TopTime

আজ ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টোটালিটির দায়ভার: ‘কবিতার জগৎ, আত্মার জগৎ’ | পর্ব: এক | সাজ্জাদ সাঈফ

অলঙ্করণ: নাজমুল হোসাইন


অমর মহাকাব্য ফাউস্টের স্রষ্টা গ্যেটে বলেছিলেন—
‘অনুভূতিই আমার কাছে সব... জাতীয় সাহিত্য এখন বরং এক অর্থহীন কথা। বিশ্ব সাহিত্যের যুগ আসন্ন হয়েছে’।

এই সমূহ বোধের যাত্রাপথে ছিলো তীব্র সব নিন্দা ও নন্দনের ফলভোগের ইতিহাস। একই পরিণতি বাংলায় মধুসূদন হতে রবি ঠাকুরেরও হয়েছিলো, একজন কবির দ্রষ্টা টাইপ পার্সোনালিটি হবার আগে আসে ভাষার প্রতি সংবেদন। নিজ ভাষার ধ্বনি-ব্যঞ্জন সহযোগে অনুভূতির রকমারি আয়োজনে ঋদ্ধ হয় কবির অন্তর। এই প্রয়াসে জীবন ও জগত নিয়ে তাঁর পর্যবেক্ষণ এক অভিন্ন সৌন্দর্যচেতনা হতে যাত্রা করে থাকে যেখানে পথ ও বিপথের সংস্থান ঠিক মানব প্রবৃত্তির অনুগামী হবার ফুরসৎ নিয়ে আত্মগত হতে থাকে ক্রমে।

এই কথাগুলি সমগ্র কাব্যসাহিত্যে প্রযোজ্য, আর সময়ের সাথে সাথে শিল্পের স্ট্রাকচারে যে পরিবর্তন আসে তার প্রেক্ষাপট নির্ভর করে শিল্পী ও শিল্পভোক্তামহলের রুচির তারতম্যের ওপর।

বাংলাদেশের সাহিত্য এখন বিশ্বসাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ, খুব বেশি না হলেও যে অল্প সংখ্যক তীক্ষ্ম কুশলী লেখক এখন লিখছেন তাঁরা জীবনানন্দ-বিনয়-তারাশংকর-মাহমুদ-উৎপল-ইলিয়াসের যোগ্য উত্তরসূরী, সবচেয়ে সমস্যার জায়গা যেটা তা হলো ভিলেজ পলিটিক্স, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে বিভক্ত হয়ে অস্তিত্বের রাজনীতি— সত্যিকারের লেখকের জন্য এর সব‌ই গৌণ বিষয়, সমকালীন মিডিয়াগুলার চলমান আওয়াজে নিজের নাম বাজতে শোনার আকাঙ্ক্ষায় দিন কাটানো লিখিয়েদের প্রচন্ড ভিড় এড়িয়ে যারা আত্মনির্জনতাকে সঙ্গী করে লিখে যান যুগে যুগে।

