রথীন বণিকের কবিতা

প্রচ্ছদ: নাজমুল হোসাইন  

 ওল্ড টেস্টামেন্ট

বাবাকে মেরে ফেলে দ্রুত পিতা হব

মা রসুন ছাড়িয়ে দিয়েছে

পিতাকে পেতে ছুটতে ছুটতে

বনাঞ্চল

গৌতম বুদ্ধের মতো

এ যাত্রায় উতরে যাব

লিঙ্গ পৃথিবীর চাইতে বড়

প্রস্থেটিক

গ্রুপহীন প্রভু নিত্যানন্দ বলেন

সাপ হলে

পুরুষ আর ছিনাল থাকে না

তাই বলি সকাল থেকে জল তুলে

আমি পুরুষ হব

একজিভীষণ গ্যাং

চিটফান্ড গজিয়ে ছিল মাথায়

জানি দুর্বল হেলদি খাদ্য

কষিয়ে ফ্রিজে রেখে

ভারতের শশা

অনেক দিন যতদিন ক্ষমতা

কানের কাছে

গান শোনায় কিছু কোটিপতি

হবার খিদে

সংসার সমেত স্ত্রী বিক্রি

আরেক জোড়া পরের শীতে

যৌনতা পুঁথি পত্রে

ক্লাব এখানে দোকান খোলার থেকেও বেশি

পরিচিত বিধানসভা

কেউ কোনোদিন যায় না

হাতের সামনে খাবার ধরিয়ে

ফিক্সড ডিপোজিট

প্রবলতর খানকি

যেমন ইচ্ছে গুদে নিয়ে

গরীবেরাই বেবি

অন্ততপক্ষে স্বাস্থ্যসম্মত চোদা যায়

ভারতীয় দর্শন

যে মানুষ ঘুমিয়ে গেছে একাকীত্বের অনুচ্ছেদে সে তো স্বাধীন জলোচ্ছ্বাস স্বাভাবিক দাওয়াত থেকে উঠলে নির্দ্বিধায় ঘষেই যায় মজা এঁকে পয়সা ঢালো জায়ফলে আড়াল নড়ো না চড়ো না

গা গুলিয়ে টেকায় লাথি দাও

মন হরতন মহাবলিপুরম

পুরুত নেই কোনো আমজনতায় জড়িয়ে যায় শরীর ইক্ষাবুকু

প্রাণ ঢালা উপায় পয়মাল ডাক্তারে

লম্ফঝম্ফ বুকের কাছে ওষুধের খপ্পর

বেজায় ভালো রাতে আত্মহত্যা আমার আরাম

ফর্দ ধরে অর্থ আরেকটা ত্রিপল

এ জন্মে বাবু টাইগার হিল

সব থেকে কৃষক দম্পতি

ঘাবড়ে আজকের খবর

ফলদায়ী বাবা বাছায় ডেকোরেশন

স্বাদের কচুরি ইংরেজিমুক্ত

সনে কাজুর মতো মিষ্ট

চার্বাক মুখোশ চিত্র

মাগিদের মেমব্রেন

আমি শুধু নারীকে না রেখে চুদে শুধু ফালাফালা করে দিতে জানি

এ জানার ভেজানো জগৎ

স্তন্যপানে আমি হতে ছাই

আরো বেশি শল্য চিকিৎসা

বন্দনা গা

না রে যে চবনপ্যাটময়

চাপল্য লেদ কারখানা জুড়ে

নেকড়ে অ্যালকোহলে

সিক্স রসজ্ঞ গুণ ছেড়ে লবণ

আমরাই জ্বেলে নেব

রাত্রিরে ডেকে আনি তবে

থামার তো তেমন কোষাধ্যক্ষ নেই

সুদসমেত সারাদিনের অসুর

হামাগুড়ি দিয়ে বন্দুক আনে

বন্দরে

বিকিয়ে যাওয়া সূর্য চাঁদে আন্দিজ পর্বত নেই

নেই অপরূপ যোনির কাছে আলো

বিপুল জলোচ্ছ্বাস পুবের গণভোটে

অন্ধকার দর্পণহীন মল্ল

নাৎসি নারীকে যেমন ইচ্ছে চোদে

মেঘের সম্মোহন

আরতি বাজখাই পাঁচ কানে

সোডা

পাটিগণিত জমায়েত

সাচ্চা প্রলাপ

মুডের অশরীরী ইমেজে

ঝিরিঝিরি দাঁড়া না

পালককর্তা ভজা

আননোন নৌকোতে

অতো মালিক

কর্তৃপক্ষ বছর ভর

বিপুলা সায়রা বানো

লাগায় অলাত শৃঙ্খলা

প্রশস্তি প্রভু বৃদ্ধ

যত দিন

ভুলিয়া কালারের চক্র

হরিদ্রাভ

চিনি দেওয়ার নিস্তেজ

বক শিশিহীন আহারে

কালো ফেলোপিয়ান

না লিখে ভরিতেছে অজ্ঞেয়

ডকুমেন্ট খেয়া

সংসারে মন ধীরে

মরণ এনে দিতে পারে

পলাতক লিঙ্গের পরকীয়া

সংশোধিত নাগরিক পঞ্জী

বিয়া কইরা হস্তমৈথুন আর হইব না

কথা দিসি

ভজন সাধন

দুবেলা দুমুঠো চুদবার লগে

রেন্ডিতে ফরেনার

কফিকল

উহারাও আমার বউয়ের

রূপসী হেয়ারডগ

আন্দোলিত ফগে

বিয়া কামাইছি

হিজড়ের লগে বয়সের

জটিল কুয়াশা

সন্তান দিতে পৃথিবীতে

যাহা নাড়া উদয়অন্ত

ভ্যাকসিন খাস বেগম

জগৎ জুড়ে শুধু ঢপের বিচি

বিচারপতি

রসুল নাই খেটে

দুবেলা খইনি নিতাই আমি

রমণীর বগলের স্যুপ

স্যার বলেন

গুণফলে অনেক গুল্ম

আন্ডার ওয়াটার

ফজরে পাঁচজন যাতে শুনতে পায়

বাতাবি লেবুর অখিল নিয়োগী

পায়খানায় ফুসফুস

পয়গম্বর

লুচির মতো নাদুস নুদুস

রমণ পড়ছে

ঐরাবত ভগবান রে পাবার আশায়

ঐতিহাসিক উহ্যদ্বার

অমায়িক আমাদের

তিন হাত লোহা

অচ্ছেদ্য মায়া কান্নায়

সাপ পাপের ল্যাজ নিলে

বিলিয়ে যায়

বৌয়ের বাবুল কাম

অশনি সহৃদয় দেবোত্তর নভে

এই লভিনু যেটুকু বাঁচাবার

অহৈতুকী লীলা

জন্মাবধি উৎসেচকে নিলাম দেহ আলুথালু

কাঁটাপোনা

 সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র দেখুন 

রথীন বণিক। কবি ও গদ্যকার। পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে জন্মগ্রহণ ও বসবাস। লেখাপড়া বাংলা সাহিত্যে।