TopTime

আজ বঙ্গাব্দ

আলিশা লামার দুঃখগুলো | শানু চৌধুরী

প্রচ্ছদ: নাজমুল হোসাইন

(১)
মানুষ উদাস হলে নাকি পাহাড়ের কাছে যায়? না। মানুষ যদি কঠোরতা শিখতে চায়, তবে তাকে যেতে হয় পাহাড়ের কাছে। দিগ্বিদিক ছাপোষা মানুষ, একপাল মুর্গির চলাফেরা নিয়ে কনকনে হাওয়ায় ছেপে আসছে তাঁদের জীবনের বর্ণমালা। পতাকার গায়ে হাওয়া লাগলেও তার কোনো মায়াদয়া নেই। উড়ছে প্রার্থনা মন্ত্রকে সাথে নিয়ে। আর প্রতিটা লেপচা নারীর ঘরে কারুকার্যময় আয়না ও চিরুনিতে বসে যাচ্ছে ঘন ঘাসের সচল স্নেহ। কেউ অন্ধকার হলে গাড়ি দাঁড় করিয়ে পিছনে উঠে পড়ে আবার কেউ অবক্ষীণ হয়ে হাঁটতে থাকে সামান্য দোক্তা ডলতে ডলতে। গাড়ি থামিয়ে, আধশুকনো পাতা মাড়িয়ে আমরা বন্ধুরা চলছি আর দেখছি ঢলে পড়া রাত্রির সারাৎসার। আমি আমার সব ইন্দ্রিয়কে জাগিয়ে রেখে অনুসরণ করে চলেছি গুঞ্জনের মতো একটা আভাস। এইভাবেই পাহাড় মিশছে মানুষের সাথে আর মানুষ মিশছে পাথরের ওপর পাথর সাজিয়ে নিজের ইচ্ছেকে বড় করার জন্য। পথের শ্যাওলা ধরা রেলিং, বাড়ির মাথায় উড়তে থাকা স্থানীয় রাজনৈতিক পতাকা পড়ে আছে প্রাচীন কায়মনোবাক্যে। আমাদের আবেগ উত্তেজনা, স্নায়ুর শৈথিল্য নিয়ে হাওয়ারা কেটে যাচ্ছে তালবাতাসি পাখির মতো। কাঠের পোড়া গন্ধে পুড়ছে ভ্রমণ রসিকদের সিঁথিহাঁস। এর মাঝেই আমাদেরকে গন্তব্যে  নিয়ে এল আলিশা লামা। আমাদের গাড়ির চালক। ছিপছিপে চেহারা। শরীরে একটু বয়সকালীন মেদ। চোখের তলা আংশিক ফোলা। নাক চ্যাপ্টা। পাহাড়িদের দেখতে যেমন হয় আর কি! ওর সাথে পথ চলতে চলতে মূহুর্তে সে নিজের করে নিয়েছে আমাকে। তবু আমার পরিচয় করার ক্ষেত্রে ভীরুতা থাকায় আমি লজ্জা পেয়েছিলাম বেশ কিছুটা সময়। ও আমাকে ওঁর দেশ ঘোরাবে বলেছে। মানুষের সাথে আমি মিশতে পারি না সহজে কিন্তু ওঁর সাথে সেরকম সময় নিলাম না মিশতে। কেন কী জানি! মেশার পর ও কখনো আমার কথায় যুগপৎ রেগে যেত। একবার তো আমি বলেই বসেছিলাম, “আর পাঁচটা ধর্মের মতো তোমার ধর্মটাও অধঃপাতে পৌঁছে গেছে।” এ নিয়ে একদিন তুমুল বচসা হল আমাদের। তবু পরম স্নেহে আবার কথা শুরু করত। রাগের মেয়াদ বেশিক্ষণ থাকত না। তাঁর রাগ গাছপালার মতো নরম। হঠাৎ রেগে যায় আবার এক লহমায় গলে জল হয়ে যায়। ওঁর রাগের প্রেক্ষিত আমি এখন বাড়ি ফিরে অনুভব করি। আসলে জীবন একটা বদমাশ। সহজে কিছুই বোঝাতে চায় না। 

