প্রচ্ছদ: নাজমুল হোসাইন |
ননৈতিক ভ্রমণ
ভ্রমণের উপপাদ্যে যারা ফিরছে বেগানা সন্ধ্যায়
তাই নিমিত্তে তলবাঁশ সহ ভরিতত্ত্বক্লাস।
যেদিন জেলির আতিথ্য চাইল গুপ্ত মাহাত্ম্য—
মালিশের আঙুল হলো নিশ্চিত আস্থা শিরোমণি।
এবার বালিসকে পাঠাও সাজগোছ দিয়ে—
মাথা থেকে সরিয়ে দেখাবো উরুশালা। আর
দেখবো কতটা গরম কিবা গরম ধরে ভেতর।
ঘোড়ার পা নিয়ে যে ব্যাঙ দৌড়ে নিচ্ছে মেডেল
বাধিয়ে রাখবো তার বাপের কবর।
আর তাবু নিয়ে যারা শীত ঠেকাতে যায়
জানিয়ে দেবো তাদের—কেবল ছাদ ফুটো করে
আকাশে মুতাই ধর্মতব্য আমার।
গুপ্ত বাদ্যের ঝুনঝুন
গুপ্ত অঞ্চলে কোন বাদ্য নিয়ে হাঁটো?
অনুত্তীর্ণ ধ্বনি সীমায় থেকেও—ঝুনঝুন শুনি।
গ্লাসভর্তি আগুনের মিথস্ক্রিয়ায় জমে ওঠে সাউন্ডডিগার।
বাড়লেও কাটিং দাঁতের শিরশিরানি
আস্ত থেকে যাচ্ছে শোভান পত্রের দরকারি নথি।
তোমাদের বিদ্যালয়কে বলো যেন ফিরিয়ে নেয়
ছেদন আর পেষণের যাবতীয় গোন্ডমার্ক।
নিরুত্তাপ মাঠের নাম কিভাবে যে স্টেডিয়াম হয়
ভাবতেই গোল হয়ে যায়, সাথে লম্বাও হয় খানিক
এমন নিদান কালে সইলো সই
তোমার কেন মন রূপ মাঝি হওয়া চাই?
আতুকাতুর আয়নামহল
সাদা পায়রাটা ঢুকে গেলে সমাঙ্গের ভেতর
ফাঁক বুঝে ব্যাতিহার হয় শীতসরিষাগন
ফলদ মাদুলির এমন লাগালাগি সমতলে
তাদের ডাকনাম হবে অতীব পাহাড়পুত্র।
নিশ্চিত হলে চৌহদ্দির ছায়াশালা ত্যাগ
সরঞ্জাম ছেড়ে আতুকাতু খেলে আয়নামহল।
পকেট তল্লাশিতে পড়ে নব্য চিন্তক
বেরিয়ে আসে ধারণার বিবিধ সেক্সটয়
আর স্বল্পমূল্যের সিগারেট প্যাকে হাসির খতিয়ান।
যখন হ্যামলেট ও কাফকা চা খায় লাভরোডে
পরিবেশ ইস্যু নিয়ে ভাবে নগরীর বার্ন ইউনিটেরা
টু বি অর নট টু বি হলে হিজরতগামী
তেলাপোকার পাখা হয়ে ওঠে আইনশাস্ত্র।
উল্টাতে ব্যর্থ হচ্ছি সে-আয়াতের পালটা ফজিলত
এখনো তুমি খুললেই হেঁটে আসছে সিক্স শ্রেণির প্রথম ক্লাস।
ড্যাম ক্লাসিক
তোমাদের শালা শালিক ভালোবাসা
আর প্রেসক্রাইবের তিনবেলা কুত্তা পোন্দানো।
রানীক্ষেত ধ্যানে য্যামনে ঢাকো ভেতরবাসী ঘেউ
যেন মুরগী ছাড়া ভাবাই যায় না শাউয়া!
আমি নামে বিক্রমাদিত্য—ঠাপ আর জিড়ানোর অসম অনুপাতে—অঞ্জনা ডাকে খানকির পোলা!
এত এত মুরগী কৈতর দোয়েল কোয়েল ভিড়ে—
কেম্নে সুধাই অঞ্জনাগো আমার আর ক্লাসিকে ওঠে না।
মিথ্যের ছেলে
সালাদ-স্পাইসি ছাড়া সত্য খাওয়া কালে—দক্ষিণ সমেত ফুঁ—চোখের আয়ত্তে আনে অগাস্ট—পেয়ারা পাতায় লালচে রোদ—ভাতার ঘেঁষা রোদ নাক অব্দি লম্বায় সবুজ হয়—মেঘ ঘনালে ওড়ে—ওড়ে তার চুল—সত্যের গায়ে মুতে দেই—রোদের রঙ থাকে না—হিজাবে আটকে যায় রঙমারানি—শ্রাবণে ভাসতে থাকি—নয়া জল যৌবতী হয়—আঙুল ডুবাতেই জল কয়—সত্য তার মা—আমি সত্যরে পুন্দাই টলটল নাম নিলে—টলটলে বিষ্ঠা ভাসে—আড়ষ্ট দিন এক পায়ে তালগাছ হলে—প্রমাণ হয় আমি হই মিথ্যাজাত—মিথ্যা ঘুচে গেলে—শরীর ভেঙে যায়—ফোকর গলে বের হয়—ঝুড়ি ঝুড়ি বাদুড় চামচিকা
সন্ন্যাসী আরণ্যক। কবি। জন্ম ১৯৯৩ সালের ১২ নভেম্বর মাগুরা জেলার মহাম্মদপুর থানায়। বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক, স্নাতকোত্তর। প্রকাশিত কবিতাপুস্তিকা: ‘ইভা ব্রাউন’ (২০২০)। প্রকাশিতব্য কবিতাগ্রন্থ: ‘জামা খোলো বিদুষী রাত’ (২০২১)।
1 মন্তব্যসমূহ
অনেক সুন্দর লেগেছে 🖤
উত্তরমুছুনমন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।