TopTime

আজ বঙ্গাব্দ

‘আগামীর কবিতা কিছু নন-প্যারালাল ইনডেক্স’ পর্ব: চার | রাহুল গাঙ্গুলী


পর্ব: ৪

আমরা এখন বাস করছি, যে সময়পর্বে ~ প্রযুক্তি ওতোঃপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। অথচ পাঠক তাকে মানতে চান না। দোষগুণের হিসেব নয়, আসলে তাদের চিন্তনকে এখনও অবধি সীমাবদ্ধ রাখার প্রয়াসে সফল তথাকথিত কবিতা বেচে খাওয়ার কবিগণ। কারন, প্রচলিত পত্রিকাগুলো যাদের সার্কুলেশন রয়েছে (লিটিল ম্যাগাজিন নয় কিন্তু), তার দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হয়ে রয়েছেন ~ এইসব জমিদার কবি। তারা জানেন খুব ভালো করেই, পাঠককে ভাবতে বললে বিপদ। কারণ, তাদের জমির ভিত হারাবেই। অতএব, কবিতাকে আবিষ্কার নয়, বরং মরফিন প্রয়োগে প্রচলিত নেশায় নেশাগ্রস্ত করে রাখা তুলনামূলক সহজ পথ। আর এখানেই বিপদ। বাঁকুড়া থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় প্রবন্ধ লিখেছিলাম “conventional poetry vs perceptional poetry”। সেখানে শেষে বলেছিলাম, বিদেশে ~ বিভিন্ন বিখ্যাত ইউনিভার্সিটিতে ম্যানেজমেন্ট ওয়ার্কশপে কেবলমাত্র কবিদের ডাকা হয় এই কারণেই, তাদের ইমাজিনেশন পাওয়ার। বিদেশে কবির সাথে কথোপকথন আর্কাইভ করে রাখা হয়, যেহেতু তা পরবর্তীকালে গবেষণার কাজে আসবে। কিন্তু আমাদের দেশে সেই সুবিধা নেই ~ কারণ, এখানে ইমাজিনেশনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কর্পোরেট এন্টারটেইনমেন্ট। কিন্তু আদৌ কি পাঠক চিরকাল মোহগ্রস্ত হয়ে থাকবেন? যখন, প্রযুক্তি একের পর এক আমাদের জীবনযাত্রাকে তুমুলভাবে আলোড়িত ও প্রভাবিত করে তুলছে। একসময় বলেছিলাম, আজও বলি প্রতিটি সৎ পত্রিকার কবিতার ল্যাব বানানোর আঁতুড়ঘর তৈরি করা ভীষণ জরুরী। আজই এবং এই মুহূর্তেই—

আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলো বোধহয় PHD (যা সর্বোচ্চ শিক্ষার সূচক) কথাটির মানে আজোও উপলব্ধি করেও করেন নি। PHD ~ ফিলজফি ইন ডক্টরেট। ভাবুন, ডক্টরেট ইন ল্যাঙ্গুয়েজ নয়, ম্যাথামেটিক্স নয়, সায়েন্স নয় ~ দর্শন। এর কারণ, কোনো একটি জায়গায় সমস্ত নলেজ একাকার, যার কোনো বিশেষ নামকরণ নেই।



এই বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছু কেনো, যতো লিখবো কম হবে। কিন্তু আমার বর্তমান বেঁচে থাকার পরিস্থিতি এমন কিছু সময় দিচ্ছে না ~ যেখানে সমস্ত সংকেত ডিকোড করতে পারবো। অনুশীলন না হয় পাঠকের জন্যই রাখলাম—


১-কোষী বুদবুদ
--------------------

√sinθ = ⊿
☎ ] EOQ [ ☎ || 9747972889 ||

(১টি মোবাইল মেমোরি সমকোণী ত্রিভুজ।সময়ের সাপেক্ষে বর্গমূল ঘটলে, তার তথ্যসূত্রগুলি ক্রমশ সৃষ্টি শুরুর অসীমে ফিরে আসছে)


ক্লোরোফিল
---------------

[✆] ⇒ 0 @ 0.0 ⇐ [✇]
© 1⁰ < ✈ > < ✈ > © 0¹ → 0² → 0³___ || ∞ ||

(যন্ত্র সভ্যতার, প্রকৃতির সাথে বিরোধ। ডিজিটাল চেতনায় তার ক্রমশঃ অসীম ছুঁতে যাওয়া। একসময় তার বিশুদ্ধ স্ব-রূপান্তর। যেমন সালোকসংশ্লেষ বাঁচিয়ে রাখে জীবন)


