(শতানীক রায়কে নিবেদিত)
অসূর্যমিব সূর্যেণ নির্বাতমিব বারুনা।
ভাসিতং কৃষ্ণেনেদং সদো হি নঃ।।
পড়ে আছে পুরোনো বীজ নিজের ভিতর থেকে
ধর্মের আগে মানুষ বসলে, মানুষের আগে?
ধর্ম বসিয়ে ধরো
খসে যাওয়া শালীনতা থেকে
একটা ছোট্ট সারথি টাটিয়ে ওঠে
ফাঁক হওয়া সূর্যের দিকে
তবে অস্ত্রজ্ঞের আগে
যদি উপমা বসাও
কুয়াশায় চঞ্চল হতে পারে
হতাশ শিরস্ত্রাণ...
সাদা চামড়া!
পরাস্ত হয়ে ওঠো
যেখানে গ্রন্থ বদল হয় সংহিতায়
সৈন্যক্ষয় হলে
রচনায় ভুলে যাও
অর্ধেক চাঁদের ঘেরাটোপ
তবে জানো
ত্যাগ করার আগে আমিও যুদ্ধ চাই
আমিও চাই
বিমূঢ় শরের আকাঙ্ক্ষিত আলপনা
ক্রুদ্ধ হও তবু মোহগ্রস্ত হয়ো না
ঘোড়ার চালনায় এত কৌশল কেন মাখাও?
এখন ভেঙে যাওয়া সৈন্য তবু অনুগত হল না
ক্ষত্রিয়ের পরিচয়ে ডাকে সাত্যকি...
তবু আমিই বলি আমি অনুচর
আমার ধরা অস্ত্রের কানে শুনতে পাবে
গতি আর ক্রোধের সংবরণ
যেখানে মশালের আগুনে ভাঙছে
ত্রস্ত শিবির
কিছু দেবোত্তর
চিহ্ন ধারণ থেকে বেরিয়ে এসেছে যে
শান্তিকামী মুনির খেয়াল
তার প্রবাদে
যুদ্ধ বিনা অমর হয়নি
চিরকালীন শক্তির মাধুর্য কর্কট
ছেঁকে ফেলো। অক্ষৌহিণী সেনার প্রতিশ্রুতি
হে শ্যামবর্ণ হাতের মুঠো তুমি পূর্ণাঙ্গ হলে
মেঘ ফেটে বেরিয়ে যাবে সজলতার পথ
যেখানে পুজোর আগে
শিশুপালের নিন্দার বাঁশিতে বেজে ওঠে
রাজা না হওয়া হিংস্র প্রতিধ্বনি
লেখকের অন্যান্য লেখা:
• ঝড়ে অক্ষত এক শান্ত বন্দর | শানু চৌধুরীর কবিতা
22 মন্তব্যসমূহ
এই বন্ধুত্বের উপহার আমি শিরে ধারণ করলাম। কবিতাটি অসাধারণ। আমি অন্তর্নিহিত যাত্রা লক্ষ করলাম। কখন কবিতা নিছক বাক্যকে অতিক্রম করে বাক্যাতীত কোনো জগতে প্রবেশ করে। এই কবিতা ক্রমশ শূন্যতর হওয়ার কবিতা। বহু সময় পর সময়ই যখন নিয়ামক হয়ে ওঠে।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ বন্ধু
মুছুনখুব ভাল লাগল কবিতাটি
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনশক্তিশালী লেখা
উত্তরমুছুনধন্যবাদ 🙂
মুছুনচমৎকার লেখা। আধ্যাত্মিক ভঙ্গিমা অন্য রূপ দিয়েছে নিজ যাপনের চিত্রকে।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ 🙂
মুছুনএ কবিতা লোকে পড়বে না। কারণ, মাথার কাজ দরকার ।
উত্তরমুছুনআপনি কে জানি না। তবে ঠিকই বলেছেন।
মুছুনখুব ভালো কাজ এই জায়গাটা নিয়ে।তবে আরো সুতীক্ষ্ণ হতে হবে; তোর কাছে যা প্রত্যাশিত।অপেক্ষায় রইলাম।খুব ভালোলাগা এবং ভালোবাসা
উত্তরমুছুনআচ্ছা 🙂
মুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুনআহা! এমন চাবুক লেখা।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ বন্ধু 🙂
মুছুনদারুণ-ই হ'য়েছে লেখা।।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ বিশ্বরূপ
মুছুনভালো লাগলো লেখাটি
উত্তরমুছুনধন্যবাদ দাদা 🙂
মুছুনশানু চৌধুরীর এহেন লেখা পাঠক আগে পড়েননি। দুরন্ত লেখা ও কবির উপলব্ধি। কবি লেখায় এক সম্ভবনা রেখেছেন । পরবর্তী অন্য লেখায় তা আরো আরো বিকশিত হবে।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ চয়ন
মুছুনশানু চৌধুরীর এহেন লেখা পাঠক আগে পড়েননি। দুরন্ত লেখা ও কবির উপলব্ধি। কবি লেখায় এক সম্ভবনা রেখেছেন । পরবর্তী অন্য লেখায় তা আরো আরো বিকশিত হবে।
উত্তরমুছুনমন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।