TopTime

আজ বঙ্গাব্দ

পাভেল আল ইমরানের একগুচ্ছ কবিতা


পর্যটন

বাংলোতে ঢুকছে হরিণ

দীর্ঘ সুপথ শুধু বাড়ে
নজর ছুরিতে ধরে রোদ
কেটে কেটে সাজিয়েছে লেবু
পাতায় ঝুলিয়ে কাঁচা বোধ

উল্লাসে ফুটছে জরিন

বাংলোতে ঢুকেছে হরিণ

নতুন পুরিয়াপরা মন
খুলে গিয়ে উড়ছে চড়ুই
কিচিরমিচির যতদূর--
মাছের দাঁত বসানো লুই

রোমাঞ্চে শীত হয় ঋণ

বাংলোতে থাকছে হরিণ

ক্ষয়ে যায় ঘোমটার রঙ
ফরাশ ভাঙছে এঁদোকাজে
মলিকার বাগানে ঝরিত
চাঁদ, অতিপতনের লাজে

ঝুলপায়ে খেলনা মলিন

বাংলোটা ছাড়ছে হরিণ

খুলে রেখে লোমের দোলন
ফেরায় রাস্তা হয় কৃশ
পাতাহীন আমলকী গাছে
ব্যবহৃত অম্ল সদৃশ

উলের বাঁধ পেরিয়ে পিন...


অদৃশ্য ভাঁজ

জন্মের নিনাদে মৃত্যুর শরীর খেয়েছে অদৃশ্য ভাঁজ
ভাঁজের উতরোল জড়ো হয়ে বাতাস, গড়ে ভারি বাতাস আরো
আলোর উপরে যে সহস্র আলোর মিনার দাঁড়িয়ে সলাজ
পাখনার নিরব আড়ালে বুলবুলি অক্তভেদ গান্ধারে

গান গেয়ে ফুড়ুৎ, পেরিয়ে যায় দূর ছিঁড়ে অচেতন আকাশ।



ব্যাঞ্জোর ফলা

ব্যাঞ্জোর ফলার জখম গেঁথে বুকে
চিত্রা হরিণের দাগ পেখম জ্বালে
যেখানে ঢলে গিয়ে যা-কিছু রেখা আঁকে
অর্থময় মাছ জানান দেয় জালে

ব্যাধিও মিষ্টির পোশাকপরা মেয়ে,
সকল পরাহত সাজন্ত শালুক,
সুরাসারে শুকনো পাতারা ওঠে নেয়ে,
একাকীত্ব চায়-- রজঃস্বলা বাড়ুক।

বালিশ-তুুলাশোকে শিমুল জুড়ে বসে
ট্রেনের হুইসিলে ছুটছে পাঁইজর
খুলছে আতাফুল সৌরভ ঘষে ঘষে
বাগান ভরে ফোটে অর্থময় জর


*

তীর্ণ ব্যাঞ্জোর ক্ষতপূরণ ধরে
খামচে দেয় ঘাস নিজ অলংকার
সবুজ লুইশাল বৃষ্টি পরে মরে
অর্থহীন পেঁচা উঠায় তোলপাড়।


রাত মাতোয়ারা 

রাত মাতোয়ারা চূর্ণিকা পরে
গিলে ফেলে হাত
প্রসারী নিখাত
রাত মাতোয়ারা, কর্ষণ করে

বেহালা নরম গলে কার্নিশে
তরল বনের
গাছে সংকোচ
বুদবুদে শ্বাস সংগীত পিষে

চমকায় গেছি ঝলসানো জল
আতনু গোসল
ছিঁড়ে ছিঁড়ে ঝরে
অযথা পাহাড়, নুয়ে পড়া ঘরে

চলে বাইদানি জরায়ুর বিষে
আমি নি গো তাকে
খেয়েছি বিভোরে
ভোর শেষে তার কাল গেছে কেটে

সোজা রেলপথ চলে গেছে সারা
গুড়ো হুইসেল
টগবগে শেল
রঙ জুড়ে নাচে রাত মাতোয়ারা


পাভেল আল ইমরান। কবি।
জন্ম ৬ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানা।
প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ: 'সুভাইট গ্যালাতিয়া'।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