অবশিষ্ট কাচ
-----------------

X || 0 || X → X]² < ∞ = 1/0 >
0 ____ (✡)⁰ ____ (✿)℃ ∝ √Ω @ {0.00}

(মহাব্রহ্মাণ্ডের যাবতীয় শূন্যের ওপরেই দাঁড়িয়ে।অসীমতা-র শুরুও শূন্য থেকে। এদের প্রকৃত মান যতোই আপাত হোক ~ কেউই অস্তিত্বহীন নয়। আমাদের দৃষ্টিপথে ঘটা দৃশ্যগুলিও তাই। এবং এরা সবসময়ই আগামীর জন্য সংরক্ষিত)


ITERNITY
----------------

IF : A + B =  √☎
THEN : AB = (-) AB


অমরত্ব
----------

যখন : a + b = √☎
তখন : ✡ → ab = (-) ab

(একটি তরঙ্গ, যা টেলিফোনিক স্থিতাবস্থা থেকে শূন্য মাধ্যমকে জড়িয়ে পৌঁছাচ্ছে দ্বিতীয় টেলিফোনিক স্থিতাবস্থায়। এখানে দুটি স্থিতাবস্থানের ডিজিটাল মান a & b। আমরা জানি, বর্গমূল হলে একটি মান তার জন্মের শূন্য মানের দিকে যেতে থাকে। এখানে মাধ্যমের এই দশাটিকে দেখানো হয়েছে পরের লাইনে। অর্থাৎ, দশাটির একটি পর্যায় মাটিতে বা পূর্ণবস্থার কোনো আধারে। অপর পর্যায় তারই বিপরীত শূন্যে বা শূন্যআধারে। আদপে দুটি একই দশার পরস্পরের বিপরীতার্থক।)


এই প্রচলিত ভাষাহীন কবিতাগুলো নিয়ে কথা বলেছিলাম এক আমেরিকান কবি কাজিমার মাসলাঙ্কার সাথে, যিনি অঙ্ক নিয়ে বিশ্ব কবিতাকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গেছেন।

বেশ কিছু প্রশ্নের ভিতর ~ ২টি প্রশ্ন খুব গুরুত্বপূর্ণ।

(১) অঙ্ক। এটাকে কীভাবে ভাবছো?
উত্তরে বলেছি ~ অঙ্ক ১টা লজিক। যা জীবনের ইতিবাচক বা নেতিবাচক দিকগুলোকে আগেই বুঝতে সাহায্য করে

(২) ভাষা তো একটা বিশেষ অবস্থান বা বলা ভালো কালচার থেকে তৈরি। সেখানে তুমি ইউনিভার্সাল ভাষার কথা বলছো কি করে?
উত্তরে ১টি প্রবন্ধ লিখেছি। সেটি থাকছে আগামী পর্বে।

• পর্ব: এক পড়তে এই লেখাটির উপর স্পর্শ/ক্লিক করুন
• পর্ব: দুই পড়তে এই লেখাটির উপর স্পর্শ/ক্লিক করুন
• পর্ব: তিন পড়তে এই লেখাটির উপর স্পর্শ/ক্লিক করুন


[ধারাবাহিক: আগামী শনিবার পাওয়া যাবে পর্ব: পাঁচ]



রাহুল গাঙ্গুলী। কবি। জন্ম তারিখ: ১০ই আগস্ট ১৯৮১, দুর্গাপুর, পশ্চিম বঙ্গে।
পেশা: সিভিল ইঞ্জিনিয়ার।
কিছু কথা : কোনো মহাপুরুষ হয়ে দেওয়ালে ঝুলবার উদ্দেশ্য নিয়ে নয়, নিজেকে আবিষ্কার তথা সময়কে আবিষ্কারের ভিতর দিয়েই যোগ ও যাপন। ভালোবাসা, প্রেম, ঘৃণা বা প্রতিবাদ ~ সময় তথা নিজের কাছে : যে কোনো সৎ সূক্ষ্ম অথবা স্থূল প্রশ্ন করার অধিকার এবং নিজের কাছেই সমাধান, সেই বিশ্বাস নিয়ে দীর্ঘ চিন্তনের প্রতিফলনে লিখে যাওয়া অনুরণিত কবিতা
প্রকাশিত গ্রন্থ:
নো ম্যানস্ ল্যান্ড’ (কবিতা পাক্ষিক) ২০১৭, ‘ব্যক্তিগত জরায়ু থেকে’ (ঐহিক) ২০১৮, ‘খাদ্য - খাদক - খাদ্য’ [অনলাইন বই] (ফেরারি) ২০১৮, ‘১ মুঠো জলীয় দূরত্ব ভেঙ্গে’ (টার্মিনার্স) ২০১৮,
কবিতাবিহীন মুহূর্তগুলো’ (তাবিক) ২০১৯,
পরিত্যক্ত ০|র খোঁজে’ (ঘোড়াউত্রা) ২০২০।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. বরাবরের মতো অসাধারণ, অনবদ্য, সাবলীল, মৌলিক চিন্তা জাগানিয়া৷ লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ

    উত্তরমুছুন

মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।