TopTime

আজ বঙ্গাব্দ

হরিণ উৎসবে মিনু মৃত্তিকের সাথে


“বালিশের মধ্যে তুলোরা বিচরণ করে সারারাত ধরে।  একে অন্যের জন্যে জায়গা ছেড়ে দেয় আর হল্লা করে। পুরো তুলোবাজার গরম হয়ে ওঠে। আর বালিশের উপরে যে মাথা পুরোটা পৃথিবীকে ধারণ করে কারখানার চুল্লিতে নিজেকে ফুটাচ্ছে তার থেকে এক কণাও তাপ বালিশের ভিতরের জনগণ টের পাচ্ছে না।
বালিশ, নিরাপদে রাত্রি পার হোয়ে বোধিপ্রাপ্ত হোক—”

এই লেখাটিকেই ভাবুন— এ কি চিন্তার বাইরের অন্য একটি চিন্তা নয়? কিতাবের শুরুতেই কবি বলেছেন, ‘আমার কবিতায় কোনো কবিতা নেই’। সত্যিই নেই! যা আছে তা এক পরম শক্তি। যে শক্তি বৃষ্টির প্রারম্ভিক ফোঁটার মতোন আপনার মাথায় এসে বিঁধলো। আপনি চলমান একটি চিন্তার গতি থামিয়ে মাথায় স্পর্শ করালেন আপনার হাত। হাতখানি নামালেন না, মাথাতেই রাখলেন। আর তাকালেন আকাশের দিকে। এতোক্ষণে বুঝলেন বৃষ্টি পড়ছে এক দুই ফোঁটা— এইবার একটু বেশি— আরো বেশি— জোরে— মুষলধারে। আপনি ভিজলেন। বৃষ্টিতে ভিজলেন। মূলত কবিতায় ভিজলেন। —শক্তিটুকু এমন যেনো।

মিনু মৃত্তিকের কবিতার কিতাব ‘হরিণ উৎসব’। যার প্রত্যেকটি কবিতা একই শক্তির ভিন্ন ভিন্ন রূপ। সব কবিতাই আপনাকে বৃষ্টিতে ভিজাবে না। কোনোটি রৌদ্রে পোড়াবে— নিয়ে যাবে সূর্যের কাছাকাছি। কোনোটি রাখবে কুয়াশায় নিমজ্জিত করে— সারারাত— সারাটি রাত।

শিল্পী ইউসূফ বান্না'র শিল্পকর্ম বা চিত্রকর্ম বরাবরই মুগ্ধতার মোহজাল। এই কিতাবে তার অবস্থান ও তার কাজগুলোও পূর্বের থেকে ব্যতিক্রম নয়। শিল্পীকে নিমন্ত্রণপত্র পাঠাবো ভাবছি!

ভালো থাকুন কবি, শিল্পী আর সেই মহামান্য— যিনি এই রত্নটি আমার রুচির সঙ্গে সামঞ্জস্য ভেবে প্রদান করিলেন— অবাক করিলেন।


হোসাইন মাইকেল। কবিতা ও গদ্য লেখেন।
জন্ম ৮ জুন ১৯৯৫, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রামে।
সম্পাদনা করছেন ‘দিব্যক’ ওয়েবজিন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