TopTime

আজ বঙ্গাব্দ

আরণ্যক টিটোর কবিতা

প্রচ্ছদ: নাজমুল হোসাইন   

দেয়াল ও গণচুচু

বাবুরা, 
দাঁড়িয়ে চুচু কর, দেয়ালে দেয়ালে...
এসব দেয়াল 
হাজার বছরের পুরানো!  
দেখছি না 
দেয়াললিখন— নিষেধ, এখানে চুচু করা, করিলে ৫০ টাকা জরিমানা!
বাবুরা, কর হে চু-চু… 
সব ভেসে যাক... শব ভেসে যাক...
ভয় নেই, কর...  লোনা ধরেছে দেয়ালে।
বাবুরা, 
তোমরাই আগামী। কর চুচু।
এসব দেয়াল 
হাজার বছরের পুরানো...
সুতরাং চুচু করা যায় এবং ভাঙাও যায়, সাহসী সকালে...

লাঠি হাতে
আসছে এগিয়ে, মাননীয় শব!
বাবুরা, 
ভয় নেই, রয়েছি দাঁড়িয়ে… সাহসী সকাল...


সাহস

তাড়া আছে। 
যাই... 
সাহস, আসার কথা আছে! 
হয়েছে সময়! 
এখানে
ভালও লাগছে না, যেন পরবাসী পরবাসী...
তাছাড়া
একে একে খসে পড়ছে সময়—
প্রাসাদটা ধসে যাবে যে কোন সময়! 
বাতাস বলছে চুপিচুপি—
প্রাসাদের মনে 
বাগানে বাগান হয়ে ফোটা ফুলে ফুলে ওড়ে মৌমাছিরা, 
দেখে না হালচাল!
ছিলাম অনেক...
যাই...
বাড়ীটা বানাতে হবে...
আসছে সাহস— 
নতুন বাড়ীর উপাদান!...


আমি ও ফড়িং

চোখলাল বসবাস থেকে দূরে
  সবুজশাসিত বনে
    আমি ও ফড়িং থাকি একসাথে
      করি খুনসুটি
       করি ভালবাসাবাসি
        মন
         যখন যেখানে চায়
          যাই
           করি না পরোয়া কারো
           বলি
           চোখলাল বসবাস ছাড়ো
            সবুজ শাসন ভালবেসে
            মনের পবনে পাখা মেলে
            আমি ও ফড়িং
           ফুড়ুৎ ফুড়ুৎ উড়ি— যেনবা রঙীন ঘুড়ী


চোখলাল
  বসবাস থেকে দূরে
    সবুজশাসিত বনে
    আমি ও ফড়িং
    মনলাটাইয়ের প্রণয়সুতায় বাঁধা…


পরিবর্ত্তনা চৌধুরাণী

জংলা নদীর ধারে
ধ্যানী বক,
আমাকে ধর্ম্মের শিক্ষা দেয়,
কেমন ভাবের মর্ম্মে
দাঁড়িয়ে থাকতে হয়,
এক পায়ে;
যেমনটি আছে মাননীয় তালগাছ!
পাঠশালা,
ধর্ম্মশিক্ষা জানে,
বারবার
লাড্ডু খাওয়া আমি
রসার্থে সন্ধান করি
ভবাপাগলার মালাই বিতান!
মাড়াই পথের মোড়
নিতাইগঞ্জের।
জংলা নদীর ধারে
(ধ্যানী বক
করমে ন জানে ধরম বিতান!)
অকূলে বাজে গো বাঁশী
: ওহো 
জয় রাধা> ধারা...
ভাঙাগড়া 
নদীটির মনে
বহতা সুরের ঢেউউউ…
কাঁখের কলসে বাজে 
ছলাৎ… ছলাৎ… পরিবর্ত্তনা চৌধুরাণী!



আরণ্যক টিটো। কবি। জন্ম ০৬ জুন ১৯৭৭, পটিয়া, চট্টগ্রামে। প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ: ‘ফুলেরা পোশাক পরে না’ (২০১৮)। সম্পাদনা করছেন লিটল ম্যাগাজিন ‘চারবাক’।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