TopTime

আজ বঙ্গাব্দ

‘আগামীর কবিতা কিছু নন-প্যারালাল ইনডেক্স’ পর্ব: তিন | রাহুল গাঙ্গুলী


পর্ব: তিন


০-দশকের কবিতা - কিছু আলোচনা

(একটা আত্মপক্ষ সমর্থনের ইঙ্গিত বহন করে কি কবিতা হয়? যদিও নিজেকে লেখক ছাড়া কবি হিসেবে কখনোই দাবি করিনি। কারণ, সে দায়ভার সময়ের— আমার নয়।)

কবিতা ক’ প্রকার? বরাবরই বলে এসেছি— ২ প্রকার। সিলেবাসের ও সিলেবাসের বাইরের। যেহেতু মানুষের কাছে সবচেয়ে বড়ো ধাঁধাঁ-র প্রয়োগ ও বিষয় সিলেবাসের বাইরে থেকে আত্ম-অনুসন্ধান, একথা মানা যেতেই পারে এই প্রবন্ধে এর কথাই বেশি আলোচিত হবে। তবে কিছুটা আগে থেকে শুরু করলে যেহেতু বুঝতে সুবিধা হবে— তাই, ইতিহাসের বইটাকে একটু উল্টেপাল্টে দেখে, মূলকথায় যাওয়া ভালো।

প্রশ্ন ১: কখনো কেউ কি ভেবে দেখেছেন বিখ্যাত কবিতায় কবি বিখ্যাত কেন? কখন?

বাংলা সাহিত্য নিয়ে চর্চা করার আগে— কিছু পরিসংখ্যান ও উদাহরণ জেনে নেওয়া উচিত। যেমন- বাঙালি বলতে বুঝি কী? যদি বলি বাংলা ভাষায় যিনি নিজস্ব অনুভূতিককে প্রকাশ করেন— তিনিই বাঙালি, কথাটি কি ঠিক? এ-কথা বললে বলা যায়, এমন অনেক বাঙালি আছেন— যাদের পূর্বপুরুষ কখনোই বাঙালি ছিলেন না। আসলে ক্লাসিকাল জাতির অস্তিত্ব আদৌ কি আছে?ভারতবর্ষ হয়ে গেছে আর্য ও অনার্যের সঙ্কর। আমেরিকার রেড-ইন্ডিয়ান কি আজো সেভাবে আছে? একটা কথা তাহলে পরিষ্কার— ভাষার সীমাবদ্ধতায় শিল্প থাকে না। এটা শিল্পীর ভাব প্রকাশের বাহ্যিক মাধ্যম।

এবারে এটা ভাবুন— সারা বিশ্বে বাঙালির সংখ্যা কত? তার কতো শতাংশ সাহিত্য সম্পর্কে অবগত? বা সাহিত্য-উৎসুক্য পোষণ করেন। আমাদের আশেপাশের নানান স্তরের অন্তত ১০০ জন মানুষের উপর সমীক্ষা চালান, দেখবেন সাকুল্যে এটি ৬০% এর বেশি নয়। যদিও, এর ভিতরেও কিছু সূক্ষ্ম ভাগ আছে। কেউ বলেন— আমি সেটাই দেখতে বা শুনতে বা অনুভব করতে চাই, যা বাস্তবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। যেমন— দীপিকা পাড়ুকন বা সোনাক্ষী সিনহার সাথে প্রেম (পুরুষকার কোণে) অথবা সলমান, শাহরুখ বা জন আব্রাহাম-কে বিছানা উত্তরণের অন্যতম সোপান (নারী বিষয়ক)। চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে অন্ততঃ বাজার কিন্তু এমনটাই ভাবে। সাহিত্যের পরিধি সে জায়গায় থাকলে— ভাবতে অসুবিধে নেই।

আবার কেউ চান দর্শন। কেউ চান অনুসন্ধান। কেউ চান নিউরোটিক ভাইব্রেশন।

যাই হোক না কেন— এই ৬০% এর কমন ফ্যাক্টর হলো— এনারা বেশিরভাগই একটি নিটোল গোলগাল সতী বধূ বা নিরীহ স্বামী-র মতো গল্প পেতে পছন্দ করেন। আবার, যেকোনো দর্শনের হাইপোথেসিসে একটা কথা বহুল প্রমাণিত ও প্রচলিত— ব্যতিক্রম নিয়ম-কে প্রমাণ করে। তো এই ৬০%’র ভিতর এমনটি কি নেই? নিশ্চয়ই আছে। কেউ বলতেই পারেন কবিতা আলোচনায় এতো চর্বিতচর্বণ কেন? একটি কথাই বলবো— আসল জায়গায় কি এতো সহজে পৌঁছান যায়? যখন শিল্প ও সাহিত্য নামক একটি পেয়াজের ইন্টারসেকশন আমরা ও.টি. টেবিলে (নাম দেওয়া যাক— সময়) করছি।




