TopTime

আজ বঙ্গাব্দ

‘চিঁহিঁফেকশন’ একটি বৈষম্যপুলক সংক্রমণ দ্বারা লিখিত কলাব্যথা | পর্ব: তিন | সৌরভ বর্ধন


 ২১. চটিবেষ্টনী:

       খুলতে খুলতে আরও সক্রিয়তা জরুরি, নাঈভ...!

       আবির্ভাবে স্তব্ধ হয়ে যেতে হাঁটু বাড়াতে হবে
       আমি মালাইচাকির কাজ জানি, তাই বাঁচোয়া
       
       গর্বচাতক বেড়িয়ে আয় কাঁধে, আয় ভেরেন্ডা


২২. দামপথ্য:

       এতো সহেলি শুনি ক্রেয়ন বিস্তারের লাঠিতে
       তুলনায় ভ্রূণ-রং কিছুটা হালকা। আমি জীবন্ত ভ্রূণ
       উড়ন্ত শৃঙ্গার ডুবন্ত শবদেহের বিস্ফোরণে মজিয়াছি

       জড়ো করছি তাড়াতাড়ি ফিরে আসবার পাস্তা


২৩. অভিমানীব্যাক:

       প্রায় দু-ফুট মেসেজ ডিলিটিয়ে বর্তুল বসে আছি
       নিভিয়া মেন ছাড়ছে থুরথুরে গন্ধ

       কলজে ও কবজি উঁচিয়ে আমি ঝিলিক চেয়েছি
       ফিরে যাওয়া মশমশ— অলিন্দ নিলয় ঘুরে
       প্রেস্টিজ ম্যাচের কভারাপে লাইফ দ্যাখানো হোক


২৪. আশমানসম্মান:

       খাদ আমার ভীষণ ভ্রমর, বিখ্যাত প্রত্যাশার বক
       ওকে ধার্মিক করে তুলব এমন উচ্চতা নেই
       এমন মড়ক যে আছে তাও নয়
       তবু ডাভ মানে ঘুঘু পাখি, প্রমুখ, ফাঁদ ইত্যাদি


২৫. সর্বনাসারন্ধ্র:

       ডুবে আছে প্রবালপ্রাচীরে কাগজী ফ্লাক্স
       আলোকোজ্জ্বল বিদ্রূপের ভাপ টেনে নিয়ে
       চুরমার পরোয়া খুঁজি পুরনো গোলগলায়

       শানদার পেটির তীরভূমি দিয়ে পিঁপড়ে ঝরছে
       চলো নামিয়ে আনি গর্ব নিরোধক ফুটো


২৬. ওতপ্রেত:

      মেরু-বরফের মনোবল ভেঙে পড়ে
      জৈমিনি দাঁড়ায়, উপকন্ঠে চারি-মেঘ—

      আলোর পটিতে বাসক ফুলের ধনুরাশি 
      লিখেছিল মাল্লা ও গন্ধমাদন
      সিঁড়ি ও ব্রহ্মার ঔরস। প্রজাপতি।


২৭. পরীহাঁস:

       আমরা মারণপথে ফেস্টের আলো। আমাদের
       ঋতুস্রাব ভেট হয়ে গ্যাছে। আমাদের কুঁচফল
       পশ্চাৎভূতিহীন। নিজেদের কুঁচুটে বলি না হেতু
       রূপ এখনও অতীত নয়— দেবীদগ্ধ লকগেট!
      

২৮. হাঁসলীলা:

      পাজামার থেকে হাল খসে পড়ে গোমেধ
      যজ্ঞ হচ্ছে দেশ-জোড়া-লাই বারুদ
      আমাকে সিঁড়িআঁশ ধ্বনির লিখিত স্যুপ বলে ডাকো

      উচ্ছিষ্ট জমা জলে রাগমোচন হবে আজ
      আত্তিকরণ : সমকাম : জোকার আমি প্যাঁক 


২৯. সন্তর্ফোনে:

       জোড়ালো টর্চ— দেখি তোমার গর্ভখানা
       গর্বের কোনো ছায়া নেই তাই সাচ্চা দোহাই

       আমাদের নির্বাচিত ডাকলিস্ট, পেরিফেরি
       স্থাপিত হোক শান্ত থানা, গর্ভিত হই দ্রাঘিমায়


৩০. নৈশখোঁজ:

       শবরীমালায় রক্ত দেখবো
       নাকি দেখে এলাম প্যাড চুঁয়ে চুঁয়ে

       লাবন্য, একি লাবন্য কবিতায়!


প্রথম পর্ব পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন
দ্বিতীয় পর্ব পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন


 আগামী রবিবার প্রকাশিত হবে পর্ব: চার 


 লেখকের অন্যান্য লেখা: 



সৌরভ বর্ধন। কবি ও গদ্যকার। পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার শান্তিপুরে জন্মগ্রহণ ও বসবাস। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘নিজস্ব প্রতিবেদন’। এছাড়াও ‘জলবিভাজিকা’ (২০১৮) এবং 'স্তন ও হৃৎপিণ্ড' (২০১৯)। সাম্প্রতিকতম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রসূতিকালীন পাঠ’ ২০২০ সালের বইমেলায় ‘কবিতা পাক্ষিক’ থেকে প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্টেড পত্রিকায় অনিয়মিত লেখেন। লেখায় চৈতন্যপ্রাপ্তিই হলো তার উদ্দেশ্য ও বিধেয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।