ধৃতরাষ্ট্র
বিতাড়িত এ ফুলের দেশে, তুমি কার গান গাও
হে পাখি, রাতের রন্ধ্রে মিশে যায় তার সুরধ্বনি
নক্ষত্র-আলোয় তুমি আর পাবে না পথের দিশা
মিছে উজবুক হয়ে বসে আছো ওগো রাতচোরা
জোনাক আলোতে ছায়ারা আজও কবিতা পড়ছে
পাহাড়ি নদীর কাছে, নৈসর্গিক সে শয়তানেরা
গোলাপ ও মাংসের বিরোধী এ অবস্থান থেকে
যে যার মতন কৌম নিয়ে যাচ্ছে নরকের দিকে
রাতের গজল
কবি-বন্ধু পাশে ঘুমালে
তার কামুক শরীর থেকে একঝাঁক নারীর গন্ধ আসে
সে সব সতীগন্ধার সীমারেখা ধরে
বর্ষারাতে আলো হাতে মাছশিকারের মতো
তান্ত্রিকের মন্ত্র আর ব্যাঙের নিঃসঙ্গতা কুড়িয়ে রাখি বুকে
তার ফেসবুকে প্রকাশিত নারীদের ছায়া
আর অবদানের ক্ষত জুড়ে ফুটে থাকা মৃত কোনও ফুল
কবিতার শরীরে এঁকে রাখে মায়ের শয়নভঙ্গি
আমাদের ভেতরে থাকা পিতা, মদ খেয়ে
মাঝরাতের বৃষ্টিতে একা বাড়ির পথ ভুল করে—
গর্ভকালীন
মহারাত ঘুমিয়ে পড়ো পাশে
যেভাবে নিদ্রাতুর আমার অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকা
তার মাথায় হাত-বুলিয়ে দেই, আমি বাবা হবো
তুমি ছাতিমফুলের ঘ্রাণের মতো দীর্ঘ হইও না আর
ভেতরের পুরুষ যদি একা হয়ে যায়!
0 মন্তব্যসমূহ
মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।