(২)
পৃথিবীর গাছপালা শুকিয়ে গেলেও একথা সত্যি যে তার ভিতরেও লুকিয়ে থাকে কামনা। আর কায়িক পরিশ্রম ভুলে ভক্তির ভিতর ঢুকে যায় লোহার সিন্দুক। যা খুললে একটা শী শী শব্দ হয়। কেমন যেন তোলপাড় করে বুকের ভিতরটা। হঠাৎ স্পষ্ট হয় পরম আত্মীয়ের চেনা মুখ। আলিশা কি আমার সেরকম আত্মীয়, যাঁরা আমাকে সাহায্য করেছিল নানান আড়াল আবডাল থেকে। পাহাড়ে পৌঁছানোর পর আমার ধুম জ্বর এসেছিল। পা দু'টো দিয়ে ক্ষিপ্র শীতল জল যেন বয়ে যা যাচ্ছিল। ঠিক যেমন প্রকৃতিকে অবহেলা করলে ঝরনা সরু হয়ে, ঠান্ডা হয়ে যায়। আমার দেহ ক্রমশ আগুন হয়ে উঠছিল। আলিশা খবর পেয়ে আমার ঘরে এসে পা দু'টো ঘষতে শুরু করে আর সম্বিৎ ফিরে পেতেই দেখি আলিশা লামার মুখ। আর তখন আমার মনে হয় এ জ্বর ব্যক্তিগত নয়, প্রকৃতপক্ষেই মেরো দেশ বিরামী। বিছানায় শুয়ে, আমার ঘরের দরজার সামনে তাকাতেই দেখি যবের রুটি,তরকারি, ডাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। পরে জানতে পারি, আলিশা আমার জ্বর শুনে হুড়মুড়িয়ে ঢুকতে গিয়ে সব লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। আলিশা কি দেখেছে আমার মধ্যে? কার প্রতিকৃতি ভাসছে ওঁর চোখের সামনে, আমাকে দেখলেই? কেন এত ব্যাকুল হয়ে উঠছে? আমিও কি আত্মীয়তা অনুভব করছি? ওঁর নম্র লাজুক মুখে কি আমি এক সচেতন অভিভাবককে দেখছি? তাঁর করুণ মুখ আমার মনের এপাশ-ওপাশে বিষাদের মতো যাওয়া আসা করছিল। তাঁর শুশ্রূষার সময়কাল ছড়িয়ে পড়ছিল আমার মনে। আমি বুঝেছিলাম মানুষের আর কোনো কাজ নেই, মানুষের মনকে হাল্কা করা ছাড়া। এরজন্যই মানুষ জন্ম নেয়। জন্মজরামৃত্যু অবধি থাকে কেবল করুণা। বুদ্ধের করুণা, যা সময়কে ছাড়িয়ে যায়।
          পরদিন সকালে বেরোবো ঘুরতে, জ্বরটাও যথারীতি ছেড়ে গেছে। আলিশা কিছুটা গাড়ি চালানোর পর হঠাৎ থামিয়ে দিল, তারপর দেখি সে শিস্ দিয়ে ডাকছে নিচের পাহাড় থেকে ওপরের পাহাড়ের প্রতিবেশীকে, যেন কাল রাতের সামান্য জোগাড় করা খাবার প্রতিবেশীটি তাঁর বাড়ি পৌঁছে দেয়। সে তাঁর বাড়ির কাউকে ডাকলো না কেন? ভাবনার সংযোগ কেটে যায়। পরক্ষণেই ভাবি, এই বুঝি ভাষা! তাড়না! যা আষ্টেপৃষ্ঠে জাপটে আছে প্রত্যেক পাহাড়ীর সাথে! গাড়ির জানলার কাচ থেকে মুখ বাড়িয়ে দেখি ভাবের আদান-প্রদান। সে তাঁর বউকে হাত দিয়ে ইশারা করছে।বউয়ের মুখে কোনো অনুভূতি নেই। দূর থেকে দেখা তাঁর ছোট্ট রুক্ষ চোখদুটো দমকা হাওয়ায় কেবল নমনীয় হয়ে গেল। জানালায় বিঁধে গেল অনুভূতি আনার চেষ্টারত মুখ। হঠাৎ বৃষ্টি এলে আলিশা গাড়িতে চাপে এবং আমাদেরকে নিয়ে সন্তর্পণে ছুটতে থাকে বৃষ্টিকে ভেদ করে। গাড়িতে বসার পরই অনর্গল কথা বলে যাচ্ছে। মুখ তাঁর থামছে না। এক অস্বস্তি যেন তাঁর মুখাবয়বে। আমাকে পাহাড়ের রাজনীতি, পাহাড়কেন্দ্রিক তাঁর ভাবনাচিন্তা বলেই যাচ্ছে ক্রমাগত। কথার রেশ আমার কানে বেজে রয়েছে আর ঠিক পরেই আরেকটা কথা জুড়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই কথার মাঝেই নিদারুণ শোক তাঁকে হঠাৎ ঘিরে ফেলল। শোকে মুষড়ে বিহ্বল হয়ে পড়েছে সে। আমি জিজ্ঞেস করি তাঁকে, “কী হল আলিশা?” সে বলে, “এতদিন ভেবেছিলাম বিনা ভাবনায় মাতালের মতো পথ চলব। আনন্দ বা দুঃখকে আমল দেব না।” আমি আজ অনুভব করলাম তাঁর বুকের এক অকস্মাৎ যন্ত্রণা। ফূর্তিবাজ আলিশা, আমার কৌতুকপ্রিয় আলিশা ব্যস্তসমস্ত কাজের মানুষ হয়ে উঠেছে, তাকেও লড়াই করতে হচ্ছে মাটির সাথে।