একই কথা বাংলা কবিতাকেও প্রেফার করে। একদা বাংলা কবিতার লিফলেট ষাটের কলকাতা নিবাসী কবিগণ হাতে হাতে বিলি করেছিলেন শুধুমাত্র আধুনিক কবিতার দিকে পাঠকের আকর্ষণ অটুট রাখার দাবীতে। পাঠক আকৃষ্ট যে হয়েছিলো তার প্রমাণ হিসেবে ৬০-৭০ এর অজস্র কালজয়ী কবিতাই যথেষ্ট। হাংরি-স্যাড জেনারেশন আন্দোলন এইটা প্রমাণ করে ছাড়ে কবিতার জন্য জান বাজি রাখা যায়, অন্তত সেই স্পর্ধার আলামত তো বটেই। কবিতার জন্য হুলিয়া মাথায় নিয়ে নির্মলেন্দু গুণ যেমন তেমনি আল মাহমুদ, শামসুর রাহমান, রফিক আজাদের স্পর্ধা বাংলাদেশের কবিতার একটা স্থায়ী প্রতিকৃতিও স্ট্যাবল করে গেছে। বেলা গড়িয়ে এখন ২০২০ ইংরেজী সন। বাংলাদেশের কবিতার যাত্রাও বিস্তৃত হয়ে আন্তর্জাতিক কবিতার অন্তরঙ্গ পেয়ে গেছে এদ্দিনে, বিতর্ক হোক বা না হোক বা নিদেন সমালোচনা, এর দরকার আছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ তাঁর পূর্বসূরীদের ধারাবাহিকতায় পথ হাঁটছে। এই সময়টি তুমুল মিডিওক্রেসির বলেই একটা বিশেষ গোষ্ঠী তো সক্রিয় বটেই এর বিপরীতে। বিষয়টি হলো বাংলাদেশের সমাজ বাস্তবতা বাংলা কবিতার বৃহত্তম বাস্তবতা। এখানে অবাধ শিল্প বিনিময়ের রীতি উপস্থিত সর্ব সম্প্রদায়ের একক অস্তিত্বের স্বরূপে যা একদা বাংলা কবিতার সর্বমান্যতা বজায় রাখা খোদ কলকাতাতেও অনুপস্থিত সেখানকার একঘেয়ে সনাতনী পরিবেশের দরুন। এর বিপরীতে বাংলাদেশে সত্যিকারের সেক্যুলার সাহিত্য ও শিল্পের বিকাশ বাংলা কবিতার প্রতি আন্তর্জাতিক কাব্যজগতের যোগসূত্র স্থাপন করতে পেরেছে এবং এরই পরিণতিতে বাংলা কবিতার টোটালিটির দায়ভার এখন বাংলাদেশের। বিষয়টি এমন নয় যে কলকাতা-নির্ভর কবিতা খারাপ হচ্ছে, বরং কলকাতাতে বাংলা কবিতার বাস্তবতায় বাংলাদেশের সাম্প্রতিকে বিমুগ্ধ থাকার বাস্তবতা পাশ মার্ক অতিক্রম করে গেছে অলরেডি এবং এই প্রেক্ষিত বিচারেই সেখানেও অনুরূপ পরিবর্তিত সমগ্র কাব্যভাষার দিকে অভিযাত্রা সূচিতপ্রায়। বিস্তৃত পরিসরে এই সত্যটি ক্রমে আরো আলোচিত হবে অচিরেই।

এই মর্মে মিডিয়ার মৌতাত এড়িয়ে যে অল্প কজন বাংলা কবিতার চিরায়ত সোনালি ফসল ফলিয়ে যাচ্ছেন বর্ণমালায় তাদের কয়েকজনকে আলোচনা করবার কোশেশ করা যাচ্ছে আরকি।


দুই

কবিতার অনেক দোষ, এর হাঁটা বঙ্কিম, কথা আলেয়া, ভাব অনর্থ, রুচি অদরকারী... ইত্যাদি ইত্যাদি।

এই নিয়ে কম হুজ্জত হইছে নাকি? পাঠক নাই— কবিতা হয় না— কবিরা গুনাহগার— কবিতা ছাতার মাথা ব্লা ব্লা ব্লা...

এই যখন অবস্থা, তখন বাহ্যত বাংলা কবিতাকে পণ্য হিসাবে দেখতে না পারার গ্লানি আর দোষারোপে রক্তিম করার সামাজিক প্রক্রিয়া মোটামুটি এস্টাব্লিশড একটা কালচার। এই বিরূপ সময়ে কবিতা নিয়ে দুই কথা বলা মানে কারো স্টার জলসায় পানি ঢালা বা কারো বৈষয়িক সাফল্যের চিন্তাকে বিরক্ত করা বা কারো মিডিয়াভারাক্রান্ত হৃদয়কে বিব্রতও করা হয়ে যায় বৈকি, যেহেতু কবিতা শিল্পের প্রাচীন টুলস, যেহেতু প্লেটোর মতো লোক অথবা নিদেনপক্ষে প্লেটোর চেয়ে বেশি জ্ঞানী লোকেরাও কবিতাকে অদরকারী বলার পরেও কবিতার যাত্রা সভ্যতার পায়ে পায়ে অগ্রসর।

