অতীতের রূঢ়তা কলারের বকরমে
দেয়ালে ফাটা শুকনো পথ ঢেকে রাখা ঝুল
ভীষণ নির্বোধ
প্লাস্টিকের সম্ভাবনাগুলো আজ লতা আর প্রজাপতিতে জাপটে
জলের ধ্বনির আভাসে অতীতের রূঢ়তা কলারের বকরমে আনাগোনা করেই থাকে
তাই ব্রুট মাস্ক লাগাই, মাথায়
অনিয়নের গাঢ় তেল
তারপর ঢুকে পড়ি বহুরৈখিক কথাবার্তার উঠোনে
একা একা নদী এগিয়ে যায় রান্নার ছাঁচাতলায়
রুটিন মাফিক মাধবিলতা ফোটে
অ্যাসবেসটাস ছাদে চাঁদ জ্বলে, যেন আলেয়া
পুরিয়াকল্যাণে শাঁখ বাজে সংসার উপকূলে,
তুলসী তলার প্রদীপে আলো ছায়ার ঘুণকাটা সমস্যার অতিকথন
তুমি আত্মহত্যার স্বপ্নে বিভোর ঘুমিয়ে যাও
আমি কবিতা নিয়ে খেলা করি
চিৎ সুখের দেয়ালে
শরীরের ভেতর হাই তোলার শব্দ শুনলে, মনে হয় আগরবাতির খুশবু ঢিমি তালে
এ পাড়ায় বসত গড়েছে, জানেন প্রভু
আমি ক্রমশ ধোঁয়া হয়ে যাচ্ছি,
নীচের দিকে সম্বন্ধপদের অনুসর্গে ডুবে যাচ্ছে মজ্জারস
এতো ঠ্যালাঠেলি বৃষ্টিপাত, তবু সাহস কই
ভুল বোঝা শব্দরা চিৎ সুখের দেয়ালে টুকরো টুকরো
রেচনজল ট্যাগ করে অনর্গল
এই হস্র দেহভাঁজে কোন দাগ নেই
চোখ খুলে দেখলেই নিজস্ব গড়ন খুলে নিভু নিভু ঘুম ছেড় দেখি মিথিলা বিকেল
এখনো পাশ ফেরা ফুটপাতে উচ্চারণ করছি
কীট
নাশক
টাটকা খাবার, আর
জিভের অনুবাদে লবঙ্গ মাজনের সোঁদা গন্ধ
তবুও ওরা বিশ্বাসই করে না; ধ্বংস রাতই
আমার একান্ত সলিলকি
শর্তবিহীন কর্তৃকারক
শৃঙ্খলার সূক্ষ্মকোণে বাঁকা চাঁদ, মেঘে ঢাকা
রাস্তায় দূষণহীন উষ্ণ জনপদ
প্রয়োজন শেষে নদীজলে দেহতত্ত্ব আড়ষ্ট ভাঙে, লম্ফের আলোয় ভেজে অন্ধকার
যত দূরেই সেমিকোলন দিই, হে অছিলা
গড়াতে থাকা রাত, রহস্যময়ী
চোখের পাতায় জলঘরি বাঁধে
আমার পেশিতে ভুল বানানের সংস্করণ
আমার একাকিত্বে সম্পৃক্ত হয় জলীয়বাষ্প
মননে বাঁশবন স্নায়বিকভাবে পাঁজরে হেলান দিয়ে
তোমার আলপথে দাঁড়িয়ে স্নান করেছি, অশ্রু
এখন শর্তবিহীন কর্তৃকারক উবে যায়, সুতোহীন শরীর থেকে
নিঃসঙ্গ ভিড় ঠেলে এগিয়ে আসে ঘাপটি মেরে বসে থাকা সভ্যতা
অভিজিৎ দাসকর্মকার। কবি। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর শহরে বেড়ে ওঠা। বিভিন্ন প্রিন্টেড ও অনলাইন লিটলম্যাগে নিয়মিত লিখে চলেছেন। প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ: ‘১টি অরাজনৈতিক স্টালিনসন্ধ্যা’ (মল্ল সাহিত্য প্রকাশনা), ‘জিরো দশমিক’ (বই তরণী প্রকাশনা), ‘বিবস্ত্র শব্দের সলিলকি’ (৯ নং সাহিত্য পাড়া লেন), ‘ভার্জিন লিথোগ্রাফ’ (কবিতা আশ্রম), ‘মোহনা বিভাজিকা নাভি’ (সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল প্রকাশনা)। সম্পাদনা করছেন সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল ওয়েবজিন।
4 মন্তব্যসমূহ
তিনটি কবিতাই দুর্দান্ত !! কাব্যিক ব্যঞ্জন এভাবেও পরিবেশন করা যায়!! কুর্নিশ কবি ও তাঁর অনন্য কলমকে 💕💕
উত্তরমুছুনখুব ভালো লাগলো। তোমার কবিতার চলন তো আমি জানি।
উত্তরমুছুনচিৎ সুখের দেয়ালটা আরো কিছু ক্ষণ চিৎ করে রাখলো। চলনে শরীর ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়
উত্তরমুছুনশব্দের ইন্দ্রজাল, মায়াবী reaction.
উত্তরমুছুনমন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।