১. মুখগন্ধ:
সূর্যের পায়ে হস্তীযূথ মচকাফুল
লাল পামিরের মাংসভেজা কুমির
আমাকে একটা মউলডাঙা দাও
ওহো পাতামদির চমকানো হিম
হবিশ্যি প্রাণের মোয়াই গঠন করো প্লিজ!
২. খোড়াকাটা:
আস্বস্ত হও, আমি প্লাস্টিক খসে পরবো
লিঙ্গহীনতা, মানে সার্কাসহীনতার ড্রাম
বাজবে বারামখানায়
মাখন ও কচুর ক্ষত নিয়ে রেগোলিথ
উপবিষ্ট মাছির পা-ধরা বিধুনন, এসো, হাম খাও
৩. শোনোমালিন্য:
অনতিদূরে ভণ্ডকোষ... গামবুট প'রে মুখ
আমাকে দ্যাখাও হৈ হৈ গুল্মের বেবুন ছেঁড়া পোঁদ
এক প্রাচীন জাতের নামগান
পরিপাটি জড়ুল, সুরধনী নদীর পাশে এসে বসো
৪. গুয়াশকট:
অসহ্য জল-রং, পরাণের গুটখা চিবিয়ে অভ্যেস
এই শকট তবুও আঁকা নয়, অরিজিনাল পিওডি
ধর্ষণে অভিযুক্ত নাবালিকার বাপ এবং
ভ্রান্ত রোপওয়ে... আস্তিন গুটিয়েছে ফেভিকলও
৫. থুৎকারশেড:
এটা কি বায়ুচাটিত গুদামশালা
এর গুমগুম স্বরগ্রাম হাতের চেটোয় মাখো
আমাকে মোজামুখর শীতের বক্ষ দ্যাখাও
ছেড়ে দেবো হাড়ের ছাউনি
নতুন বীর্য ।। হানিদর্পণ
৬. গাঁড়কাক:
সফল মানুষেরা আশ্চর্য কাকের দ্যাখা পান
করেন কঠিন বয়সে, ভীতু পল্লীবালার চেটে চেটে
চেবানোর কাজে অপটু হাওয়ায়
আমি ভুল দেখি : দীনলিপি ও পদভ্যাসে গাঢ় ফাঁক
৭. কীমাংসা:
চটকানো পিণ্ডির দু-হাত ধরে বলো, অহল্যা
সদ্য লাথি খাওয়া যুবককে বলো, সৌরভ
তুরপুনে ছ্যাঁদা করা নির্বাসনকে বলো, ভায়োলিন
৮. বৈবাহিসী:
ছাঁকিজালে তুলেছি বিছানা, মগডালে শরীর
আত্মগোপনে বাঁড়াভাত অথবা দৃঢ়বধূ
আমাকে শীৎকার জলে ধুয়ে দাও বেঁজি
৯. ইদাশীং:
বাঁশের চেটোয় আমার ভাগ্য খ্যাঁচা আছে
ছুরিকাহত ফোর-স্কিনে এলো ঠোঁট ওলো জিভ
আমি খাসবালক হবো তোমার
আমার অশ্বগাছে উঠে এসো অতৃপ্ত শ্যামধনু
১০. দ্রবীভূশো:
ফুটোর ডগায় করে ঘুরিয়ে দাও হেলেঞ্চা
মহাপুরুষ কাঁদিবার রাত আজ!
কাল যত পাখা আর ডানাদের পর্ণ শ্যুট হবে
এইখানে রেশম ত্রাসে চামচ বাইব আমি
আগামী রবিবার প্রকাশিত হবে পর্ব: দুই
লেখকের অন্যান্য লেখা:
সৌরভ বর্ধন। কবি ও গদ্যকার। পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার শান্তিপুরে জন্মগ্রহণ ও বসবাস। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘নিজস্ব প্রতিবেদন’। এছাড়াও ‘জলবিভাজিকা’ (২০১৮) এবং 'স্তন ও হৃৎপিণ্ড' (২০১৯)। সাম্প্রতিকতম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রসূতিকালীন পাঠ’ ২০২০ সালের বইমেলায় ‘কবিতা পাক্ষিক’ থেকে প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্টেড পত্রিকায় অনিয়মিত লেখেন। লেখায় চৈতন্যপ্রাপ্তিই হলো তার উদ্দেশ্য ও বিধেয়।
5 মন্তব্যসমূহ
সৌরভের চিঁহিফিকেশন সিরিজ আমার ভালো লাগল। শব্দ নিয়ে বেশ নিরীক্ষা রয়েছে লেখায়। শুভেচ্ছা।
উত্তরমুছুনসৌরভ দিনে ও দীনে কথাবিতাকে যে বিভাজন দিচ্ছে, বছরের তাপ বয়সে মিশিয়ে ত্রাণ বিনিময়ে যেভাবে মেতেছে,পড়েও শেষ হবার আশা নেই। খুব ভাল হয়েছে সবকটিই।
উত্তরমুছুনসৌরভ বর্ধন আমার প্রয় কবি। প্রয় হয়ে ওঠার রস তার লেখা। পরীক্ষাও পর্যবেক্ষণ তার লেখাকে অন্যমাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা রাখলাম...