কাফকা একবার বলছিলেন, “যার সুন্দর দেখবার চোখ আছে, সে বৃদ্ধ হয় না”।

আসলে সকল শুভবোধের নন্দনই এখানে আলোচ্য আছিলো আরকি, তো শিল্পে এই বক্তব্যের কিছু করণীয় আছে। শিল্প যেহেতু সময়কে উপযুক্ত বোধের মুখোমুখি করে এবং আরো বিবিধের সাথে সুন্দর-অসুন্দর নির্বিশেষে শুভবোধের দরজাকে উন্মুক্ত করে সেহেতু আমরা চলমান সময়ে শিল্পের অবস্থানকে উপেক্ষা করতে পারছি না সঙ্গত কারণেই৷ আর কবিতা শিল্পের একটা উপকরণ হয়ে এবং স্বতন্ত্র উপায়েও সময়ের হাতল ধরতে সমর্থ বটে...

বাংলা কবিতা যৎসামান্য লোকের কার্যক্রমেই আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে, একে জনসাধারণ স্তর হতে দেখলেও বিবিধ আর্থসামাজিক বিবেচনায় বাংলা কবিতার বহুরকম ভূমিকাকেও চিহ্নিত করা অসম্ভব যে নয় সূক্ষ্ম চিন্তার দ্বারা যে কোনো চিন্তাশীল সামাজিক ব্যক্তিত্ব তা স্বীকার করবেন নিঃসংকোচে। এখন প্রসঙ্গত এই গদ্যের বিষয়বস্তু হিসেবে বাংলা কবিতার সাম্প্রতিক অবস্থাকে ধ্রুপদ হতে বিচ্ছিন্ন ভাবার সুযোগ কোনোভাবেই মেলে না, সাম্প্রতিককালের কবিতা চিরাচরিত উপায়েই সমকালীন আর আধুনিকতম, এরই ভিতর কেউ প্রথাগত স্থিতি আর কেউ প্রথার অনিশ্চয় নির্দেশপূর্বক লিখে যাচ্ছেন কবিতা...

এখন আসি তুলনামূলক বিশ্লেষণের সূত্রপাতে, কবির কাজ কী?

এলিয়ট এ প্রসঙ্গে বলেন— “দর্শনের যুৎসই কাব্যিক আবহ সন্ধান করা: দৃষ্টির পরিপূর্ণ স্বরূপ সন্ধান, যা আদতে দৃষ্টিরই অর্থাৎ দেখার ক্ষমতারই অনুরূপ।”

মানে দাঁড়াচ্ছে যে-কোনো দার্শনিকের কাজকে ওভারকাম করে দর্শন অপেক্ষা উর্ত্তীর্ণ কোনো স্তরে দ্রষ্টা সত্ত্বার আবাহনকেই এলিয়ট কবির কাজ হিসেবে বর্তে দিতে চাইছেন। সহজ করে বললে দার্শনিকের চিন্তাস্তর হইতে উচ্চতায় বক্তব্য বা কল্পসত্য বা ধারণাকে প্লেসড করা আরকি।

কবিতা লিখতে এমনকি পড়তেও কবি/পাঠককে পড়ুয়া হতে হয় বৈকি, কবিতা শিল্পের সবচেয়ে সূক্ষ্ম অনুভূতির জায়গা। এখানে আপনাকে বুঝিয়ে দেবার দায় কবির নয়, ইভেন এমনকি আপনার জন্যেও সে লিখতেছে কিনা সেইটাও অনিশ্চিত। এই যে নিশ্চয়-অনিশ্চয়ের স্নিগ্ধতা এইটাই কবিতার আউটলুক, অন্তর্গত রূপ রস পাঠকের রুচি/পাঠ-অভিজ্ঞতা ভেদে ভিন্ন ভিন্নভাবে ধরা দেয়।

একটা মজার ব্যপার বলি—
মোহাম্মদ (সাঃ)-কে পাঠানো প্রথম ঐশী শব্দটি ছিলো— ‘পড়ো’...
সক্রেটিসের কিংবদন্তী ডিকটেশন— ‘নিজেকে জানো’।
মাওলানা রুমি (রঃ)’র পাঞ্চ সেয়িং হলো— ‘নিজের ভিতরটাকে অনুভব করো’।
এই যে ‘পড়া/নিজেকে জানা/নিজেকে ফিল করা’ এইমতো প্রাইমারি কাজের একটাও আপনি করলেন না, খালি করলেন কবিতা আর কবিকে গালাগালি এবং দোস বন্ধুদের নিয়ে মশকরার হাসি হাসলেন, এতে আপনার অজ্ঞতাই স্পষ্ট হচ্ছে জনাব। কোরান না শিখে পড়ে কিছু বুঝবেন কেউ? কিংবা ফ্রেঞ্চ? বাইবেল? তৈরি হয়ে আসতে হবে না?

