২১. চটিবেষ্টনী:
খুলতে খুলতে আরও সক্রিয়তা জরুরি, নাঈভ...!
আবির্ভাবে স্তব্ধ হয়ে যেতে হাঁটু বাড়াতে হবে
আমি মালাইচাকির কাজ জানি, তাই বাঁচোয়া
গর্বচাতক বেড়িয়ে আয় কাঁধে, আয় ভেরেন্ডা
২২. দামপথ্য:
এতো সহেলি শুনি ক্রেয়ন বিস্তারের লাঠিতে
তুলনায় ভ্রূণ-রং কিছুটা হালকা। আমি জীবন্ত ভ্রূণ
উড়ন্ত শৃঙ্গার ডুবন্ত শবদেহের বিস্ফোরণে মজিয়াছি
জড়ো করছি তাড়াতাড়ি ফিরে আসবার পাস্তা
২৩. অভিমানীব্যাক:
প্রায় দু-ফুট মেসেজ ডিলিটিয়ে বর্তুল বসে আছি
নিভিয়া মেন ছাড়ছে থুরথুরে গন্ধ
কলজে ও কবজি উঁচিয়ে আমি ঝিলিক চেয়েছি
ফিরে যাওয়া মশমশ— অলিন্দ নিলয় ঘুরে
প্রেস্টিজ ম্যাচের কভারাপে লাইফ দ্যাখানো হোক
২৪. আশমানসম্মান:
খাদ আমার ভীষণ ভ্রমর, বিখ্যাত প্রত্যাশার বক
ওকে ধার্মিক করে তুলব এমন উচ্চতা নেই
এমন মড়ক যে আছে তাও নয়
তবু ডাভ মানে ঘুঘু পাখি, প্রমুখ, ফাঁদ ইত্যাদি
২৫. সর্বনাসারন্ধ্র:
ডুবে আছে প্রবালপ্রাচীরে কাগজী ফ্লাক্স
আলোকোজ্জ্বল বিদ্রূপের ভাপ টেনে নিয়ে
চুরমার পরোয়া খুঁজি পুরনো গোলগলায়
শানদার পেটির তীরভূমি দিয়ে পিঁপড়ে ঝরছে
চলো নামিয়ে আনি গর্ব নিরোধক ফুটো
২৬. ওতপ্রেত:
মেরু-বরফের মনোবল ভেঙে পড়ে
জৈমিনি দাঁড়ায়, উপকন্ঠে চারি-মেঘ—
আলোর পটিতে বাসক ফুলের ধনুরাশি
লিখেছিল মাল্লা ও গন্ধমাদন
সিঁড়ি ও ব্রহ্মার ঔরস। প্রজাপতি।
২৭. পরীহাঁস:
আমরা মারণপথে ফেস্টের আলো। আমাদের
ঋতুস্রাব ভেট হয়ে গ্যাছে। আমাদের কুঁচফল
পশ্চাৎভূতিহীন। নিজেদের কুঁচুটে বলি না হেতু
রূপ এখনও অতীত নয়— দেবীদগ্ধ লকগেট!
২৮. হাঁসলীলা:
পাজামার থেকে হাল খসে পড়ে গোমেধ
যজ্ঞ হচ্ছে দেশ-জোড়া-লাই বারুদ
আমাকে সিঁড়িআঁশ ধ্বনির লিখিত স্যুপ বলে ডাকো
উচ্ছিষ্ট জমা জলে রাগমোচন হবে আজ
আত্তিকরণ : সমকাম : জোকার আমি প্যাঁক
২৯. সন্তর্ফোনে:
জোড়ালো টর্চ— দেখি তোমার গর্ভখানা
গর্বের কোনো ছায়া নেই তাই সাচ্চা দোহাই
আমাদের নির্বাচিত ডাকলিস্ট, পেরিফেরি
স্থাপিত হোক শান্ত থানা, গর্ভিত হই দ্রাঘিমায়
৩০. নৈশখোঁজ:
শবরীমালায় রক্ত দেখবো
নাকি দেখে এলাম প্যাড চুঁয়ে চুঁয়ে
লাবন্য, একি লাবন্য কবিতায়!
দ্বিতীয় পর্ব পড়তে এই লেখাটির উপর ক্লিক করুন
আগামী রবিবার প্রকাশিত হবে পর্ব: চার
লেখকের অন্যান্য লেখা:
সৌরভ বর্ধন। কবি ও গদ্যকার। পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার শান্তিপুরে জন্মগ্রহণ ও বসবাস। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘নিজস্ব প্রতিবেদন’। এছাড়াও ‘জলবিভাজিকা’ (২০১৮) এবং 'স্তন ও হৃৎপিণ্ড' (২০১৯)। সাম্প্রতিকতম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রসূতিকালীন পাঠ’ ২০২০ সালের বইমেলায় ‘কবিতা পাক্ষিক’ থেকে প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্টেড পত্রিকায় অনিয়মিত লেখেন। লেখায় চৈতন্যপ্রাপ্তিই হলো তার উদ্দেশ্য ও বিধেয়।
1 মন্তব্যসমূহ
ভালো লিখেছেন কবি।
উত্তরমুছুনমন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।