গজবের প্রাপ্তি স্বীকার
ভাগ্য যেন শামুকভাঙা হাঁসঘর
মুগ্ধের নয় মর্মের ছ্যাচা খেয়ে ঈশ্বরের রক্ত দেখি-
দেখি ভাতবৈশাখী সংসারে সঙবর্ষের অভাব...
বুঝি:
কালীর জিভে ঘুমিয়ে আছে স্বপ্নলীগের ছাত্রদল!
শ্মশানের হাড়ফোটা বিয়োগদ্যানের যৌবন এখন পায়ের কব্জিতে খেলছে অগ্নি মেজাজের গোল্লাছুট।
প্রেমিকা— এখন তুমি বিক্রিযোগ্য পরোটার মতো তোমার ইশারা বিক্রি করে দিতে পারো কোনো ক্ষুধার্ত চোখের-হাতে। আমি এক মুদ্রাদোষী জীবনালয়ের সেমিনার, ইচ্ছাচ্যুত শ্বাসবিকেল ছাড়া আমার নিজস্ব কোন তহবিল নেই।
ঘৃণা করো
ঘৃণায় হোক তোমার প্রথম প্রেমের শেষ জন্ম!
আমি মায়ের দুগ্ধস্তনের ভাতা চুরি যাবার মতো চুরি হতে দেবো তোমার হৃদয়ের ওম; যেহেতু আমি হতাশধর্মের প্রেরিত রাসুল!
মেনে নেবো
বৃক্ষের নাম করে আমার পূর্বপুরুষ পাখির ছানা ছিল
বর্তমান পুরুষের ডানা গজাইছে
অতএব একটু পরে (মূলত ভবিষ্যতে) উড়াল দেওয়া মানে আমার বর্ণবৃত্তির নাগরিকত্ব লাভ করা
বেদনাবদকাব্য
কথা ফুটতে ফুটতেই আমার চোখ ফুটে গেল তোমার পায়ের চর্চাপাড়ায়
মোয়াজ্জেমের খুতবা পাঠের মতো হেঁটে যায় তোমার আদ্রআঙুলের রক্তপাঠ
ঈশ্বর নয় মূলত তোমার তসবিধ্যানে জিকির গাঁথি:
তোমার প্রেমে পড়ে খোদার সাইড এফেক্টের ওজনও সিঙ্গেল টিস্যুর মতো হয়ে যায়!
তারপর
কোনো এক ম্যানুপলিউশন জোয়ারে তোমার হৃদয় দরকারি নয় সরকারি ঢেউ আঁকে
তুমি দূরে ফিরো আমি ঘুরে ঘুরে হই বেদনাবদকান্ত
ধর্মের সাটার খুলে দেখি— লোকে হজ্জে যায় আমি যাই ফাঁদে
আমার ফরয ফরিয়াদ গড়িয়ে যায় কাফের ধুলো-তীরে, যেহেতু আমার বেলাভূমিতে তুমি ছাড়া কোন পবিত্র পাপাদ্রতা নেই...!
মূলত— বিবর্তনবাদে ময়ূরের পাখ খসে যায়— খসে বেঁচে যাওয়া পাখখণ্ড বড়শীর টোন হয়ে নিত্য করে ভাগ্যহত বিড়ম্বনায়
যেন
তোমার
আমার
বিবর্তনবাদ:
তুমি অন্য কারো শরীরের রাখালিনী হলে আমি হই তোমার শরীরের ভাবওয়াল!
লাইফ ইজ অফসাইড
আত্মতৃপ্তির স্বর ভেঙে গ্যালো আমাদের বুক তখন ফাফরপাড়া
ছলনা দিয়ে জীবন গোছাই
মন নয় মদমাতালো দুঃখের ইশারায় উচ্চারণ করি পৃথিবী
আহা
আমিই আমার ওরশ।
যাতনাৎসব শিন্নীর মেলায়
পদচিহ্নের মত দুঃখও কোপ মারে স্মৃতির ময়দানে বিস্তারিতভাবে
: কারো ইজ্জত আমাদের ভেতরে শুয়ো পোকা হয়ে বসত করে
: বৌ পালালে কলঙ্ক, ভাগ্য পালালে জ্বলাঙ্ক!
: জীবন এক বিনিময়ের কয়েন, ডলার স্ত্রিপ্টে ধরা খায় নগেন।
চিকনানীতির শহরে গরীবের স্বাস্থ্যবান মন দিয়ে ঢোকা যাচ্ছে না, জানা গেছে যারা ঢুকে আছে তারা সবাই উইটার্নপন্থী।
তাই আমি আমার পরে আমাদের মাঠে যাই।
এবাউট দেখাই:
‘আমরা জীবন নিয়ে খেলি গোলও দেই কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ভাগ্য ডাক দেয় অফসাইড!’
0 মন্তব্যসমূহ
মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।