“কবিতা একটি শিল্প, যে-শিল্পের রয়েছে নিজস্ব ভাষা ও ভঙ্গি, যে-শিল্প নিয়ত পরিবর্তনশীল, এবং যাকে টিকে থাকতে হলে ক্রমাগত তার ভঙ্গিকে বদলে নিতে হয়”
—এজরা পাউণ্ড

কবিতা আর যত যাই হোক, সমগ্র বিশ্বসাহিত্য বিচার করে দেখা যায় কবিতা একটা দায়িত্ব‌ও বটে, কেউ এর মধ্য দিয়ে যায় কেউ এই সত্যের অধিবাস্তবতাকে সঙ্গ দেয়...
আমাদের অনগ্রসর সমাজ বিবিধ স্টিগমায় ভোগে হেতু এই মহাসত্য তাদের বুঝে আসবে না। একজন প্রকৃত কবি একটি জাতির শত শত অধ্যাপকের চেয়ে জাতীয় প্রয়োজনে/ঐতিহাসিক প্রয়োজনে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বসাহিত্য আমলে নিলে বাংলা কবিতার যাত্রা হিসেবে অনাদি হতে এই ত্রিশ অব্দি এক ধরনের সামগ্রিক রোমান্টিক আবহ এসেছে। মূল ঘটনাটাই ত্রিশের, ত্রিশ চল্লিশ পঞ্চাশ ষাটের, যেকোনো আত্মপর তর্কে না গিয়ে এইটা বলা অযৌক্তিক হবে না যে জাতীয়তাবাদের ক্রম মান্য করে সময় আধুনিক হয়েছে, সেই সাথে কবিতাও, আমাদের কবিতা বিশ্বের‌ই কবিতা, শুধু আমরাই তার খোঁজ রাখি না বা রাখতেও দিই না!

আরেকটি বিষয় আমাদের সামাজিক জ্ঞান গম্যিদশায় সামান্য হলেও বলে রাখা দরকার তা হলো কবিতার ছন্দ/অছন্দ বিষয়টি। সেটা পরিস্কার করে দেয় সুভাষ মুখার্জির একটা আলাপ—
“গোলাম কুদ্দুসের একটা গদ্য কবিতা বের হলো। সেটা লোকে খুব নিল। কেউ ভাবেইনি সেটা গদ্যে না পদ্যে লেখা। আমার মনে হলো এটাই বড় কথা যেভাবে বলছি সেটা কতটা অ্যাপ্রোপ্রিয়েট হলো, কতটা অ্যাপিলিং হলো। যদি অ্যাপিল করে তো সেটা উৎরে গেল, না হলে বৃথা চেষ্টা। সেই থেকে আমি দুটা মাধ্যমই ব্যবহার করে আসছি। এটাকে মেলানোর ব্যাপারটা জীবনেরই মতো। যেভাবে আম পল রোবসন শুনি আবার রবীন্দ্রনাথও। গদ্য আর পদ্যের মেলবন্ধন ঘটানোর নামই তো জীবন”
আপাতত প্রচলিত মাত্রাবৃত্ত/অক্ষরবৃত্ত/স্বরবৃত্ত ছন্দ ও প্রচলিত ছন্দের বাইরে দুই উপায়েই একটা আরাধ্যই থাকে তা হলো কবিতা, মূলত কবিতা সে ছন্দে সাজলো নাকি ছন্দের বাইরে সাজলো তা ভিন্ন আলাপ, আসল ঘটনা হলো সে কতোটা ‘কবিতা’ হলো।

তবে চলুন কবিতায়...