(৩)
গাড়ি চলতেই থাকে আর আলিশা একদৃষ্টে চেয়ে থাকে যতদূর চোখ যায় তাঁর। মনে হয়, সে তাঁর জীবনটাকে শুরুতে টেনে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছিল। কারণ, আমি দেখেছি মানুষ গভীর কোনো স্মৃতির গহীনে ডুবে গেলে চোখে সাদা ঘূর্ণির মতো মেঘ ও কুয়াশা জমাট বাঁধে। সে তখন অন্ধের মতো হাতড়ায় প্রকৃতিশাস্ত্রের প্রাণিত আভূমির সীমানা। আমি জানতে চাইলাম, “তোমার বউ তোমাকে দূর থেকে দেখেও খাবার নিতে এল না কেন?” একথা জিজ্ঞেস করতেই আলিশা লামার চোখ চিকচিক করে ওঠে। ওই চোখেই আমি সম্পর্কের টান অনুভব করেছিলাম সেদিন। সে আমাকে বলেছিল, “ডলমার আজ একমাস যাবৎ জ্বর ফিরে ফিরে আসে আর গায়ের এক অজানা জ্বালায় সে নিথর হয়ে পড়ে তখন। কোনো ডাক্তার ধরতে পারছে না তাঁর রোগ।” একথা বলার পর ঠোঁট কাঁপতে থাকে আলিশার। চারিদিকে তাকাতে গিয়ে সে যে লাগাম ধরতে চাইছিল তা খসে পড়ছে লাগাতার। হঠাৎ অসাড় হয়ে ওঠে স্নায়ু। এভাবে একটা দিন কাটল আজ। আলিশাকে জানছি। এই কী আমার রসদ? যার জন্য ঘুরতে এসেছি? এসব ভাবতে ভাবতে আমার ঘর চলে আসায়, নামতে হল। আলিশা নামিয়ে দিতেই যখন আমি সিঁড়ি ভেঙে ঘরের দিকে যাচ্ছি, সে আমাকে ডাকল এবং বললো, “জীবনে আনন্দ রাখতে যা কিছু প্রয়োজন সব ছিল। কিন্তু নির্জন জায়গায় উনুন জ্বললে হাওয়ায় আগুন উসকে যায় আর তাতেই পোড়ে মানুষের মর্মবেদনা।” আমি ওঁর অনেক কথারই অর্থ বুঝি না। এটাও বুঝিনি। তবে কেন জানি না মনে হল, এই কথা এক হাহাকার রচনা করে দিল আমার চারপাশে। পোশাক না ছেড়েই একটু মদ নিয়ে বসি আর ওঁর কথা ভাবতে গিয়ে দেখি সন্ধে হয়ে আসছে আমার মাথার কিনারে। সত্যি! প্রকৃতি রহস্যময় আর মানুষ রহস্যের সেই উপাদান। যা কিছু থাকে সব এখানেই। একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলি। কেন জানি না মনে হচ্ছে আলিশা আমার মনে একরকম মায়া ছড়িয়ে দিয়েছে। ওর চোখেমুখে সেরকম তো কোনো বৈশিষ্ট্য নেই... তবুও হয়তো মুখের স্ফূর্তি ছাড়াও মানুষের দেহেরও কিছু ভাব থাকে, কিছু বলার থাকে, যা আমাদের মাঝে মাঝে মায়াময় করে তোলে! এসব নিয়েই হয়ত কাটিয়ে দেব পাহাড়ের আনাচে-কানাচে বেশ ক’টা দিন। যা নিমেষে কেটেও যাচ্ছে! তবু বুকটা বাজছে। কেন আলিশার জন্য কি? আলিশার গোপন অসুখ কী?