উত্তরমুছুনসৌরভ দার যেসব কবিতা পড়েছি তার থেকে চিঁহিফেকশন আলাদা,আলাদা তার নামে,আলাদা তার ভাবে এবং আলাদা তার স্বরে.....কবি নিজেই তার চলার পথ দেখিয়েছেন,সংক্রামিত এক ব্যাথার মধ্য দিয়ে.... এবার আমি কি কি পেলাম এই কবিতা পড়ে:
উত্তরমুছুনকয়েকটি সুন্দর শব্দ যেমন "মোজামুখর" খুব সুন্দর প্রয়োগ বলে অমার মনে হয়েছে,বারবার এই ছোট্ট কবিতাগুলোর মাধ্যমে কবি যেন প্রতিমুহূর্তে তার অস্থিরতা প্রকট করে চলেছে "গুমগুম স্বরগ্রাম"... তবে কবির এই অস্থিরতা কি আমাকে অস্থির করে তুলছে?আমার স্থায়িত্ব কি বিপন্ন করছে? না করছে না...কারণ হিসাবে বলতে পারি কবি খুবই সূচারু পদ্ধতিতে বিপুল একটা ডাইমেনশন তৈরি করতে চেয়েছিলেন নতুন নতুন শব্দপ্রয়োগ করে,ব্যাকরণ ভেঙে কিন্তু কবির একটি আগাগোড়া স্পষ্ট বক্তব্যই তার প্রধান অন্তরায় হয়ে দাড়াল বলে মনে করি।যতটুকু অস্পষ্টতা ধরা পড়ছে তা নির্মাণের তারতম্যের জন্যে।"কীমাংসা" নামক স্বরটি যেন কবির সমস্ত অস্থিরতার ভিউপয়েন্ট,এইখান থেকে কবি স্পষ্ট.... নাম যেগুলো দেওয়া হয়ছে সবকটিই পুরোনো শব্দের মধ্যে ফিউশন,এই ফিউশন যে সবক্ষেত্রে যাত্রার পথ সুগম করছে তা নয়..... আর এইসব নিয়েই কবির এই বৈষম্যপুলক কলাব্যাথা,আমায় যা ভাবায়...তবে বিপন্নতার গাঢ় বিসমিল করল না।
সৌরভ দার যেসব কবিতা পড়েছি তার থেকে চিঁহিফেকশন আলাদা,আলাদা তার নামে,আলাদা তার ভাবে এবং আলাদা তার স্বরে.....কবি নিজেই তার চলার পথ দেখিয়েছেন,সংক্রামিত এক ব্যাথার মধ্য দিয়ে.... এবার আমি কি কি পেলাম এই কবিতা পড়ে:
উত্তরমুছুনকয়েকটি সুন্দর শব্দ যেমন "মোজামুখর" খুব সুন্দর প্রয়োগ বলে অমার মনে হয়েছে,বারবার এই ছোট্ট কবিতাগুলোর মাধ্যমে কবি যেন প্রতিমুহূর্তে তার অস্থিরতা প্রকট করে চলেছে "গুমগুম স্বরগ্রাম"... তবে কবির এই অস্থিরতা কি আমাকে অস্থির করে তুলছে?আমার স্থায়িত্ব কি বিপন্ন করছে? না করছে না...কারণ হিসাবে বলতে পারি কবি খুবই সূচারু পদ্ধতিতে বিপুল একটা ডাইমেনশন তৈরি করতে চেয়েছিলেন নতুন নতুন শব্দপ্রয়োগ করে,ব্যাকরণ ভেঙে কিন্তু কবির একটি আগাগোড়া স্পষ্ট বক্তব্যই তার প্রধান অন্তরায় হয়ে দাড়াল বলে মনে করি।যতটুকু অস্পষ্টতা ধরা পড়ছে তা নির্মাণের তারতম্যের জন্যে।"কীমাংসা" নামক স্বরটি যেন কবির সমস্ত অস্থিরতার ভিউপয়েন্ট,এইখান থেকে কবি স্পষ্ট.... নাম যেগুলো দেওয়া হয়ছে সবকটিই পুরোনো শব্দের মধ্যে ফিউশন,এই ফিউশন যে সবক্ষেত্রে যাত্রার পথ সুগম করছে তা নয়..... আর এইসব নিয়েই কবির এই বৈষম্যপুলক কলাব্যাথা,আমায় যা ভাবায়...তবে বিপন্নতার গাঢ় বিসমিল করল না।
মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।