সল্যান্ড এক মাতৃগর্ভ—
যে বলে সুচতুর
শাহজালালের পুড়ছে সিনা
যেমন মুসা'র তুর
বজ্র তো লুকানো ছিল
মেঘ যদিও শরৎ
জয় ফরহাদ মুছবে আয়না
অটুট হিস্যা, দরদ?
ভূ-রাজনীতি, রবীন্দ্রনাথ...
এসব তাসের চাল
ঘুমাও এবার মায়ের গর্ভে
স্বর্ণা মহাকাল
মায়ের রক্তে ফুটুক আম্মা
মুছে সকল শর্ত
জাহান জুড়ে এক চন্দ্রে
ত্রিকাল মুছে বর্ত্ম
হ্যামলেটের অভিশাপ
যুদ্ধের বছরে গ্রামে মোষের দৌড় প্রতিযোগিতায় না জিতে
আপনি কী করে আব্বার ছোটকাগজ 'অর্কেস্ট্রা'য় লিখবেন?
নো ফ্লাই জোন আসলে পারমিতার মরফিন,
হয় ফ্যাসিবাদী ট্র্যাজেডিতে ডুবে মরো নতুবা ভোরের আজান হয়ে
জমা হতে থাকো কুসুমে, দুয়ারে— ব্যক্ত হতে চেয়ে
পুরনো প্রেমিকার আলিঙ্গন, ছাই দেরাজে রাখতে নেই,
নভোযান থেকে স্বাতীনক্ষত্রের মাধ্যাকর্ষণ এড়িয়ে সেসব ছড়িয়ে দিও
দুঃসময়ে
ফারাক্কার ছেড়ে দেয়া মৌসুমী জলমাস্তানদের
উঠতি দখলবাজ রাজনীতিবিদ মনে হল,
আর
ক্যাথিড্রালে পৌঁছার আগে বন্ধ পাটকল খুলে দেয়া জরুরি কি না,
কিংবা
মাঝরাত্রির মহাসড়ক হয়ে ফ্ল্যাশব্যাকের মধ্যে জড়িয়ে পড়া;
এলিজি লিখে তাকে সার্থক সোনাটায় রূপ দেয়ার আগে,
মানুষের কখনোই না-বলতে-চাওয়া বিড়বিড় করে আওড়ানো
কথাগুলোর চোরাবালি এড়ানো শেখাটাও জরুরি
আরাকান রাজাদের আড়কথা নতুন করে লিখতে আমার আর
আকবরের নবরত্ন সভায় যাওয়া হল না আব্বাকে নিয়ে
প্রতিশোধ ২০২৪
তোমার গাঁজা হাতে আনমনা নীৎশে,
আমি নিরোধক ফেটে বেরিয়ে পুন:প্রচারিত হতে চেয়েছি
ঘন সিসার ভিতর তোমার ডাকিনী নাচ,
অফিসফাইলে অর্থনাঙা স্বাক্ষরে ভারে ক্রমশ বনাঞ্চল আমি
তোমার ঘুম ক্রেডিট কার্ডের পাশে,
ভাবছি সাইবার ক্রাইম নাকি মব জাস্টিসে বৃষ্টি হয়ে ঝরব
তোমার ভাল পুলিশ,
পাহাড়ে ধর্মান্তরিত সাইনবোর্ডে আমি খ্যাপা গণ্ডারের ছায়া
আমাদের সজাগ আলোর অনেক নিচে,
এক ছোট্ট ফুলঝুরি পাখি
গুমঘরের সাথে কমলযোনির,
উর্ণাজালের সাথে উড়ন্ত চুমুর,
সমাসবদ্ধের সাথে ফিরতে না পারার
প্রলাপ করিয়ে দিচ্ছে
একটি প্রেমের কবিতা
ওয়ার্কশপে হাতুড়ি-পিটার মধ্য দিয়ে সন্ধ্যার আজান পেরিয়ে এসেছি
এখন তো ভালবাসাই যায়
বাংলাদেশের মানচিত্র বৃদ্ধির স্বপ্নের মতো
রোজগারপাতি বাড়লে
ইনহেলারের টাকা বাঁচিয়ে আর ফুল কিনতে হবে না
রেডক্রসের ত্রানবহরে লুকিয়ে পাঠাতে হবে না বুদ্ধের বীণা
যা তোমার আলজিভের কাছাকাছি গণভাষা হয়ে উঠতে পারে
কথা দিচ্ছি, এক্যুরিয়ামের অতীতশূন্য মাছের মতো
ডার্ক ওয়েবের প্রতি ঝুঁকে পড়বে না নিষিদ্ধ রাজনীতি
কেবল শুকনো পদ্মা থেকে কলসিতে আনা পানিতে
আমাদের স্বপ্নসংহারকের মুখ যেন ধুয়ে না দেয় কেউ—
এই প্রতিজ্ঞার আশেপাশে
ভেজা দেশলাইয়ের শ্রুতিতে এবার ভালবাসাই যায়
0 মন্তব্যসমূহ
মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।