TopTime

আজ বঙ্গাব্দ

কবিতা সংখ্যা: প্রারম্ভিকা | নম্ফোদ্র দিলাওয়ারের কবিতা


থেকে যাব তোমার 

থেকে যাব তোমার নথ হয়ে
কানের দুল
           পায়ের নূপুর 
           গলার হার 
চুলের খোঁপা হতে হয়ে যাব
লতানো বনফুল─
কেবল অঙ্গসজ্জা নয়
রইব অস্থিমজ্জা গহনতলায়
প্রণয়ের গভীরতায় 
যোজন ক্রিয়ায়
অনাদরে বেড়ে ওঠা 
         ঘাসের মতো।

বিস্তারিত আস্থায় অবলীলায় এলিয়ে পড়─ কেননা এসব যোগ-বিয়োগ সিদ্ধান্ত হয়ে আছে ঘূর্ণনতায়; গণিতের জনক মূলত মানস ও শূণ্য─ যোগ থেকে বিয়োগ আমরা জেনেছি, জেনেছি মনের মিলন হলে বয়স গর্হিত;
টানো বাঁধার অঙ্ক─ 
          ২৪, ৮, ২১ + ২১, ০, ২২
          ÷২
       = মিলে গেছে মানে শূন্য; ভাগ শেষ ১
মনের মিল; বয়স সমকোঠায় আনতে অবশিষ্ট ১ দিন অর্থাৎ যা আমাদের সম্পদ, শারীরিক সম্পর্কের সাক্ষী; সে আমাদের অনুপস্থিতির অনাগত। 

আমি বুঝেছি কোথায় কাতরাচ্ছে জলজ প্রাণ
সমাজ কুহক
          আঙুল ভরে বাহ্যিক উল্লাস
          অন্তর্হিত জ্বলন─
          মিডিয়াজুড়ে তাচ্ছিল্যের ঘূর্ণিঝড়
তুমি সংশয় করো না প্রিয়তমা; বিস্তারিত আস্থায় এলিয়ে পড়─ আমি বলে দিব জনসমুখে মনের মিলন হলে বয়স গর্হিত। আমি তো নই ধানের শীষ সামান্য বাতাসে নুয়ে পড়ব। 


বিষ্যুদ বিষণ্ণ বার 

তুমি পিছপা হওয়ার পর ভোর ফুরিয়ে দুপুরের উন্মাননায় প্রতি সবুজ পাতা হলুদ হয়ে আসে; মৌসুমের আবহাওয়ায় শিরিষের পাতাগুলো ঝরে যায়─ এবং তোমার চলে যাওয়ার করুণ বদন তীব্র হয়ে মৃত্যুর কালো চোখ আমার ফুসফুসে চোখ রাখে─

হাওয়া  ও  বাতাস 
উষ্ণতা ও গ্রীষ্মতা
           ──> সব একাকার

                                নয়ন ও চোখ
                                হৃদয়  ও  মন
ধরতে পারি না বিষ্যুদ গত হওয়ার পর, প্রেম ও স্বভাবসুলভ শব্দ; ফলে মগজ-মনন ঘূর্ণনে বাসর হাশর করা যন্ত্রণায় মৃত্যুর বিভৎস শরীর আমার ফুসফুসে ওঠে বসে─

বিষ্যুদ গততে বিরহে কলম না ধরতে পারায় মিনি স্টক─ ঘুম থুত্থুরে রাত্তিরে ১০৫ ডিগ্রি জ্বর-মাথা ভারে হাজারও লোকেশন─ কঠিন অস্থিরতায় আমি আমার নাড়ির লোকেশন খুঁজে পাচ্ছি না; চিৎকার আর বিষণ্ন বিলাপে রাত্তির তৃতীয় প্রহরে মৃত্যুর ঘিনঘিনে ভয়ংকর হাত আমার ফুসফুসে হাত রাখে─

যেহেতু মৃত্যু একবার-ই হয়; যেহেতু ভূমে ভূমিকম্প হওয়ায় মাথা নিয়ে দাঁড়াতে পারো না; অতএব মৃত্যু এখন-ই বরণ করার সময়,  হাতের কাছে যা পাও─ কলম-ছুরি, ইয়ারফোন-রশি, অথবা জাক্-কুম জাতীয় যদি কোনো ফল হয় তবে অদ্ভুত গানে এমন─ নিজ মৃত্যু নিজ হাতে হওয়ার আনন্দ পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো কবিতায় বলে যায় নাই কোনো কবি!


এবং দ্বিধান্বিত নই

জীবনের বয়ঃসন্ধিকালে রিস্ক নিয়ে চাল দিতে হয় পায়ের
গায়ের
হৃদয়ের—
মগজ ধুয়ে যাবেই
মগজ ধুয়ে গেলেই সচলতা পায়
পা
গা 
হৃদ
নোনা-প্লাবনে ভেসে যাবে-ই সমূহ ফাঁড়া;
দ্বিধান্বিত হতে নেই জীবনের—

আমাকে ডেকে যাচ্ছে 
সমাজ
ভয়ে ভয়ে মা
বাবা
এবং সমাজ
ওই দূরে সংশয় নিয়ে দাঁড়ায় আছে 
বীর্যটানের মাংসপিণ্ড
অথচ ভালোবাসার গাঁজা সেবন করে ঢেলে দিচ্ছে
ঘাম
নোনা পানি 
রক্ত—
অথচ এবং আমি দ্বিধান্বিত নই


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