TopTime

আজ বঙ্গাব্দ

রঞ্জন মৈত্রের কবিতা

প্রচ্ছদ: নাজমুল হোসাইন   

লাভ গেম

এখন হুক মারা বাত্তি
অভিধান মারা নেট
কক তোমার শাটল
প্রিয় ফাটল তোমার
যেন শীত ছিল না এত কচি পাতা
বেড়াতে আসা হাত ও ককেরা
পারাপার করতে করতে ঘড়িদের কাঁটা মুছে যায়
লাভ ওয়ান
লাভ ট্যু
গড়িয়ে আশা শাটল ধাক্কা দিচ্ছে দরজায়
বেলা যায় খেলতে চল


ঘরামী

আয়নায় যে ছায়া পড়ে
তার মধ্যে একটি পথ
পা ও চোখ মিলে মিশে মনসুন
জমাট কণাদের একা একা ঝরে পড়া খেলা
শূণ্যে যত ছায়াকারু
দিগন্ত অবদি জিরোতে জিরোতে ধান্য
সবুজ আয়নায় এসে পড়া পাশের বাড়িটি
ভিত থেকে ঢালাই
ঘরামী উঠে যাচ্ছে আকাশের দিকে
অনুরোধে উত্তর হাজির হয় না
দক্ষিণে নেই সমীকরণ চিহ্ন
চলা এই ইট বালি জোড়াই ও ছায়াভাঙা জল
কাচ ও পারদের ফাঁকে আলগোছে বসানো আকাশ


চুমুক

আর নেই পাতাটি উড়ে এসেছে মোবাইলে
তার চোখ মুখ গুরাঁশকুঞ্জ
শিরা ধরে ধরে আমরা ফুলপাহাড়ে চড়ি
জুতোর মধ্যে শরৎ সে একদিন
গেলাসে বসন্ত অন্য এক
ধরো চুমুক দাও 
শরীর যা রুবাইয়াৎ
উড়ে আসে পল্লব বিচিত্রবীণাটি
না থাকা-কে বলি ভাল থেকো
আর সে তাকানো
দুটি অরগানিক খামার
পথবাতি জ্বলে ওঠে ভ্যালিডিটি শেষ হয়ে এলে


ট্রলার

ওঠা নামা দেখে ঢেউ ভাবি
শেষ জ্যোৎস্না চলে যাচ্ছ মীনরাশির দিকে
যেখানে জাল ছড়িয়ে পড়ে
ধারামুক্তির পর শান্ত শব্দটি
অতলে ভাসা রূপোলি ঘাই
ভাবনা উঠছে নামছে
বইঠা ও জালেরা
ছবি ঢেউয়ের মতো নয়
ঢেউ ছবির মতো নয়
তুমি ফিরে এলে মাছে ভ'রে যায়
আমাদের বালির দেশ


বাড়িটি

লাল হয়ে উঠবে যে বাড়িটি একদিন
সেই দিকে গাড়ি চলছে
ভুটানপাহাড় চিলাপাতা অরণ্য চলছে
শীতের পর্দা গ্রীষ্মের পাল্লা
আছ কিম্বা নেই লেখা বাতির আলোরা
ব্রীজ পেরোবার মুখে মাঝির টেক্সচার
বাঁক ঘোরাবার দিনে সোনম লেপচা
আমদের ভূর্ভূবস্ব গৃহপ্রবেশ
ঢিমে আঁচে রোস্ট ও রোস্টার
চলো থামি এইখানে ভিউ পয়েন্ট
লাল হয়ে উঠছে কাশ্যপেয়ং বাড়িটি
আঙিনা রেখার গায়ে
ভিউ আর পেট্রল পাম্প শেষ হয়ে যায়



রঞ্জন মৈত্র। জন্ম ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার ঘুসুড়িতে, বেড়ে ওঠা বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে, এখন পশ্চিমবঙ্গের ইছাপুরে স্থায়ী বাসিন্দা। পেশাগত জীবনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কমার্শিয়াল ট্যাক্স বিভাগের আধিকারিক ছিলেন। সম্পাদনা করেছেন 'মুহূর্ত' পত্রিকা, প্রয়াত কবি উত্তর বসুর সহকারী হিসেবে 'ঋকবৈদিক' পত্রিকা। এরপর যথাক্রমে 'কবিতা ক্যাম্পাস' এবং 'নতুন কবিতা' পত্রিকা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