১১. ধূলিফণা:
ফুল্লচঞ্চল ছন্দলোভাতুর দিলখুশ উচ্চতায় নেচে
নেচেনেচে বিনোদিত করে হরিণীমনা মেঘ
গানের গুঁতোয় আনচানবায়ু ফোস্
গানের গুঁতোয় আনচানবায়ু ফোস্
এই লিভ-ইন-মাগি না পসন্দ্ আমার। শালি দূষণখোর
১২. আর্তফাঁদ:
বাঁকাশ্লীলা বেহাগে পড়েছি মুজরো দেওয়া চিৎ
ক্ষান্ত কপালে সেধেছি লস্যিবাঁধা খোপ
ক্ষান্ত কপালে সেধেছি লস্যিবাঁধা খোপ
আমিও তখন হাঁসছিলাম
এই শর্করাবৎ দেহে ফুটপাত আছে বলেই
গর্জনশীল আলোর মুখে থুতু
শিশুর মুখে দুধ ফুৎ করে লোকালয়ে
বুকের পাটায় তখন ফাইন-আর্ট জমলে
রসাতল ঝালিয়ে নিয়ে পিঁচুটি চাটো দেখি
দেয়াল হতে থাক সুই, আমাদের মুখের রান্না
তোতলা ফোর্টের তিনতলা
বাতাসের সনে ঝোল মেখেছে, ওলট অগ্নি
একাধারে বাজাবো দীন যে তৃণের বন্ধু! অকুতোচিত!
দুয়াধারে কাটাবো পর্যাপ্ত মুণ্ডু প্রিয়ার। ভেসে যাই...
১৯. সিগারেটিনা:
চোখের জন্য বাজেট লিখি : খুর্বটে খল্বাট মূর্খ
ধোঁয়ার জন্য মীন লিখি : অভুক্ত নাজুক দৃঢ়
তোমার জন্য খোয়াব এবার, আজ নয় গুণ গুণ
গুণীজন টেনে নাইওরি ...
২০. পাপচাষ:
প্রথমে চন্দন চূর্ণ করে দাও নাভির ওপর, আরেকটু
তারপর দুধের সাথে জালের কথা বলো। এসময়
কিছু চুল গুম্ফায় এসে পড়বে, চেটে নাও...
মাটির একটি কৃষ্টি নাম দিয়ে শুরু করো ফাঁস
আমিও তখন হাড়মণি দূত
১৩. কচুরিছানা:
এই শর্করাবৎ দেহে ফুটপাত আছে বলেই
মুখরোচক হাসিগুঁড়ো শালপাতায় লেগে থাকে
বর্ণাঢ্য কোমার জন্য সেজে ওঠে কড়াই...
কাঁচা সবজির জেগে নামা উচিত হলো হ্যাঁ
১৪. কাব্যখরচা:
কাঁচা সবজির জেগে নামা উচিত হলো হ্যাঁ
ধুতুরা পাড়ার ক্ষতস্থান কেটে নেওয়া, না
আমূল খিদের প্যান্টস্ ধরে আছে যে শাবক
আমার এই কোলখানি খুলে ধরো তাকে
১৫. বাজতাড়ুয়া:
আমার এই কোলখানি খুলে ধরো তাকে
১৫. বাজতাড়ুয়া:
গর্জনশীল আলোর মুখে থুতু
শিশুর মুখে দুধ ফুৎ করে লোকালয়ে
বুকের পাটায় তখন ফাইন-আর্ট জমলে
তবে না তাড়িয়ে বেড়াবো মাংস, বংশরাগ
চিৎকৃত ধূপের ঝাকড়া ধোঁয়ায় ধুয়ে যাবে হুঁশ
১৬. ফেসকুক:
১৬. ফেসকুক:
পোস্টে দিলাম সহবাঁশ
এখন লাইকপ্রপাত জরুরি
এখন লাইকপ্রপাত জরুরি
রসাতল ঝালিয়ে নিয়ে পিঁচুটি চাটো দেখি
দেয়াল হতে থাক সুই, আমাদের মুখের রান্না
আমাদের উদয়াস্তের আভাঁ-গার্দ
১৭. ভানচিত্র:
১৭. ভানচিত্র:
তোতলা ফোর্টের তিনতলা
বাতাসের সনে ঝোল মেখেছে, ওলট অগ্নি
শরিফ জ্যামের ইন্দ্রিয়, পালট চাখছে
ফলে প্রথম লটেই বেরিয়ে গ্যাছে রুলটানা
১৮. সহবাঁশ:
১৮. সহবাঁশ:
একাধারে বাজাবো দীন যে তৃণের বন্ধু! অকুতোচিত!
দুয়াধারে কাটাবো পর্যাপ্ত মুণ্ডু প্রিয়ার। ভেসে যাই...
মস্ত হেঁসো তুমি— খিল খিল খিল
১৯. সিগারেটিনা:
চোখের জন্য বাজেট লিখি : খুর্বটে খল্বাট মূর্খ
ধোঁয়ার জন্য মীন লিখি : অভুক্ত নাজুক দৃঢ়
তোমার জন্য খোয়াব এবার, আজ নয় গুণ গুণ
গুণীজন টেনে নাইওরি ...
২০. পাপচাষ:
প্রথমে চন্দন চূর্ণ করে দাও নাভির ওপর, আরেকটু
তারপর দুধের সাথে জালের কথা বলো। এসময়
কিছু চুল গুম্ফায় এসে পড়বে, চেটে নাও...
মাটির একটি কৃষ্টি নাম দিয়ে শুরু করো ফাঁস
প্রথম পর্ব পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন
আগামী রবিবার প্রকাশিত হবে পর্ব: তিন
লেখকের অন্যান্য লেখা:
সৌরভ বর্ধন। কবি ও গদ্যকার। পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার শান্তিপুরে জন্মগ্রহণ ও বসবাস। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘নিজস্ব প্রতিবেদন’। এছাড়াও ‘জলবিভাজিকা’ (২০১৮) এবং 'স্তন ও হৃৎপিণ্ড' (২০১৯)। সাম্প্রতিকতম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রসূতিকালীন পাঠ’ ২০২০ সালের বইমেলায় ‘কবিতা পাক্ষিক’ থেকে প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্টেড পত্রিকায় অনিয়মিত লেখেন। লেখায় চৈতন্যপ্রাপ্তিই হলো তার উদ্দেশ্য ও বিধেয়।
0 মন্তব্যসমূহ
মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।