TopTime

আজ বঙ্গাব্দ

ঝড়ে অক্ষত এক শান্ত বন্দর | শানু চৌধুরীর কবিতা




কঠিন হলো বন্দর। যে সব সাহারায় পৃথিবী ভার্জিন হয়ে যায়, তার দিকে আঙুল তুলে তুমি এনেছিলে পবিত্রতা। এসব কথা পরিতাজ্য নয়। অক্ষত নোঙর ফেলে ভারী হয়, শিথিল রেকর্ডের বেজে ওঠা। আমি কি তবে বধির? নাকি আমার নোঙরে কেউ ভেঙেছিল পুরোনো মুদ্রা! এসব কথা ভেবে আমি লোম ছিঁড়ি আর সত্যের মতো চেয়ে দেখি, মাথার ভিতর আবছা হয়ে আছে মেধা নামের কুয়াশা।



আমি ভাবছি নদীর যন্ত্রণা । সেসময় যা কিছু খসে পড়েছিল তা চর্চা। লিঙ্গ বেঁকে গেলে শরীর আঁকা চলে না। নাবিক ঝরে গেলে যেমন জাহাজ ঐতিহ্যময়! এসব ভাবার পরেও তুমি এলে না... গভীর আর গূঢ়লিপি নিয়ে তুমি হলে অহেতুক গ্রাম। জল মানে চৈবঃ গোদাবরী নয়, শুদ্ধি মানেও জল নয়। বিভাজন থেকে টপকে যাওয়ার যেটুকু সীমা তার নাম হতে পারে খলখলে দাঁতের পিপাসা।



পিঠের মই বেয়ে খুলেছি একাকার হাড়। যেখানে স্পর্শ লাগে সেখানেই ভেঙে পড়ছে নরম যান। অভিজ্ঞতায় প্রবল বেদানা ছড়ালে, বাতাসের দিকে সরব হয় অসভ্যতা। তবু নৌকাটি পুড়লো। আর ঈর্ষা দিয়ে ঘর বানাতে গিয়ে তুমি দেখলে প্রকৃত বানান। ছোবলের ভিতর আমরা রেখেছি নাভির মণিমুকুট। এভাবে টাটকা হওয়ার কৌশলে খেয়ে ফেলেছি সিঁদুর মাখানো চিতাকাঠ। বানানো গানের থেকে ছলকে ওঠে লীডার! আমি কি তবে পরিযায়ী না আলোখোর বর্ণনা? এসব ভাবার পর অন্যমনস্ক হয়, আস্তাবলের টেন্ডন হারানো ঘোড়া।


শানু চৌধুরী। কবি ও গদ্যকার। জন্ম ও বেড়ে ওঠা কলকাতায়। লেখাপড়া ইংরেজি সাহিত্যে। প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ: ‘আলো ও আত্মহত্যা’ (২০১৯)।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

5 মন্তব্যসমূহ

মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।