নতুন বসন্তদিন ডাকে...
স্পষ্টতই সর্বময় পক্ষ-বিপক্ষ জারি থাকাটা এই জমানার ট্রেন্ড। বাংলা কবিতার গায়ে যদিও ট্রেন্ড খুব একটা প্রভাব ফেলে না কখনোই, ‘চিরকালীন’ শব্দটা অভিধানে অবশ্য ট্রেন্ড শব্দের বিপরীতার্থক নয়...
যা হোক, কবিতা সে কবিতাই, শিল্প সে শিল্পই, মননের উৎকর্ষ নিয়ে যে-শিল্প তার থাকে প্রবেশাধিকার সব যুগে...

আত্মনির্মিতির সুর এক অনন্তযাত্রার মতো কবিতায় গেঁথে যাওয়ার প্রবণতা এক কঠিন খেলা, আমরা এই সময়ের কবিতায় আত্মতত্ত্বকে বিনির্মাণের প্রয়াসে সফল আঁচড় দেখতে পাই বাংলাদেশের কবিতাতেও—

‘এই যে মানুষ, মুখ তুলে দ্যাখো- ওইখানে খেলা করে রোদের আঙুল
...আমাকে শেখাও গাঁ, ঊষারতি...’

কবি সৈয়দ সাখাওয়াৎ-এর সর্বংসহা ও সর্বতপ্রামাণ্য ব্যক্তিত্বময় অভিযাত্রাকে স্বাগত জানাতে পাঠককে দুইবার ভাবতে হয় না এমন সব পঙক্তির সামনে এসে—

‘শামুকের কোনও মৃত্যু নেই, ওরা বয়ে যায় অবাক জলরাশি’


জন্ম-মৃত্যু-জীবন-যাপন মেলে দিয়ে এক নির্বাণ তালাশ করতে কবিতায় মগ্নতা জারি রাখার অপরূপ কৌশলে এই কবি সিদ্ধহস্ত।

‘আর সেইসব গল্প আমরা খোলস কানে এঁটে আমরা শুনতে থাকি’

পাতাচূর্ণ উড়ে যাবার সাথে সাথে’ কাব্যগ্রন্থে এই মরমযাত্রার এক নিজস্ব টোন বহাল রাখার কৃতিত্ব নিয়ে এই কবি চলমান বাংলা কবিতার স্বতঃ সংযোজন, কবিতাকে আত্মনিঃসরণের মধ্য দিয়ে সমগ্রে প্রতিস্থাপিত করার আপাত কঠিন কাজের এই শিল্পীকে বারবার পাঠের পিপাসা জেগে থাকাটাও খুবই স্বাভাবিক।


       আগামী বৃহস্পতিবার থাকছে পর্ব: দুই 


 এই লেখকের অন্যান্য লেখা: 
• লকডাউন: সাওম শেষের কবিতা | সাজ্জাদ সাঈফ
• পাণ্ডুলিপির কবিতা: ‘করোনা সিরিজ’ শেষ (তিন) পর্ব | সাজ্জাদ সাঈফ
• সাজ্জাদ সাঈফের ‘ভাষার সি-বিচে’ হইতে দশটি কবিতা
• সাজ্জাদ সাঈফের কবিতাভাবনা, সাক্ষাৎকার ও ‘বহুদিন ব্যাকফুটে এসে’ বই থেকে কবিতা


সাজ্জাদ সাঈফ। কবি। জন্ম ১৯৮৪ সালে
যাত্রাবাড়ি, ঢাকা।
এসএসসি ও এইচএসসি ঢাকায় এবং শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়াতে। চিকিৎসা বিদ্যায় গ্রাজুয়েশন, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পাবলিক হেলথ বিভাগে পোস্ট গ্রাজুয়েশন (থিসিস পার্ট অন অ্যাডিকশন সাইকোসিস এন্ড ইটস ডিজিজ প্রোসেস ইভ্যালুয়েশন ইন এসপেক্ট অফ মেন্টাল হেলথ সার্ভিস প্রোভাইডার সেন্টারস ইন বগুড়া সদর এরিয়া)।
প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ: ‘কবি নেবে যীশুর যন্ত্রণা’ (২০১৭), ‘মায়ার মলাট’ (২০১৯), ‘ভাষার সি-বিচে’ (২০১৯, ভারত), ‘বহুদিন ব্যাকফুটে এসে’ (২০২০)।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