TopTime

আজ বঙ্গাব্দ

কবিতা সংখ্যা: প্রারম্ভিকা | ইয়ার খানের কবিতা


কাষ্ঠল হৃদয়ে কুড়ালকে ভেবেছি খেলার সাথী

চমৎকার শিশুটাকে নিয়ে পেরে উঠি না আর
সারাটা উঠানে মারবেল ছিটিয়ে নেচে চলেছে
মারবেলগুলো ঘুরে যাচ্ছে
জলসার ঘূর্ণিতে পরষ্পর থেকে দূরে
কী করুণ ছড়িয়ে যাচ্ছে চাল
ওরে তরুণ দুষ্ট মহাকাল 
বোঝ না ঘুরে ঘুরে অনিশ্চিত পরিধি
ক্রমশ জীবন থেকে হেরে যাচ্ছে নিরবধি
ওইতো বাবাখোর স্বামীর নিচে যে বধূ 
যৌন হুংকারে দমে দমে সইছে কালো বিধূ
সে জানে শোষণে জীবন কত বিভৎস লাল
ওরে মহাকাল থামো এইবার
দ্যাখো সর্বনাশ! এসে গ্যাছে শীতকাল
জোসনার ঘেউ ঘেউ শুনে এই ঘরে বধূ
ওদিকে গলাছাটা খেঁজুরগাছ কেঁদে যাবে সারাটা রাত
দু'জনার অশ্রুর কী যে অপূর্ব ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ
মুখে নিলে চেটে চেটে গিলে নিতে পারো সারাটা উঠান
মহাকাল, অন্তত থামো এইবার
চমৎকার আঙুলে গুটিগুলো তুলে আনো
দৈব কৌশলে চালো আরো অভিনব চাল

আমরা বস্তু থেকে ভাবে ফিরে যাব কাল।


অধিজন্ম

নিজেকে শূন্যে ছেড়ে দেখেছি
রন্ধ্রে রন্ধ্রে 
সুবিশাল
গন্ধ রোমে
কে বা কারা যেন সুতো ধরে আছে
বেদনায় ঘাই মারে
জোসনায় ঘাই মারে
টান মারে কাঞ্চন দ্যোতনায়
প্রতিটা টানে টানে বুঝি জরায়ুর ঘা
জীবনের সমস্ত দৃশ্যে যেন কাঁদছে মা
আমি শুধু করুণ ঢেলে বলি
উঠে এসো জননী, মমতার আম্রোপালি
পরিণতি তোমার সন্তানকে অমরত্ব দেবে না
তবু তো তুমি মা, শিরিষের আরাধ্য রজনী
এই দ্বন্দ্ব সংগ্রামে যদি নাও বাঁচি
পৃথিবীটাকে তোমার যাদুবলে আগলে রেখো মা।


নিয়তি মানে

অসম্ভব চিরকালে-
না প্রেমে, না মূর্ছনায় 
করাতের আসা যাওয়ার নিচে
শুধু তুমি আর আমি 
ঝরে যাব মিহি বেদনায়।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