মুহব্বত শরীফ
১
পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র প্রাণী
যে ভালোবেসে খুন করতে পারে
২
প্রেম একটি সাঁকো যা মানুষকে পৌঁছে দেয় তার প্রভুর কাছে
৩
তোমার হৃদয় তুর পর্বত―যেখানে আমি প্রভুর দর্শনের জন্য বসে থাকি
৪
পৃথিবীর সবকিছু অনুসন্ধান করতে হয় চোখ খোলা রেখে কিন্তু– প্রভুকে কিংবা নিজেকে অনুসন্ধান করতে হয় চোখ বন্ধ করে।
৫
সে পথের ধুলোরা কত ভাগ্যবান যে পথে তুমি হেঁটে যাও―!
৬
তুমি তো আমার চোখের জলেই আগুন লাগিয়ে দিয়েছো
এখন এই আগুন আমি নেভাবো কী দিয়ে―?
৭
যদি প্রেম আসে― তবে সবকিছু ভেঙেচুরে আসবে এবং তোমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে
৮
আমার কবরের পাশ দিয়ে তুমি হেঁটে যেও না
আমার সওয়াল জবাবে ভুল হয়ে যেতে পারে
৯
পৃথিবীর সব ফুল ফোটে তোমার দেহ মুবারকে এমন
সুগন্ধি যে তা পাই আমি―এক আলোকবর্ষ দূর থেকে
১০
যতই অবহেলা করো; যতই আঘাত করো সুনিপুণভাবে;
ততই আমার প্রেম আরও উজ্জ্বল হবে, আরও প্রকাশিত হবে তোমার কাছে; যেভাবে প্রতিটি আঘাতেই চকচকে ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে লোহার কুড়াল
চিৎকার
জুতো সেলাই করতো আমার বাবা; এখন আমি
প্রতিদিন হৃদয় সেলাই করি। ক্ষতস্থানে লাগিয়ে
দেই অবহেলার প্রলেপ―! আমার হৃদয়ের ক্ষতে
বাসা বাঁধে হৃদয়কাটা পোকা।
কতদূর তোমার দেশ? কোন নদীপাড়ে তুমি শুকাও
শাড়ি–? কোন ঘরে এলিয়ে দাও কেশ―? তুমি তো
পাহাড় নও, তবুও তোমার নামের ওজন―আমার
বুকে পাহাড়ের চেয়েও ভারী।
তোমার পাড়ায় যাই না আর; সেখানে আকাশ কেমন
গাঢ় নীল। বায়ুভীত পাখিরা ঘরে ফিরে মালতিসন্ধ্যায়;
আর আকাশের গায়ে গায়ে লেখা থাকে, তোমাকে না পাওয়ার দলিল।
সুমিত্রা, তোমার নীরবতাই পৃথিবীর দীর্ঘতম চিৎকার
ফ্যাসিবাদ
কৃষ্ণচূড়ার মতো ফুটেছে ফ্যাসিবাদ রাষ্ট্রের ডালে ডালে বেঘোর জ্বরে আমি পুড়ে ছাই হয়ে যাই―রাজপথে তুমি
কেন এতো দ্রুত যাও সরে―?
গাভীন জমিন নুয়ে পড়ে দেহভারে― আকুল হয়ে ফুটেছে সোনালী ধান; রাষ্ট্রের কোষাগারে মাথা দেইনি জমা আজ এই হোক আমাদের স্লোগান―
একটা মুনিয়াপাখি ডানার ঝাপটানি; তবু রাজপথে গায় একা সাম্যের গান; মুনিয়াপাখি―তুমি একা নও―দ্যাখো
প্রয়োজনে আমরাও দিয়ে দেব জান―
কৃষ্ণচূড়ার মতো লাল হয়ে ফুটেছে ফ্যাসিবাদ―রাজপথে রক্তের দাগ;―মিছিল মিটিং স্লোগানে টিয়ারশেল― চলো;
আজ বুঝে নেই আমাদের মেহনতি ফসলের ভাগ―
0 মন্তব্যসমূহ
মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।