গত পর্বে দেখা গিয়েছিল— শিল্প কোনো ভাষা সীমানায় কাজ করে না, বা বলা ভালো শৈল্পিক ভাষার কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। এমনও হয় যে— শিল্প এক নতুন প্রকাশ খুজছে, এক নতুন ভাষা চাইছে— যা আমরা জানি না, শুনিনি, ভাবিনি।মান্যতার জায়গা অনেক পরে আসে। আর ০-দশকের সাহিত্য নিয়ে বলতে গেলে এটাই প্রাথমিক যোগসূত্র।

গত পর্বের একটি রেশ ছিল— বিখ্যাত কবিতা কি? বা বিখ্যাত কবি কেন?

কোনো শিল্পই তার জীবৎকালে প্রকৃত বিখ্যাত হয়ে উঠতে পারেনি, একমাত্র যদি না সেটি একটি ট্রেন্ড নির্ভর হয়। উদাহরণস্বরুপ আমরা জাতীয়তাবাদী (পরাধীন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বা এরকম বিশ্ব সাহিত্যে যা যা আছে) কবিতাগুলি নিতে পারি। তবে এখানে সময় একটা বিরাট প্রশ্রয়। আরো একটি জায়গা আমাদের বোঝা প্রয়োজন— যিনি লিখছেন তিনি কতটা একরৈখিক বা কতোটা নিটোল গল্প দিচ্ছেন যা সহজেই গলা দিয়ে নামানো যায়। যেমন গত শতকের অনেক কবি আমাদের প্রিয়, কেন?একটা কারণ হতে পারে যে যেহেতু গত শতকের সব ঘটনাই জানা, সব ইতিহাস জানা, অতএব শিল্পী-কে বুঝে ফেলা কিছুটা সহজতর হয় তো বটেই। আবার যে শিল্প আগামীর জন্য বা কালোত্তীর্ণ রচনার চেষ্টা তার বেলা কি হতে পারে? একটু উদাহরণ নেওয়া যাক। কেউ কি ভাবেন বিগত ৫০-বছর আগে বাংলা ভাষার চেহারা কেমন ছিল এবং আগানী ৫০-বছর পর তার চেহারা কেমন হতে পারে। ঠিক এখানেই একজন শিল্পী ও একজন সায়েন্টিস্টের ভিতর কোনো ব্যবধান নেই, কারণ উভয়েরই সম-দর্শনবোধ।

তাহলে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়— সময় পরিবর্তনশীল, অবস্থান পরিবর্তনশীল— তাহলে প্রাগ/আধুনিক /উত্তর-আধুনিক /পুনরাধুনিক— প্রকাশগুলো কেন?




বাঙালির ভাষা ও রবীন্দ্রনাথ বিতর্ক নিয়ে কিছু কথা:

প্রথমেই বলি, অনেকেই বলছেন, কবিতা নাকি এগোচ্ছে না দুর্বোধ্য, বা বাংলা ভাষাটি নাকি আর কিছুদিনের ভিতরেই অবলুপ্ত হবে হবে করছে। এবিষয়ে কিছু মতামত দেব বলেই এই লেখা। না, কোনো তাত্ত্বিক বা বলা ভাল তাথ্যিক (স্ট্যাটিস্টিক্যাল ডেটা) উদাহরণ দিয়ে নয়, যা বলবো বা বলি ~ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ + বিশ্লেষণ + অনুভূতি দিয়ে। বাংলা শব্দের ব্যবহার আমাদের সমর্থন করতে হবে ততোটাই, যতোটা সমর্থন আমরা ভাষার বিবর্তনকে করে এসেছি সেই চর্যাপদ থেকে। যেকোনো ভাষায় এই সত্যিটা আছে। যদি বাংলাদেশ বলে পানি বা কেঁচি (ময়মনসিংহ উচ্চারণ), যেমন তাকে ইনসিস্ট করতে পারি না ~ প.বঙ্গের ম্যাগাজিন বলে তাকে জল বা কাঁচি লিখতে হবে। তেমনই বাঁকুড়া বলবে ডিংলা, আর তাকে বলবো কলকাতার পত্রিকা বলে লিখতে হবে কুমড়ো, না হলে তুমি প্রান্তিক ~ এটিও সমান সমর্থনযোগ্য নয়।