(৪)
এভাবেই প্রতিটা দিন পেরোতে পেরোতেই আজ শেষ দিন আমাদের। আজ ঠিক ছিল যে সাইলেন্ট ভ্যালির দিকে যাবো, সেইমতো আলিশা ঠিক সময়ে আমাদের ডাক দেয়। কিন্তু ব্যাপারটা এই যে আলিশা আমাদের এবার বেশ খানিকটা জোরাজুরি করতে থাকে ওঁর বাড়িতে যাওয়ার জন্য। আমরাও যথারীতি না করতে পারায়, বললাম— “চলো যাবো।” যাওয়ার পথে পাহাড় আবার গাঢ় হয়ে আসছে আর আকাশ কালচে নীলাভ। বৃষ্টি হবে বলেই মনে হচ্ছিল। ধোঁয়াশা মেঘ কাঠিন্যতা ছাড়িয়ে এপার-ওপার করছে। আমরাও চলতে চলতে তিন কিলোমিটার যাওয়ার পর পৌঁছলাম আলিশা লামার ছোট্ট কাঠের বাড়িটায়। ঘরে ঢুকতেই দেখি একফালি একটা কাঠের চৌকিতে ওঁর স্ত্রী। চুলগুলো উসকোখুসকো। হাত বিবর্ণ, ঠোঁটের কোণদুটো জলহীন কিন্তু মাথার সিঁদুরটুকু এত বিপন্নতার মধ্যেও যেন চকচক করছে। আর ঠিক তাঁর স্ত্রীর পাশেই বসে ছেলেটি টিভি দেখছিল একমনে। আমাদেরকে সে একটা অস্বস্তির ভাব দেখালো বলে মনে হল প্রথমটায় সেরকম মনে হচ্ছিল আমার। আমাকে লক্ষ করে ওঠার চেষ্টা করছিল কি ছেলেটি? উঠতে না পারায় পা’টা ঢেকে দিল এবং ঠিক সেই মূহুর্তেই ঝেপে বৃষ্টি এল। শুনশান নিস্তব্ধতার মাঝে বৃষ্টির ফোঁটা পড়লে যেমন সব তছনছ হয়ে যায় ঠিক তেমনি যেন একটা তছনছ লাগছিল আমার ভেতরটা। বেশিক্ষণ ওঁদের ঘরে থাকতে ইচ্ছে করছিল না আমার। সেইসময় আলিশার স্ত্রী তাকে কিছু বললো নেপালি ভাষায়, যার অর্থ খানিকটা এই যে— “ঠিক আছি আমি। ওদের সাবধানে নিয়ে যাও। আমি শুয়ে থাকব চুপচাপ।” ওঁদের কথোপকথনে আমার থাকার ইচ্ছে না থাকায় বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম। আর বারান্দায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখতে গিয়ে হঠাৎ চোখ পড়ল আলিশার ছেলেটির দিকে। ছেলেটির মুখেচোখে সূক্ষ্মতার স্বভাব লেগে থাকলেও এক অস্থিরতা রয়েছে কোথাও একটা। কোথাও যেন তাকে যেতে হবে। পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে বৃষ্টি পড়ছে ব্যাকুলভাবে আর সেই বৃষ্টি দেখতে গিয়ে নড়ে উঠছে ছেলেটির ঠোঁট। অল্প বাতাস ও মুগ্ধবোধ ধরা দিলেও এক