TopTime

আজ বঙ্গাব্দ

রথীন বণিকের কবিতা


নৈয়ায়িক ধোয়াধুয়ি

আকাশকে পাতলা করে পেটের বাঁদিকে বেঁধে দেব
জড় জিভ চাওনি
শুধু ফর্দটা খর্বতা বোঁটামাফিক
আনি প্রথম প্রথম মাটি
মাঝ রাতে কাতুকুতু বলো আমরা কোথায় হারিয়ে যাচ্ছি...
বেস্ট ফ্রেন্ড টুকটুকি দ্বীপ হারা কালশিটে
ভর্তি পরিচয়
শার্লক হোমস গাছেদের চুনোপুটি
সাকার না নিরাকার গোঁফ
ভোরের আনন্দ কখখনো দীর্ঘতা এনেছিল
কাঁথায় করে সেটুকু খাবার
ব্রহ্ম
ফেলে দেওয়া হয়েছে রাণী


জেনারেল নলেজ

সেফজোনে আন্ডারপ্যান্ট পরে
একটা ক্লিক রশ্মি
বংশীখণ্ডে রবে না খ্রিস্টভীতির
হাসপাতাল
যে মহিলার অমীমাংসিত মাংস খণ্ড
হাজার হাজার বাল্বের অঙ্কুরোদগম
গ্রীষ্মকে এখনও সহনাববতু
করেনি চাকা
চাকুরি হাইব্রিড শস্য
নিত্য বৎসরে আমি চাই
তুমি আমার প্যান্টালুনস খুলে সব দেখে নাও
কুচকাওয়াজ


এ লোনডি লন্ডন

ফ্রয়েড তার নিজের সঞ্জোনিন ব্যাকারণ ছুড়ে ফেলে আমার চুল কেটে দিত
প্রত্যেক নববর্ষে
আমি ও তার
মস্তকমুণ্ডনের শরিক ছিলাম
সেই সব দিনের ধোঁয়ায়
এখনও উঠোন খারাপ হয়ে যায়
প্যান্ট না পরা চশমায়
ফ্রয়েডই লিউশন শেষে
ডিউক হতবাক...
বোঝানোর সাথে সাথে
মোজা উঠিয়ে
ঝাঁপ কালতলায়
ফ্রেন্ড শুধুমাত্র লাইফের
একটা পেচ্ছাপ
আরেকটা পায়খানার সুস্বাদ
হিমসাগর তার দূর বন্ধুরাও পেত
ইটালি ফোন গরম অবস্থায়
ভিশন
পর এক দ্রুত ঘুম
উৎপাটিত
প্রত্যেকটা চোষার অপেক্ষায়
নামিয়ে দিত
পীড়া আফিং গলা


করতোয়া একাদেমি

৬০ থেকে ৭০ বয়সী হিপরিসমেন্টের নয়া
তনয়া লিঙ্গ মতে চরম পৈশাচিক
অহম
আনুমানিক একা দশ
পরম সাকার নাভি গুলাতে
যেমন প্রমাণ
পর পর ধন্য হতে
কার্পণ্য
কে বা জানে
সংকেতের মায়া রস
সঠিক জিভদেহ হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার
জ্বালা
আমাদের কারণ অংশে
দেবী খ্রিস্টপূর্ব
তং হি তারা


রোবট টেকনোলজি

আস ভারতে ফুটিলো
মেনসিয়াস
লোমে প্রকৃতি
আজ তো
টেলিং লাই
সার্চে ওড়া স্তব
হে একটি মশায়
ঢালছো
চুমালোভ


শ্রীগ্যামেট

শিলাটার পাঁজর ওড়না হয়ে
।। প্রত্যেকটা মাত্রা খসাচ্ছো বলে>>>
কোনোদিন মাংসের বুক
কোনো কোনো সিঁড়ি হয়ে আসেনি উড়ে
খোলা চুলের বাষ্পে
নীল রঙের ছেলেটি নাভিটি
কতদিন ধরে হরিণানি একান্নটা কয়েলে
রোটেশন ভিত্তিতে চলেছি
খটা খট খটা খট


নতুন সতীদাহ

চণ্ডাল ও তুলসীর বিয়ে শাস্ত্র মদে শুদ্ধ দেশীয় অহর ডাল তাক করা খা মনের অত্যুক্তি পাঁজর
যেই সকালের চেয়েছো
ধর্ম ছাড়াই রাজযোগ
বিয়োগের বস্ত্র মেরামত
দিনের আলো
গান ধরবো...
অঙ্গ দেহতায়
চড় নমঃ সতী সাধ্যেই নামো


সানগ্লাস এবং তাহার গোপন অংশের চুড়মুড়

জাতে মিশিয়ে প্যারোট রোদ্দুর লোহার ক্রিম ভূত
বলে নাকো ভাদ্র লবণ 
একলার স্যুপ তরশু  
পাহাড় প্রমাণ হাড়ে
সুতানুটি লাল স্লিপ
ড্রয়ারে
সিংহভাগ
নবাব করে নাকো
পড়িমড়ি মেদুর
দুঃখে ভরা বাষ্পে
হে আওয়াজ
ঠিক ভুল


হামটি ডামটি

একদিন এ মাজনে ঘষেছি বরফের হলুদ আলো
কর্ণসুবর্ণ প্লেটোর এসথেটিক্সে
শুনেছি মেঘ কত রকম পৌরাণিক শুকালে
ইম্পেরিয়ালিজম
সামবেদের শাক রেঁধে
উঁচু নিম্নতমুখী
তাহিতি
বাহ্যানুমেয়
লা নিনা


আমায়ণ জামায়ণ

মুখর তাপে বেশিদূর অথৈ শৈশবা ডট যবে ভবের পাক রাশে পূর্ণ নিয়তি
অনুচিত মনে হবে মন কেমনের দোলাচালে
নিষ্ঠুর মর্ম পঞ্জিকা
অহর্নিশ বাজিবে
কৈফিয়ৎ কুলেখাড়া
শতদিক ভিড়ে
অমনিতে মরিবে
পৃথ্বী ব্যাম
শৃগালে শৃঙ্খলে
সুপ্ত রান্নার ওয়ারে
দুটি জুলুম
অমানিতা


রথীন বণিককবি ও গদ্যকার। পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে জন্মগ্রহণ ও বসবাস। লেখাপড়া বাংলা সাহিত্যে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ

  1. অন্যরকম, সাবলীল, চিন্তাজাগানিয়া। ভালো লাগলো কবি। ভালো লাগলো।

    উত্তরমুছুন
  2. প্রতিটা কবিতায় আলোআঁধারীময়। গভীরার্থ বুঝতে গেলে গভীর পাঠক হতে হয়।

    উত্তরমুছুন

মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।