ভাষা কেন বলি: উত্তরের শুরুতেই দেখুন যেদিন মানুষ এলাকা দখলের কথা ভাবলো, গোষ্ঠীতন্ত্র ভাবলো ~ সেদিন প্রয়োজন ছিলো তার জোর খাটানোর অস্ত্র। ধর্ম ও ভাষা ব্যবহৃত হওয়াতে শুরু করা হলো। ভাষা ~ যা একটি রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির ফসল, যে শুরু করলো কালচার। একথা আমি পদক্ষেপ (চুঁচুড়া) পত্রিকায় একটি দীর্ঘ প্রবন্ধে লিখেছি। ভাষা কোনোদিন নষ্ট হয় না, বরং বিবর্তিত হয় পুঁজিতান্ত্রিক ও আরো কিছু নিয়মে। আর এলাকার ভৌগলিক বিষয়টি তো আছেই। যা হয় তা বিবর্তিত, যদি না হঠাৎ করেই ধ্বংস হয় ইনকা বা হরপ্পার মতো। সুতরাং কোনো অঞ্চলের ফ্লেভার/গন্ধ পাবো তারই নিজস্বতায় ~ বিবর্তিত ভাষায়। এখানে, কলকাতা, কোচবিহার, সিলেট, ত্রিপুরা, ২৪ পরগণা, ঢাকা, চাঁটগা প্রভৃতি সকলেই। বিদেশেও কি এটা নেই। সংমিশ্রণ বা সঙ্করত্ব কি হয়নি কোনোদিন।কেনো বা নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট কি ~ সেটা পরের কথা।

আরেকটি বিষয় এসেছে ~ বিশুদ্ধতা। বাংলা, হিন্দি, তামিল, সিংহলি, ইংরেজি ~ কেউই কি বিশুদ্ধ?এখানে প্রসঙ্গত চলে আসে সময়টি কোন সময় এবং এখন আমি কি ব্যবহার করবো প্রকাশে? ছোট্ট উদাহরণ দিই (ব্যক্তিগত এক্সপেরিমেন্ট): পাড়ার ফটো দোকানে মাধ্যমিক পড়াকালীন গিয়ে বলেছিলাম, কাকু অনুলেপন যেনো সঠিক হয়। উনি একটু চমকে গিয়ে বলেছিলেন, ওটা কী? আসলে ফটো নেগেটিভের বাংলা করলে যে অনুলেপন দাঁড়ায় কজন জানে। আবার বাংলার পণ্ডিতও কিন্তু কথা প্রসঙ্গে বলেন, মোবাইল নংটা দাও হে। অথচ লেখেন আবার (যদিও, জায়গা বিশেষে) দূরাভাষ পরিচয়টি হলো অমুক। এই দ্বিচারণ কি ভাষাকেই বাধা দিচ্ছে না স্বচ্ছভাবে প্রকাশিত হতে (বিকশিত হতে)?

এবারে আসি বাঙালির আইকন (নোটেড) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রসঙ্গে। বহু আগে ফে.বু.-তে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম ~ রবীন্দ্রনাথ বিরোধীতা, প্রকৃত অর্থে কী ও কেন?

“বাংলা সাহিত্যে একটা সময় শুরু হয়েছিল ~ রবীন্দ্রনাথ বিরোধীতা। হয়তো এখনোও তা চলছে। তবে সেটা নিছকই রবীন্দ্রনাথ বিরোধীতা নয়। একটা চলমান সময়পর্ব থেকে নতুন সময়পর্বে উত্তরণ ~ এটাই আসল কথা এই বিরোধীতার। সীমানা মুক্তি ঘটানো, শিল্পীর মহৎ কাজ চিরকালই। বিরোধীতার অর্থে কেউই কিন্তু তার মতো সমুদ্রকে অস্বীকার করেননি, বরং নতুন সময়পর্বের ভাষায় সাহিত্যকে মুক্ত করতে চেয়েছেন। অনেকদিন আগে এক জায়গায় বলেছিলাম: কবিগুরুকে বুঝতে পারার অবস্থানে আসবো তখনই, যখন সেই সময়ের প্রভাবমুক্ত হয়ে দেখবো ২০১৮র চোখে। সহজকথায় আমি ১৯৩০ বা ১৯৪০এ ফিরে যাবো না”

অনেকেই বলেছেন বা বলেন ~ কবিগুরু সময়ের চেয়ে এগিয়ে। কিন্তু কেন বলবো এগিয়ে। আজ ট্রেনে ট্রাভেল করতে করতে আবার পড়লাম বিসর্জন। এটি উনি উৎসর্গ করেছেন, ওনার ভাইপো শ্রীমান সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়কে। এই উৎসর্গের প্রাথমিক ভূমিকাটি লেখা হয়েছে কবিতায়। এক জায়গায় তিনি লিখলেন “ফুরায় ব'য়ের পাত” (এখানে, [ ' ] চিহ্নটি দিয়ে [ ই ] অক্ষরটির লোপ), আবার লিখছেন “ক্রিটিকেরা আসে ধেয়ে,” / আবার লিখছেন “কেহ বলে, 'ড্রামাটিক” (প্রথমত ইংরেজি শব্দপ্রয়োগ, তারপর ড্রামাটিক শব্দটির শুরুতে মাথায় '), আবার আরো কিছু শব্দ যেমন, হ'ত বা তারি 'পরে বা প'ড়ে ~ ইত্যাদি শব্দকাঠামোয় [ ' ] চিহ্ন প্রয়োগ কেন?