অপারগতা কেটে নিচ্ছে সমস্ত কিছু তার থেকে। তখনই চোখ যায় আমার আলিশা লামার ছেলেটির পায়ের দিকে। চাদরে ঢাকা পা’টি সরে গেছে আর পা’টিকে দেখাচ্ছে অসাড়। আলিশা আমাকে লক্ষ করে বলে, পোলিওতে একটা পা নষ্ট হয়ে গেছে সমীরের। আজ পায়ের চাদরটা সরে যেতেই আমি বুঝতে পারলাম, সেই তুষারের মতো গলে যাওয়া পা আমাকে আর একফোঁটাও থাকতে দেবে না ওঁদের বাড়ি। মনটা আরো নড়বড়ে হয়ে উঠল। আমি তাড়া দিই আলিশাকে আমাদের গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আলগোছে বেরিয়ে আসি বাড়িটা থেকে। বিবর্ণ, শুকিয়ে রাখা মাংসের ছবির মতো কান্না আমার বুকের কাছে দলা পাকাতে শুরু করে। আজ আমাদের শেষ দিন। আলিশা হয়তো এবার মদ খেতে বসে আমার কথা ভাববে। এখন আমি বুঝতে পারি, আলিশা কেন আমাকে নরম চোখে দেখত। কারণ, আমাকে সন্তানের মতো দেখেছিল সে। পাহাড়ে থাকাকালীন সন্ধে ঘনিয়ে এলে আমরা মদ খেতে বসেছিলাম, তখন আলিশা আমাকে বলেছিল, “বাড়িতে বাবা-মায়ের সামনে খেও না কোনোদিন। এই ক’টা দিন আনন্দ করো। বাবারা স্বাধীনতা দেয়। আমি আমার সন্তানকে স্বাধীনতা দিতে চেয়েও দিতে পারিনি।” এরপর আমার চোখে এক ঝিমুনি লেগে আসে, আলিশার কথা ভাবলেই। আসলে বাবারা পবিত্র। এক পবিত্র গান।




শানু চৌধুরী। কবি ও গদ্যকার। জন্ম ও বেড়ে ওঠা কলকাতায়। লেখাপড়া ইংরেজি সাহিত্যে। প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ: ‘আলো ও আত্মহত্যা’ (২০১৯)।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

  1. সহজ ও স্বাভাবিক ঢঙে একটা চরিত্রকে মাঝে রেখে সম্পর্কের বেশ কয়েকটা দিক ঘুরিয়ে দ্যাখালি, তার মধ্যে পরিবেশ রচনা, সামগ্রিকতায় গোধূলির রঙ ছিলো রচনার পার্শ্বচরিত্র বহন ক'রে, বেশ মনোরম, অথচ বেদনা বোনা হোলো, যা স্পর্শ করেছে। চেপে ধরে নি।

    উত্তরমুছুন
  2. উতলা হওয়ার মতোই একটি লেখা শানু।দ্বিতীয় পাঠে আবেগটুকু আরও বিস্তারলাভ করল।একটুকরো পাহাড়ের দিনযাপনের গন্ধ লেগে আছে লেখাটাজুড়ে।

    উত্তরমুছুন

মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।