দ্বিবীজপত্রী
কখনো সমুদ্র দেখিনি
অথচ এক ধরনের সৈকত থেকে পোশাক হারিয়ে ঘরে ফেরা মনে পড়ে
বাহুর ট্যাটু থেকে ফণা বিস্তার করা সাপ
আয়নার সবগুলো বিম্বের টুকরা গিলে নিলে
পড়ে থাকে শুকনো নদী— যেন সাপের খোলস
খোলসের ভেতর ঢুকে পড়েছে গল্প
যেখানে— মান্ধাতার কুয়োর পাশে
শরীর এক দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ
যে কখনোই সমুদ্র দেখে না
দ্বিতীয় নারীর সমীপে
ঘুম থেকে ছিঁড়ে স্বপ্নের বহর ভেসে বেরাচ্ছে দৃশ্যের সুপ্ত স্বরধ্বনিতে
তোমার উচ্চারণে ফুটে উঠছে প্রমিতঢঙ
দ্বিতীয় নারীর কাছে যাও— যার ঊরু বালিশের মতো চওড়া
পেপারওয়েট চাপা ঘুমের অধ্যায়ের শেষে
তারও নিশ্চিয়ই রয়েছে অনুশীলনী
সরল অঙ্ক শেষে বাসি আলো
অর্থাৎ, ক্রমশ ফুরিয়ে আসা সুতা—
তোমাকে স্বপ্নের অধিক তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে ঘুমের উপকূলে
স্পিডব্রেকার
স্তনের মতো উঁচু হয়ে আছে স্পিডব্রেকার
এই রাস্তা সাঁতার শেখানো অবধি যাবে
পোশাক খুলে রেখে দাও ডিনারের প্লেটে
প্লেট ভর্তি হুইস্কিতে ডুবে যাচ্ছে
অর্থাৎ, পোশাকেরা সাঁতার জানে না
এইসব পোশাক তোমাকে ডোবালে
টিভির রিমোট নিয়ে একটা বেড়ালও
লাফিয়ে নামবে না টিভির উপর থেকে
সুতরাং, আয়নার পানিতে জিইয়ে রাখো তোমার বিম্ব, তোমার জেব্রাক্রসিং—
1 মন্তব্যসমূহ
ভালো লাগল। আপনার কবিতা পছন্দের।
উত্তরমুছুনমন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।