বিসর্জন নাটিকার শুরুতেই, যে উৎস্বর্গ করা হয়েছে, তাতে লিখছেন ~

“আইনের লৌহ-ছাঁচে
কবিতা কভু না বাঁচে
প্রাণ শুধু পায় তাহা প্রাণে”

সেই পাঠকই (যারা মাতামাতি করলো, তারাই বানালো আইন)। আজও অনেকেই আইনে বিশ্বাস করেন। কেন?

চর্যাপদ → মাইকেল → রবীন্দ্রনাথ → জীবনানন্দ— কত কাজ, দুর্বোধ্যতার আগে পাঠক দেখুন একবার পিছনদিকে।

আসলে, যেটাই লেখা হোক ~ ভিতরে যেন স্বচ্ছ পরিকল্পনা থাকে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, স্কুল কলেজে ঈশ্বর রবীন্দ্রনাথকে পড়ানো ও বোঝানো হয়। কবি/চিন্তাবিদ/দূরদর্শী রবীন্দ্রনাথকে নয়। বন্ধনমুক্তি এরকমই হওয়া উচিত ~ যিনি করার চেষ্টা করবেন, তার পরিকল্পনা এটাই। অনুকরণ করে লিখলাম, যা নিজেই বুঝলাম না। তাহলে সেটা কি হল?

পরিশেষে নতুন পথের পথিকদের বলি, বিসর্জন ভূমিকা থেকেই কবিগুরুর শেষ তিনটি লাইন “কে বোঝে কে নাই বোঝে / ভাবুক তা নাহি খোঁজে, / ভালো যার লাগে তার।”


• পর্ব: এক পড়তে এই লেখাটির উপর স্পর্শ/ক্লিক করুন
• পর্ব: দুই পড়তে এই লেখাটির উপর স্পর্শ/ক্লিক করুন


[ধারাবাহিক: আগামী শনিবার পাওয়া যাবে পর্ব: চার]


রাহুল গাঙ্গুলী। কবি। জন্ম তারিখ: ১০ই আগস্ট ১৯৮১, দুর্গাপুর, পশ্চিম বঙ্গে।
পেশা: সিভিল ইঞ্জিনিয়ার।
কিছু কথা : কোনো মহাপুরুষ হয়ে দেওয়ালে ঝুলবার উদ্দেশ্য নিয়ে নয়, নিজেকে আবিষ্কার তথা সময়কে আবিষ্কারের ভিতর দিয়েই যোগ ও যাপন। ভালোবাসা, প্রেম, ঘৃণা বা প্রতিবাদ ~ সময় তথা নিজের কাছে : যে কোনো সৎ সূক্ষ্ম অথবা স্থূল প্রশ্ন করার অধিকার এবং নিজের কাছেই সমাধান, সেই বিশ্বাস নিয়ে দীর্ঘ চিন্তনের প্রতিফলনে লিখে যাওয়া অনুরণিত কবিতা
প্রকাশিত গ্রন্থ:
নো ম্যানস্ ল্যান্ড’ (কবিতা পাক্ষিক) ২০১৭, ‘ব্যক্তিগত জরায়ু থেকে’ (ঐহিক) ২০১৮, ‘খাদ্য - খাদক - খাদ্য’ [অনলাইন বই] (ফেরারি) ২০১৮, ‘১ মুঠো জলীয় দূরত্ব ভেঙ্গে’ (টার্মিনার্স) ২০১৮,
কবিতাবিহীন মুহূর্তগুলো’ (তাবিক) ২০১৯,
পরিত্যক্ত ০|র খোঁজে’ (ঘোড়াউত্রা) ২০২০।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ

  1. আহা! অপেক্ষা সার্থক হল। বিশ্লেষন যৌক্তিক তাই গ্রহনযোগ্য পাঠ উপভোগ্য সাবলীল

    উত্তরমুছুন
  2. সবগুলো পর্বই পড়লাম। ভালো লেগেছে। আগামী পর্ব পড়তেও আগ্রহী।

    উত্তরমুছুন

মন্তব্যের যাবতীয় দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় নেবে না।